<p style="text-align:justify">চাকরি করেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ড্রাইভার পদে। মাসে বেতন ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। তবে তাঁর রয়েছে বিলাসী জীবনযাপন। দুটি ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও রয়েছে দুটি মোটরসাইকেল।</p> <p style="text-align:justify">অনিয়ম-দুর্নীতির দায়ে বিআরটিসির এই ড্রাইভার ইলিয়াস শেখকে সম্প্রতি রাজধানীর তেজগাঁও ট্রাক ডিপো থেকে সিরাজগঞ্জ ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করা হলেও তিনি সেখানে যোগদান করেননি। উল্টো তাঁর অত্যাচারে অতিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।</p> <p style="text-align:justify">বিআরটিসি কর্তৃপক্ষকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত তিনি। বিআরটিসির একাধিক কর্মকর্তা এমন অভিযোগ করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">তাঁরা বলছেন, যেসব কর্মকর্তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বিআরটিসি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, সেসব কর্মকর্তাকে অপদস্থ করতে তৎপর ড্রাইভার মো. ইলিয়াস শেখ। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলায় হলেও গোপালগঞ্জের পরিচয় দিয়ে গত সাড়ে ১৫ বছর নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি। পরিচয় দিতেন শ্রমিক লীগের নেতা হিসেবে।</p> <p style="text-align:justify">অভিযোগ রয়েছে, ড্রাইভার ইলিয়াস শেখ গত ১৫ বছর বিআরটিসির সাবেক পরিচালক হামিদুর রহমান হামিদের ব্যক্তিগত সহকারীর রুমে বসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলির নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।</p> <p style="text-align:justify">পরিচালক হামিদ ও বিআরটিসির তৎকালীন চেয়ারম্যান এসব টাকার ভাগ পেতেন। সরকার পরিবর্তনের পরও অপতৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন ইলিয়াস।</p> <p style="text-align:justify">ড্রাইভার ইলিয়াসের অসদাচরণের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৫ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির আরেক গাড়িচালক মো. মাহফুজ মোল্লা বিচার চেয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনায় উল্টো অভিযোগকারীকে পুলিশ দিয়ে হুমকি-ধমকি দেন। এ ছাড়া জোয়ারসাহারা স্টাফ কোয়ার্টারের মো. মশিউর নামের এক কর্মচারীকে মারধর করার ঘটনায় ইলিয়াসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিআরটিসির আবাসন কমিটির সভাপতি ও প্রশাসনের দায়িত্বে নিয়োজিত পরিচালক বরাবর ১৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি অভিযোগ দেন।</p> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে উল্টো তিনি বিআরটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইলিয়াস শেখ ড্রাইভার পদে চাকরি পেলেও কোনো দিন গাড়ি চালাননি।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে কথা বলতে ইলিয়াস শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উল্টো তিনি প্রশ্ন করেন, ‘টাকা ও গাড়ি আমার আছে তাতে আপনার কী? কোটি টাকা কামাইছি সেটা আমার বিষয়। এ বলে ফোন কেটে দেন।</p> <p style="text-align:justify">বিআরটিসির মুখপাত্র কর্নেল মোবারক হোসেন মজুমদার কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়গুলো শুনেছি। তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ এসেছে। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’</p>