আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি বেওয়ারিশ লাশ দাফন এবং সেবা প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, বেওয়ারিশ লাশ যেন না থাকে, এটা আমরা কামনা করি।’
সোমবার (৩ মার্চ) রাজধানীর কাকরাইলে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের নতুন ভবন ‘আঞ্জুমান জে আর টাওয়ারের’ উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন একটা সমাজ বানাই, যেখানে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাজ আর নেই।
এটাই আমাদের লক্ষ্য। কারো লাশ যেন বেওয়ারিশ হিসেবে না থাকে।’
তিনি বলেন, ‘যার যার জায়গা থেকে আমরা বেওয়ারিশ হওয়া থেকে রক্ষা করতে পারি, যাতে যার লাশ তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কাছে থাকে। তাকে যেন সম্মানজনকভাবে দাফন করা যায়।
এতে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কর্মকাণ্ডের কোনো ব্যাঘাত হবে না। বরং আমরা তাদের সম্মান জানাব, এই জিনিসগুলো তুলে ধরার জন্য।’
আঞ্জুমান মুফিদুলে উপস্থিত থাকাকে সৌভাগ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের নাম শুনে আসছি। অদ্ভুত এক নাম, এই নামের কোনো ব্যাখ্যা জানতাম না—তার সঙ্গে একটা জিনিস জড়িত, শুধু জানি ‘বেওয়ারিশ লাশ’।
এরা কারা কোনো দিন জানিনি, আজকে চাক্ষুস দেখলাম। এরা এমন এক জগৎ থেকে ভেসে আসে, একটা লাশ পড়ে থাকলে উঠায়ে নিয়ে যায়। স্বপ্নিল একটা জিনিস। যত দুর্গম হোক, যত কঠিন পরিস্থিতি হোক, ওই নামটি আসে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম। এটা আমার কাছে খুব অবাক লাগত। যার পরিচয় জানা নেই, কিন্তু প্রতিদিন খবর আসছে। এখন জানলাম সারা দেশজুড়ে আছে। তাদের কোনো বক্তব্য কখনো কোনোও পত্রিকায় দেখিনি।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আলী ইমাম মজুমদার, আঞ্জুমান মুফিদুলের সভাপতি মুফলেহ আর ওসমানী ও সহসভাপতি গোলাম রহমান।