যেভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঠে বাংলাদেশিরা

হায়দার আলী ও জয়নাল আবেদীন
হায়দার আলী ও জয়নাল আবেদীন
শেয়ার
যেভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মাঠে বাংলাদেশিরা
ছবি : এএফপি

বিভিন্ন কারখানা ও ক্যান্টনমেন্টে মালি বা বাবুর্চির কাজ দেওয়ার কথা বলে তরুণদের পাঠানো হয় রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে। এমন তথ্য উঠে এসেছে কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে। 

জানা গেছে, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বব ফেসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেয় ড্রিম হোম ট্রাভেলস। এতে বলা হয়, রাশিয়ায় ক্যান্টনমেন্টে মালি ও বাবুর্চির কাজের সুযোগ রয়েছে।

বেতন শুরু দেড় হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। মাত্র ৩০ দিনের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার তথ্যও তুলে ধরা হয় এতে।

ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি মাঠপর্যায়ে স্থানীয় দালালদেরও কাজে লাগিয়ে দেয় ড্রিম হোম ট্রাভেলস। দালালরা উন্নত জীবনের আশ্বাস দিয়ে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করে তরুণদের।

সরল মনে তা বিশ্বাস করেন কলেজপড়ুয়া আরমানসহ অন্যরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে স্থানীয় দালালরা এই তরুণদের ঢাকায় ট্রাভেল এজেন্সির অফিসে নিয়ে আসে। একেকজন থেকে নেওয়া হয় আট লাখ টাকা করে।

আরমান কালের কণ্ঠকে জানান, তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা চুক্তি করে ড্রিম হোম ট্রাভেলস।

তিনিসহ ১০ জন তরুণকে প্রথমে ওমরাহ ভিসায় সৌদি আরবে পাঠায় ড্রিম হোম ট্রাভেল। সেখান থেকে তাঁদের বিক্রি করে দেওয়া হয় রাশিয়ান একটি চক্রের কাছে। রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর তাঁদের এক মাসব্যাপী কমান্ডো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কৌশলে দুজন দেশে ফিরে আসতে সমর্থ হলেও ফেঁসে যান বাকি আটজন। তাঁদের জোরপূর্বক মারধর করে যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করা হয়।

আরমান বলেন, ‘আমরা বারবার তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে আমাদের কর্মী ভিসায় পাঠানো হয়েছে। আমরা কোনো যুদ্ধে অংশ নিতে চাই না। এর পরও আমাদের যুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেয়। রাশিয়ান কমান্ডোরা মারধর করে আমাদের যুদ্ধে নিয়ে যায়। আমাদের সামরিক পোশাক পরিয়ে হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ তুলে দেওয়া হয়। কিয়েভে ড্রোন হামলা ও স্থলমাইন বিস্ফোরণ হলে আমার সামনে থাকা জিপে আটজনই প্রাণ হারান। আমি পেছনে মোটরসাইকেলে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। আমি এখন দেশে ফিরতে চাই।’

পাসপোর্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আরমানের জন্ম ২০০২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ শেষে তাঁকে যে সৈনিক নম্বর দেওয়া হয়েছে, তার একটি ছবিও পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, তাঁর আইডি নম্বর এ৫-১৯৭০৫৯।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এলো ১৩ বই

বাসস
বাসস
শেয়ার
বইমেলার দ্বিতীয় দিনে এলো ১৩ বই
অমর একুশে বইমেলার প্রথম দিনে তোলা ছবি। ফোকাস বাংলা

অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিনে ১৩টি বই এসেছে। আজ রবিবার মেলার সময় ছিল বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

নতুন বইগুলোর মধ্যে দুটি গল্পের বই, একটি উপন্যাস, চারটি কবিতার বই, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বই একটি, ইতিহাসভিত্তিক একটি, বিজ্ঞানবিষয়ক দুটি ও অন্যান্য দুটি।

আগামীকাল সোমবার বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হায়দার আকবর খান রনো’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশ নেবেন আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন এবং জলি তালুকদার। 

আজ ‘হেলাল হাফিজের রাজনৈতিক পাঠ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বইমেলার মূলমঞ্চে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সুমন রহমানের সভাপতিত্বে এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কুদরত-ই-হুদা।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মৃদুল মাহবুব।

প্রাবন্ধিক বলেন, ‘ঊনসত্তরের গর্ভ থেকে যেসব কবির জন্ম হয়েছিল, কবি হেলাল হাফিজ তাদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতার উচ্চারণ ছিল রাখঢাকহীন, স্পষ্ট, অনাবিল ও অভাবিত। কবিতা তাঁর কাছে কেবল ব্যক্তিগত দীর্ঘশ্বাসের বিষয় ছিল না।

তিনি মনে করতেন, সমষ্টির জন্যও কবিতার একটা দায় আছে। সত্তর থেকে চুয়াত্তরের মধ্যে যে রাজনৈতিক কবিতাগুলো তিনি লিখেছেন, সেগুলোর মূল সুর কখনো মুক্তিযুদ্ধ, কখনো স্বাধীনতাত্তোর রাজনৈতিক পরিস্থিতিজাত হতাশা, আশাবাদ, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা। রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সাধারণ মানুষের অবস্থা ও অবস্থান, রাষ্ট্রের কাছে কবির প্রত্যাশা, দ্রোহ-এসবই তার কবিতায় কখনো প্রত্যক্ষভাবে কখনো পরোক্ষভাবে উঠে এসেছে।’

আলোচক আরো বলেন, “কবি হেলাল হাফিজের কবিতার কথা বললেই পাঠকের মানসপটে ভেসে ওঠে ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ পঙক্তিটি। বাংলা ভাষার যেসব কবি কবিতা, নিজস্ব জীবনদর্শন ও জীবনযাপন দিয়ে মিথ হয়ে উঠতে পেরেছেন, কবি হেলাল হাফিজ তাদের একজন।

কবিতার ভেতর প্রেম, বিদ্রোহ ও রাজনৈতিক চেতনা কবিকে মানুষের অনুভূতির কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। হেলাল হাফিজ তার কবিতার মাধ্যমে মানুষের অনুভূতির সেই সুরটি স্পর্শ করতে পেরেছিলেন।”

সভাপতির বক্তব্যে সুমন রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ঊনসত্তর ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি সময়। কবি হেলাল হাফিজ তার কবিতায় সেই সময়টিকে ধারণ করেছেন। পাশাপাশি, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় উদ্ভূত দ্রোহ, সংগ্রাম, আশাবাদ, বিষাদ সব কিছুই তিনি কবিতায় তুলে এনেছেন।’

‘লেখক বলছি’ মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি রাসেল রায়হান, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন শফিক এবং শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি হাসান হাফিজ এবং জাকির আবু জাফর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা লাবণী এবং শিপন হোসেন মানব।

সুমন মজুমদারের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সঙ্গীতমঞ্জুরী শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রিজিয়া পারভীন, প্রিয়াংকা গোপ, ইসরাত জাহান, মিজান মাহমুদ রাজীব, মো. মাইদুল হক এবং নাফিজা ইবনাত কবির। যন্ত্রাণুষঙ্গে ছিলেন শিমুল বড়ুয়া (তবলা), রাজিব আহমেদ (কি-বোর্ড), মো. মেজবাহ উদ্দিন (অক্টোপ্যাড), সাইদ হাসান ফারুকী (লিড গিটার), পল্লব দাস (বেইজ গিটার)।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়ে পিএইচডি দেওয়া দরকার’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়ে পিএইচডি দেওয়া দরকার’
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সংগৃহীত ছবি

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দুর্নীতির বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। 

তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে মূল্যস্ফীতি, জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন), ব্যাংকঋণের সুদের হার ও ডলারের বিনিময় হার কৃত্রিমভাবে ধরে রাখা হয়েছিল। এসব কর্মকাণ্ডের সামষ্টিক প্রভাব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর পড়েছে।’

আজ রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক নীতিসংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

আরো পড়ুন
প্রচারপত্র বিলির সময় ধরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর...

প্রচারপত্র বিলির সময় ধরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা, অতঃপর...

 

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার মনে হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে একটা পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া দরকার। কারণ, বায়তুল মোকাররমের খতিবের যদি পালিয়ে যাওয়া লাগে, তাহলে বুঝতে হবে কী পরিমাণ ধ্বংস করা হয়েছে সব খাত। হেন কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না, যা ধ্বংস করা হয়নি। সব অপরাধীর মধ্যে একটা জোট তৈরি হয়েছিল।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘বাজারে তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের সংকট নেই। আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য বাড়বে না। দেশে আমদানি ব্যবস্থা ও মজুদ যথেষ্ট আছে। ইনশাআল্লাহ রমজান উপলক্ষে কোনো সমস্যা হবে না।

আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখছি, তাতে দেশে দাম কমার কথা। বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। আমি আশা করি, আমি এ কাজটা করতে পারব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, টিকে গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মাদ মুস্তাফা হায়দার চৌধুরী, সিটি গ্রুপের এমডি মোহাম্মদ হাসান, পোলট্রি খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কাজী ফার্মসের পরিচালক কাজী জাহিন হাসান।

মন্তব্য

আলোচিত-১০ (২ ফেব্রুয়ারি)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়বে : ইকুইনা আকিকো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে জাপানি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো বাড়বে : ইকুইনা আকিকো

বাংলাদেশ সফররত জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রী ইকুইনা আকিকো বলেছেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১০টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে এবং এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ সমর্থনের কথা জানান। জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রী দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।

তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার, চলমান সংস্কার কর্মসূচি ও রাষ্ট্রগঠন প্রক্রিয়ায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে জাপানের বিশাল সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জাপানের উপমন্ত্রী বাংলাদেশে এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস দেন। 

তিনি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) দ্রুত সম্পাদনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের প্রশংসা করে আকিকো জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরও বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ ও ব্যবসা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে ৩১০টিরও বেশি জাপানি প্রতিষ্ঠান ব্যবসা পরিচালনা করছে উল্লেখ করে এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানান।

বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুবিধা দিতে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ওয়ান-স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কার্যকর করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। 

আকিকো আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।

জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে সমর্থক হিসেবে বাংলাদেশ একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের পক্ষে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এতে সব পক্ষের নৌ-চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা উচিত। 

তিনি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এ সংকটের স্থায়ী সমাধানে জাপানের অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে জাপানের সহায়তার প্রশংসা করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দ্রুত প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা কামনা করেন।

এছাড়া, জাতিসংঘের সহযোগিতায় দোহায় রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন আয়োজনের ক্ষেত্রেও তিনি জাপানের সহযোগিতা চান।

আন্তর্জাতিক পরিসরে নির্বাচন বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব নিয়েও উভয় পক্ষ আলোচনা করে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ সফরের জন্য জাপানের পার্লামেন্টারি উপমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে তার সফর বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে আরও নতুন গতিসঞ্চার করবে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ