<p style="text-align: justify;">তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। বৃষ্টি যেন কমিয়ে দিতে পারে এই অতিষ্ঠতা। রহমতের এই বৃষ্টির কামনায় রাজধানীতে আদায় করা হলো ইসতিসকার নামাজ। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর লালবাগের হাজী আবুল আলিম মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়। নামাজে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের চাওয়া অচিরেই বর্ষিত হবে রহমতের বৃষ্টি, কমে আসবে তাপপ্রবাহ।</p> <p style="text-align: justify;">আজ সকালে রাজধানীর লালবাগের হাজী আবুল আলিম মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতে জড়ো হতে থাকেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। নামাজ শেষে মুনাজাতে আল্লাহর কাছে নিজেদের পাপমুক্তি এবং রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করেন সবাই।</p> <p style="text-align: justify;">মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা বলেন, আমরা সবার জন্য দোয়া করলাম। আল্লাহ তায়ালা সবার গুনাহ মাফ করুক। মহান আল্লাহ আমাদের সবার জীবন থেকে বালা-মসিবত দূর করে দিক। আমাদেরকে দ্রুত বৃষ্টি দিয়ে এই গরম থেকে রক্ষা করুক।</p> <p style="text-align: justify;">দীর্ঘদিন ধরে লালবাগ অঞ্চলে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন হাবিবুর রহমান। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, 'আল্লাহর কাছে বৃষ্টি চাইলাম। এই গরমে মানুষ যেভাবে কষ্ট করছে সে কষ্ট থেকে সবাই যেন মুক্তি পেতে পারে। এর আগে ১৯৮০ সালে লালবাগ কেল্লার মাঠে এই একই রকম বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করা হয়েছিল। সে সময় নামাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বৃষ্টির দেখা পেয়েছিল এই এলাকার মুসল্লিরা। আমরা আশা করছি, আজকেও আমরা সেই রকম বৃষ্টির দেখা পাব।'</p> <p style="text-align: justify;">আরেক এলাকাবাসী ফাহিম হোসেন বলেন, 'মহান আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করেছি। আমাদের বিশ্বাস আমাদের ডাকে আল্লাহ তায়ালা সাড়া দেবেন এবং আমাদের জীবনে স্বস্তি ফিরে আসবে।'</p> <p style="text-align: justify;">শুধু মুসল্লিরা নয়, এমন আয়োজন করতে পেরে আয়োজকরাও খুশি। জাতীয় ইমামসমাজ বাংলাদেশের মহাসচিব আনোয়ারুল হক বলেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর আমলে যখন বৃষ্টি হচ্ছিল না, তখন রাসুল (সা.) সাহাবিদের নিয়ে নামাজ আদায় করেছিলেন। এরপর বৃষ্টি হয়েছিল। আমরা বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করছি। আশা করি খুব দ্রুতই আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। তবে এটি আমাদের গুনাহর ফসল। তাই এখানে এক নম্বর শর্ত হলো তাওবা করা। এখানে তাওবা করা হয়েছে। আমরা তাওবা করেছি, গুনাহ থেকে ক্ষমা চেয়েছি এবং আল্লাহ তালার দরবারে রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করেছি।'</p> <p style="text-align: justify;">ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, 'প্রচণ্ড গরমের ফলে মানুষ একস্থানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না, কোনো ধরনের কাজ করতে পারছে না। আমি অনেক দিন ধরেই চিন্তা করছিলাম কি করা যায়। তখন আমি ইমাম সাহেবের সঙ্গে আলোচনা করি। এর আগেও এ অঞ্চলে নামাজ আদায় হয়েছিল। এর ফলে বৃষ্টি হয়। তখন আমি হুজুরকে বলি যে আপনেরা যদি বলেন, তাহলে আমি দায়িত্ব নিতে পারি। তখন হুজুররা খুশি হয়ে আজকে তারিখ জানালেন। আমরা মাইকিং করে পুরো এলাকায় জানিয়ে দিই এবং এলাকাবাসী সবাইকে নিয়ে এই নামাজের আয়োজন করি।'</p>