বর্তমান শাসনের অবসানে জাতীয় সরকার গঠন অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছে গণফোরামের একাংশ। বর্তমান পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আগামীতে ‘বৃহত্তর ঐক্য’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে গণফোরামের একাংশের মুখপাত্র ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু এ্সব কথা জানান।
সুব্রত চৌধুরী বলেন, বর্তমানে রাষ্ট্র একটি ভয়ংকর সার্বিক নৈরাজ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এই অবস্থায় দেশের সব দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ ও লালন করেন তাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনকে হটাতে হবে এবং বর্তমান বিরাজমান অবস্থা থেকে জাতিকে নিষ্কৃতি দিতে জাতীয় সরকার গঠন অপরিহার্য।
এ সময় মোস্তফা মোহসিন মন্টু বলেন, আমরা সম্মেলন নিয়ে এখন ব্যস্ত।
সম্মেলনটা শেষ করে নিয়ে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। যে পরিধিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আছে তাকে আরো বড় ও আরো সুন্দর করা যায় কি না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণতন্ত্রমনা শক্তিকে নিয়ে আমরা জাতীয় ঐক্য করতে চাই, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করতে চাই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একাদশ নির্বাচন সামনে রেখে ঐক্যফ্রন্ট গঠন হয়েছিল।
আমরা এই ফ্রন্টে নেই- এটা আমরা কখনো বলিনি। এখন এই ফ্রন্টের কার্যক্রম কার্যকর নেই, স্থগিত আছে। এটা যদি ভবিষ্যতে চালু হয়। এখন আমরা বিভিন্ন জেলায় জেলায় যাচ্ছি আমাদের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে। আগামী ২৮ ও ২৯ মে এই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত আমরা নেব-আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে থাকব না নতুনভাবে আরো বৃহত্তর পরিসরে ঐক্যফ্রন্ট করব। এটা সম্মেলন ডিসাইড করবে।
অনুষ্ঠানে গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, জামাল উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান, হেলাল উদ্দিন, আইয়ুব খান ফারুক, খান সিদ্দিকুর রহমান, লতিফুল বারী হামীম, আবদুল হাসিব চৌধুরী, মো. জাহাঙ্গীর, নাসির হোসেন, তাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, সানজীব রহমান শুভ, ইসমাইল সম্রাট উপস্থিত ছিলেন।