<p>গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল গণসংগঠনসমূহ। সমাবেশ থেকে ওই আইনে গ্রেরপ্তারকৃত সিপিবি-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, সাদেকুল ইসলামসহ সকল নেতা-কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।</p> <p>আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে মশাল মিছিল পূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্বে করেন ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এস এম ফজলুর রহমান। ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মন্টু ঘোষ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার তপন, ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যান্ড আর্কিটেক্ট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভলপমেন্টের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রাশেদুল হাসান রিপন, যুব ইউনিয়ন সভাপতি হাফিজ আদনান রিয়াদ, হকার্স ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল হাশিম কবীর, ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ, রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস প্রমূখ।</p> <p>সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও দেশের জনগণকে গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক, নির্যাতন ও হয়রানি করা অত্যন্ত লজ্জাজনক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সংবিধান পরিপন্থী। কমরেড মিহির ঘোষসহ আটককৃত অন্যান্য নেতৃবৃন্দের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। একই সঙ্গে এই গণবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে।</p> <p>সমাবেশ শেষে মশাল মিছিল বের হয়। মিছিলটি পুরানা পল্টন, জিরো পয়েন্ট, গুলিস্তান, ফুলবাড়িয়া, স্টেডিয়াম এলাকা ও বায়তুল মোকাররম মার্কেট ঘুরে পুনরায় পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।</p>