<p style="text-align:justify">বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ছয়টি বিভাগে নতুন পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে একাডেমির চারজন পরিচালকের চুক্তির অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার আলাদা প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নবনিযুক্ত ছয় পরিচালককে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী দুই বছরের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বিভিন্ন বিভাগে পরিচালকের ৬টি পদ রয়েছে। এই পদগুলোতে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। দুটি পদের চুক্তির মেয়াদ ইতিমধ্যে উত্তীর্ণ হওয়ায় অনেক দিন ধরেই খালি ছিল। চারটিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া পরিচালকরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই অফিসে যাচ্ছিলেন না। সোমবার এই চারজনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জয় ও পুতুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727711551-73d74db71c0efc968c2a052eb847b620.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জয় ও পুতুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/30/1430548" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">নতুন নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে একাডেমির চারুকলা বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন শিল্পী ও সমালোচক মোস্তফা জামান, নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগে ফয়েজ জহির, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগে মেহজাবীন রহমান, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে তানজিম ওয়াহাব, প্রযোজনা বিভাগে আব্দুল হালিম চঞ্চল এবং প্রশিক্ষণ বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন এ এফ এম নুরুর রহমান।</p> <p style="text-align:justify">চারুকলা বিভাগের দায়িত্ব পাওয়া মোস্তফা জামান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার জানা মতে, শিল্পকলা একাডেমিতে এটাই সবচেয়ে বড় বিভাগ। বিগত ১৫ বছরে শিল্পকলা একাডেমির চারুকলার অবস্থা ভয়াবহ খারাপ হয়েছে, এটা আমরা সবাই জানি। সেটাকে পুনরুদ্ধার (রিস্টোর) করার একটি কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই বিভাগ থেকে তিনটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী হয়। এর মাঝে দুটি জাতীয় এবং একটি আন্তর্জাতিক। দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর যে উদ্দেশ্য এবং মর্যাদাপূর্ণ অবস্থা ছিল সেটা ফিরিয়ে আনা মূল চ্যালেঞ্জ হবে।’</p>