বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করছে কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে লিখেছে, বিশ্বব্যাপী মার্কিন সহায়তা বন্ধ করার বিষয়ে কিছু ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘মিথ্যাচার ও অপতথ্যের ক্যাম্পেইন’ চালাচ্ছে।
‘এই সিদ্ধান্ত ভারত ও বাংলাদেশসহ সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য। ভারতীয় সংবাদপত্রগুলো একটা বিষয় জানে না, বা ক্রমাগতভাবে এড়িয়ে যাচ্ছে, সেটা হল যুক্তরাষ্ট্রের যে সহায়তা, তা বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যয়ের খুবই নগণ্য একটা অংশ।
’
পোস্টে বলা হয়েছে, অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় এবং বহুপাক্ষিক ঋণদাতার তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আপেক্ষিক আকারের ওপর তথ্য সংকলন করা। বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ কর্তৃক গৃহীত তথ্যসমূহ তুলে ধরা হয়েছে ওই পোস্টে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বরাতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের হিসাব দেখা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউএসএআইডি’র অধীনে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ কোটি ১৭ লাখ ডলারের বেশি দেওয়ার তথ্য রয়েছে।
এর বিপরীতে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা থেকে এসেছে ১৯১ কোটি ১১ লাখ ডলার।
আর বিশ্বব্যাংক থেকে প্রায় ২২৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২১৫ কোটি ১৩ লাখ ডলারের বেশি অর্থ এসেছে।
প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ডলারের হিসাবে ওই সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৬৯৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। এই হিসাবের তুলনায় ইউএসএআইডির হিস্যা ১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
ইআরডির হিসাবে, ইউএসএআইডির অর্থায়ন জাইকার তুলনায় মাত্র ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ, বিশ্ব ব্যাংকের তুলনায় ৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ এবং এডিবির তুলনায় ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।