নামজারির জন্য প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবে না, এমনকি নামজারির আবেদন সম্পূর্ণ তামাদি করাও যাবে না। ভূমি মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কিত এক পরিপত্র জারি করেছে। ভূমিসচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত 'ই-নামজারি সিস্টেমে নামজারি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে নির্দেশনা' শীর্ষক পরিপত্রে এই ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিপত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জন্য কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কাগজপত্রের ঘাটতি থাকেলও নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ই-নামজারি সিস্টেমে ক্রয়সূত্রে নামজারি ফরম সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। ই-নামজারির নতুন ফরম চালু করার ফলে ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেমে (ই-নামজারি/ই-খতিয়ান/ডিজিটাল এলডি ট্যাক্স) কিংবা ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নেই―এমন কোনো তথ্যের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন নামঞ্জুর করা যাবে না। নামজারি মামলার প্রথম আদেশে কোনো দলিলপত্রের ঘাটতি থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দাখিলের জন্য অনুরোধ জানাতে হবে।
আবেদনপত্র সম্পূর্ণ তামাদি না করার ব্যাপারে পরিপত্রে আরো জানানো হয়, নিদির্ষ্ট সময়ের (প্রথম আদেশে প্রদত্ত সময়) মধ্যে নামজারি আবেদনকারী তথ্য বা কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হলে আদেশে নামঞ্জুর করা যাবে। পরবর্তীকালে নামঞ্জুরকৃত আবেদনে চাওয়া তথ্য/দলিলপত্রের পাওয়ার পর পুনরায় নামজারি কার্যক্রম চালু করতে হবে (নতুন করে পুনরায় আবেদনের প্রয়োজন নেই)। এ ক্ষেত্রে আবেদন পুনরায় কার্যকর হওয়ার তারিখ হতে নামজারি সেবা প্রাপ্তির সময় ধরা হবে।
এ ছাড়া পরিপত্রে নামজারি আবেদনের হার্ড কপি জমা না দেওয়া, দলিলের নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের পার্থক্য থাকা, মোবাইল ফোন নম্বর ঠিক না থাকা, জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা, জমির শ্রেণির বিষয়ে সর্বশেষ রেকৰ্ড ও দলিলে ভিন্ন ভিন্নভাবে উল্লেখ থাকাসহ আরো বিভিন্ন কারণে নামজারি বাতিল করতে নিষেধ করা হয়েছে। পরিপত্রে উপর্যুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) করণীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; যেন ভূমিসেবা গ্রাহক সময় ও সুযোগ পান, এমনকি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকল্প করণীয় সম্পর্কে জানতে পারেন।
ই-নামজারি আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্র যাচাই শেষে সঠিক প্রতীয়মান হলে পক্ষগণের প্রাথমিক শুনানি না নেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে পরিপত্রে। ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিল কোনো বিষয় না থাকলে অনলাইনে শুনানি গ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এতে ভূমিসেবা গ্রাহকগণের ভূমি অফিসে যাওয়া লাগবে না―ক্ষেত্রবিশেষে অনেক ভূমিসেবা গ্রাহকের মূল্যবান সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন শিগগিরই : সৈয়দা রিজওয়ানা
অনলাইন ডেস্ক

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি জানান, বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিদ্যমান সিআরপিসিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বিচার বিভাগ সংস্কারের অংশ হিসেবে টেলিফোনে বা খুদে বার্তাসহ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সমন জারি হবে বলেও জানান উপদেষ্টা রিজওয়ানা।
এর আগে ২০২৪ সালের ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে প্রধান করে এই কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
চলতি বছরের গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য ২৮ দফা সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যা বললেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব
অনলাইন ডেস্ক

এক যুগের বেশি সময় পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ষষ্ঠ পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর পরই অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকা সফররত পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব।
বৈঠকের আলোচনার বিষয়ে এখনো কিছুই জানা না গেলেও পারস্পরিক বোঝাপড়া ও রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে উভয় পক্ষের জন্য বৈঠকটি তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।
বৈঠকের পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, ‘ঢাকায় এসে আমি খুশি। খাবার ভালো ছিল ও শপিং ভালো হয়েছে। আলোচনা ভালো হয়েছে।’
এর আগে গতকাল বুধবার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় আসেন আমনা বালুচ।

অর্থপাচার বন্ধে ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট সংশোধনের সিদ্ধান্ত
অনলাইন ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংক রেজল্যুশন অ্যাক্ট সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই সংশোধনী হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়বে। ফলে বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক থেকে অর্থপাচার ও লুটপাটের যে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে, তা বন্ধ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে বেশ কয়েকটা অধ্যাদেশ রয়েছে। আমরা কতগুলো নীতিগতভাবে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছি। তার মধ্যে একটা হচ্ছে সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ, রাজস্ব নীতি এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশ।
তিনি আরও বলেন, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ যেটা আছে, ১৯৭৪ সালের একটা আইন ছিল।
পানিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, একটা শিল্পগোষ্ঠী কর্তৃক কয়েকটা ব্যাংকে এককছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। কত টাকা এ দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এই জিনিসটা ভবিষ্যতে যাতে না হতে পারে, সেজন্য কর্পোরেট সেক্টর-ব্যাংক সেক্টরের শৃঙ্খলা আনার জন্য, আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ আজকে আমরা পাশ করেছি।

গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমল
নিজস্ব প্রতিবেদক

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) গ্রামীণ ব্যাংক সংশোধন অধ্যাদেশ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অধ্যাদেশে সরকারের মালিকানা ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে এবং ৯০ শতাংশ রাখা হয়েছে ব্যাংকের সুবিধাভোগীর জন্য।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এর আগে এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এখানে গ্রামীণ ব্যাংক আগে যখন কাজ করত, একটা মূল্যবোধ নিয়ে কাজ করত। সেই মূল্যবোধ হচ্ছে যারা গ্রামীণ ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদেরই অংশগ্রহণ থাকবে ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে। কিন্তু আমাদের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হয়েছিল এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মালিকানায় তার যে দর্শন ছিল—যে ঋণ নেবে তার হাতেই সুবিধা থাকবে। সেখান থেকে সরিয়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশে নিয়ে আসা হয়।
তিনি আরো বলেন, অধ্যাদেশে বোর্ডের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে— যারা এই ব্যাংকের সুবিধাভোগী, তাদের মধ্যে থেকে ৯ জন নির্বাচিত হয়ে আসবেন। এই ৯ জনের মধ্যে থেকে আবার ৩ জন মনোনীত হবেন এবং তাদের মধ্যে থেকে একজন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হবেন।
এ ছাড়া ‘ফিন্যানশিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট ২০১৫’ অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংককে জনস্বার্থ সংস্থা হিসেবে বিবেচনা করার একটা বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়।