<article> <p style="text-align: justify;">লিওনার্দো দা ভিঞ্চির বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। মোনালিসার ঠোঁটে জড়ানো রহস্যময় হাসি নিয়ে যুগ যুগ ধরে চলছে বিস্তর চর্চা। এবার এক ভিডিওতে ভিঞ্চির আঁকা সেই মোনালিসাকে হঠাৎ চোখ-মুখ নাড়িয়ে জোরে জোরে র‌্যাপসংগীত গাইতে দেখা গেল। যার হাসির রহস্য নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ, তাঁকে হঠাৎ করে এমন গান গাইতে দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তো রীতিমতো তাজ্জব।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">মাইক্রোসফটের তৈরি  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অ্যাপের বদৌলতে ভিঞ্চির আঁকা মোনালিসা এখন পুরোদস্তুর সংগীতশিল্পী বনে গেছেন। মাইক্রোসফটের ভিএএসএ-১-এ কোনো ব্যক্তির মুখের স্থিরচিত্রকে ভিডিওতে রূপান্তরিত করা সম্ভব হচ্ছে। এতে স্থিরচিত্রের প্রতিকৃতিটি কথা, গান, অঙ্গভঙ্গি পরিবর্তন করতে পারছে। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, তারা ভিডিওতে প্রতিকৃতির ঠোঁট নাড়াচাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অডিও যুক্ত করে।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">সেই সঙ্গে ভিডিওতে প্রতিকৃতির মুখভঙ্গি এবং মাথা নাড়াচাড়া এমনভাবে করা হয় যে বোঝাই যাবে না, এটি আদতে ছিল একটি স্থিরচিত্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে মোনালিসাকে জোরে জোরে ‘পাপারািস’ গান গাইতে দেখা যায়। সংগীতশিল্পীর সাজে মোনালিসাকে দেখে অনেকেই দারুণ মজা পেয়েছেন। একজন বলেছেন, তিনি মোনালিসাকে চোখ-মুখ নাড়িয়ে জোরে জোরে গান গাইতে দেখে হেসে লুটোপুটি খেয়েছেন।</p> </article> <article> <p style="text-align: justify;">আরেকজন বলেছেন, আজ যদি ভিঞ্চি এই ভিডিও দেখতেন! তবে কেউ কেউ স্থিরচিত্রকে ভিডিওতে রূপান্তর করা নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে এই প্রযুক্তিটি অনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হতে পারে, বিশেষ করে ভুয়া ভিডিও তৈরি হতে পারে। তবে তাঁদের আশ্বস্ত করে মাইক্রোসফট বলেছে, এই প্রযুক্তিটি দায়-দায়িত্ব ও সঠিক নীতি-নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহার বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো নমুনা, এপিআই, প্রযুত্তিটির বিশদ বিবরণ অনলাইনে প্রকাশ করার পরিকল্পনা তাদের নেই। সূত্র : এনডিটিভি</p> </article>