<p>মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ক্লাইমেট স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার বলা হলেও তা মূলত ক্লাইমেট ধ্বংসকারী অ্যাগ্রিকালচার। কারণ এখানে যান্ত্রিকীকরণের কথা বলে আরো বেশি রাসায়নিক দ্রব্য ও কীটনাশক ব্যবহারের কথা চলে আসে।</p> <p>সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর সিক্স সিজনস হোটেলে ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন প্রস্তুতি : আমাদের করণীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য যখন কার্বন নিঃসরণের কথা বলা হয় তখন গাড়ি বা শিল্পায়নের অন্যান্য বিষয় চলে আসে। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফুড প্রোডাকশন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইউরোপ, আমেরিকা এমনকি ব্রাজিলে অ্যামাজন ফরেস্ট কেটে বিফ উৎপাদনের জন্য গাছ কাটা হচ্ছে। আমরা যে সয়াবিন খাই তা অরিজিনালি ক্যাটল ফিড হিসেবে উৎপাদিত, সেখানে সয়াবিন উৎপাদিত হচ্ছে ক্যাটল ফিড হিসেবে।</p> <p>তিনি আরো বলেন, জলবায়ু বা পরিবেশ নিয়ে কথা বললে শুধু পরিবেশবিদ বা পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে কেন জানি না ধরা হয়। ভবিষ্যতে জলবায়ু সম্মেলনে শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মতো আরো মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিনিধি নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। </p> <p>গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, হাওরে হিজল গাছ, সুন্দরবনে কেওরা, বাইন, কড়ই গাছ আবার বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য তাল গাছ লাগাতে হবে। খড়াপ্রবণ এলাকা, হাওর এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকাতে কোন ধরনের গাছ লাগাতে হবে তা আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখানোর বিষয় রয়েছে।</p> <p>গণসাক্ষরতা অভিযান ও নেটজ বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে মূল বক্তৃতা উপস্থাপন করেন ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ড. আইনুন নিশাত। এতে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক তপন কুমার দাশ।</p> <p>গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিষয়ক সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ, আরো বক্তৃতা করেন ধরা’র সদস্য সচিব শরিফ জামিল, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ আলম প্রমুখ।</p>