বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ আমিরাতের বড় দুই কম্পানির

শেয়ার
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ আমিরাতের বড় দুই কম্পানির
সংগৃহীত ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুটি বড় কম্পানি আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ এবং মাসদার বাংলাদেশের বন্দর উন্নয়ন, বন্দর পরিচালনা ও লজিস্টিকস সহায়তা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপের (এডিপিজি) সিইও আহমেদ ইব্রাহিম আল মুতাওয়া এবং মাসদারের এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ প্রধান ফাতিমা আলমাধলুম আলসুওয়াইদি সাক্ষাৎ করে এসব বিনিয়োগ প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

আরো পড়ুন
পিনাকীর নির্দেশনায় নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

পিনাকীর নির্দেশনায় নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

 

প্রধান উপদেষ্টা এই বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত।’

এডিপিজি ও মাসদারের নির্বাহীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা আপনাদের টিম নিয়ে আসুন এবং যতগুলো কারখানা স্থাপন করতে চান, করুন।

আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ হলো চতুর্থ বৃহৎ বন্দর পরিচালনা ও লজিস্টিকস কম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ড, ডেনমার্কের এপি মুল্যার মায়ের্স্ক এবং সৌদি আরবের রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের পর তারা বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনায় আগ্রহ প্রকাশ করল।

বাংলাদেশে প্রস্তাবিত তিন বে টার্মিনালের মধ্যে একটি টার্মিনালকে আবুধাবি পোর্টস গ্রুপ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যৌথ উদ্যোগে অর্থায়ন ও পরিচালনা এবং বহুমুখী টার্মিনাল ও কনটেইনার রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

আরো পড়ুন
বিএম কলেজ ছাত্রীকে হেনস্তা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

বিএম কলেজ ছাত্রীকে হেনস্তা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

 

প্রতিষ্ঠানটির সিইও আল মুতাওয়া বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উষ্ণ মনোভাবের প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের বন্দরগুলোতে জাহাজ চলাচল বৃদ্ধি করতে সহায়ক হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রতিষ্ঠান মাসদার বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমিতে ২৫০ মেগাওয়াটের একটি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে।

মাসদারের আঞ্চলিক বিনিয়োগ প্রধান ফাতিমা আলমাধলুম আলসুওয়াইদি বলেন, ‘বাংলাদেশে নতুন ধারণা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক বেশি সহায়ক।’

আরো পড়ুন
ট্রেন চলাচল নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল

ট্রেন চলাচল নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল

 

সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আলহুমৌদি, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

দুবাই শাসকের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে ফেব্রুয়ারিতে আমিরাতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগদানের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন আবদুল্লাহ আলী আলহুমৌদি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কমিশন দায়বদ্ধ : ইসি সানাউল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে কমিশন দায়বদ্ধ : ইসি সানাউল্লাহ
সংগৃহীত ছবি

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল সানাউল্লাহ বলেছেন, এ কমিশন দায়িত্ব গ্রহণ করেছে সত্যিকার অর্থে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। যেসব কারণে জুলাই-আগস্টের অবতারণা হয় তার মধ্যে অন্যতম ছিল ভোটের অধিকার হারিয়ে যাওয়া। বর্তমান কমিশন একটি ভঙ্গুর নির্বাচনব্যবস্থার মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। অপরপাশে রয়েছে সন্তানদের রক্ত।

কাজেই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এ কমিশন দায়বদ্ধ।

আরো পড়ুন
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ ৩ দিনের রিমান্ডে

সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ ৩ দিনের রিমান্ডে

 

সোমবার সকালে রাজশাহীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কাজের তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরও এতদিন যারা ভোট দিতে পারেননি, তারাও সুষ্ঠু নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছেন। কাজেই কোনো নাগরিক উপযুক্ত হওয়ার পরও ঐচ্ছিক কাগজপত্র বা সামান্য জটিলতার কারণে যেন ভোটার হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন, সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

আরো পড়ুন
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যা জানা গেল

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যা জানা গেল

 

নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া কথা জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য থেকে আমরা একটা ধারণা পাই, তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার কার্যক্রম যদি সংক্ষিপ্ত আকারে করতে হয়, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সেই পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়ায় তাহলে আগামী ডিসেম্বর। আর সংস্কার কার্যক্রম যদি আরেকটু দীর্ঘ করতে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করা সম্ভব। 

এক প্রশ্নে ইসি বলেন, বিগত সময়ে ১৮ থেকে ২৪ লাখ মৃত মানুষ ভুয়া ভোটার তালিকায় ছিল।

সেই ক্ষেত্রে ১৮ থেকে ২৪ লাখ মৃত মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে।

আরো পড়ুন
শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আহসান আকবরের রঙ বদল, এবার ‘বিপ্লবী’ সেজে মাঠে!

শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আহসান আকবরের রঙ বদল, এবার ‘বিপ্লবী’ সেজে মাঠে!

 

পর্দার বিষয় নিয়েও অনেক নারী ছবি তুলে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে চায় না জানিয়ে তিনি বলেন, আইনি বাধ্যবাধকতায় ছবি ছাড়া ভোটার নিবন্ধনের সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে ইসলামিক স্কলাররা অবশ্যই জাতীয় প্রয়োজনে ছবি তোলার পক্ষেয় কথা বলবেন। কারণ ছবি ছাড়া ভোটার নিবন্ধন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, একটি ভালো এবং সুষ্ঠু ভোটের পূর্ব শর্তই হচ্ছে একটি সুষ্ঠু ও নির্ভুল ভোটার তালিকা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই প্রথম সভাতেই আমরা সিদ্ধান্ত নেই, এবারের ভোটার তালিকাটি আমরা হালনাগাদ করব। বাড়ি বাড়ি যাওয়ায় বাধ্যবাধকতা নেই এবং ভবিষ্যতে আর কখনো বাড়ি বাড়ি যাব কি না আমরা জানি না। কারণ এই সেবাটি সারা বছর সব সময় উন্মুক্ত।

তিনি বলেন, আজকে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার দিন শেষ কিন্তু আগামীকাল থেকে যারা এখনো নিবন্ধন করতে পারেননি, তারা যেকোনো সময় অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন। আমরা বোধ করি, আমাদের এই শত চেষ্টার পরও কিছু মানুষ বাইরে থেকে যাবেন।

আরো পড়ুন
প্রথমবার সিনেমায় জুটি যিশু-শ্রাবন্তী, থাকছেন দেবও?

প্রথমবার সিনেমায় জুটি যিশু-শ্রাবন্তী, থাকছেন দেবও?

 

স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের নয় জানিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নেয় না। নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা। আমাদের অতিরিক্ত দায়িত্বের অংশ হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তথা সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেয় তখন আমরা সেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করে দিই। সুতরাং স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে কি হবে না, কবে হবে, এটা সরকারই সিদ্ধান্ত নেবে। যখন সিদ্ধান্ত নিবে তখন আমরা জানতে পারবো।

বিগত বিতর্কিত নির্বাচনের সময় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের ব্যাপারে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কেউ-ই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আমরা যারা বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছি আমরাও আইনের ঊর্ধ্বে নই। তাই কেউ যদি নিজে সুপরিকল্পিতভাবে এবং নিজে সংশ্লিষ্ট থেকে কোনো অপরাধ করে থাকে তাকে আইন আদালতের সামনে যেতে হতেই পারে। এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়, আইন এবং আদালতের বিষয়।
 

মন্তব্য

শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আহসান আকবরের রংবদল, এবার ‘বিপ্লবী’ সেজে মাঠে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠ আহসান আকবরের রংবদল, এবার ‘বিপ্লবী’ সেজে মাঠে!
লিট ফেস্ট ও অন্য একটি অনুষ্ঠানে আহসান আকবর। সঙ্গে আছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিও। অন্য ছবিতে টিউলিপের সঙ্গে পেছনের সারিতে টিউলিপের প্রচারণায় রয়েছেন তিনি।

বিগত আওয়ামী সরকারের শাসনামলে ছিলেন তাদের ছত্রচ্ছায়ায়। ছিলেন দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ একজন বন্ধুও। টিউলিপের ভাই রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির সঙ্গেও ছিল বেশ সখ্য। নানাবাড়ি গোপালগঞ্জে হওয়ায় সব সময় আওয়ামী ভাব ধরতেন।

পরিচয় দিতেন শেখ পরিবারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে। 

ওয়াসার বিতর্কিত এমডি তাকসিনও তার আত্মীয়। আর সেই ব্যক্তিই এবার হঠাৎ করে ভোল পাল্টে গত ৫ আগস্টের পর হয়ে গেছেন বড় ‘বিপ্লবী’। নাম তার আহসান আকবর।

 

গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘সফট পাওয়ার, হার্ড অ্যাবিউজ : দ্য মিডিয়া মাফিয়া অব আওয়ামী লীগ’ শিরোনামে একটি সেমিনার আয়োজন করেন এই আহসান আকবর। কথিত সেই সেমিনারের পরপরই সাংবাদিক মহলে কৌতূহল জাগে আহসান আকবর সম্পর্কে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। ওই সেমিনারে অংশ নেওয়া একাধিক সাংবাদিকের দাবি, সেমিনারের শিরোনাম দেখে মনে হয়েছিল— গোটা মিডিয়ার অপব্যবহার নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

যদিও সেমিনারটি ছিল মূলত আহসান আকবরের ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে কুৎসা রটানোর একটি সংবাদ সম্মেলন।

সেমিনারটিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার।

সেদিনের সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীরা আহসান আকবরকে আ. লীগের শীর্ষ লোকজনের সঙ্গে তার সুবিধা নেওয়ার প্রসঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্ন করেন।
মূলত সেসব প্রশ্নের মুখে টিউলিপ সিদ্দিক ও রাদওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেন কথিত এই ‘বিপ্লবী’। 

আহসান আকবর জানান, তিনি টিউলিপের ক্যাম্পেইনে ছবি তুলেছিলেন।

আর তার কারণ- সেটা দেখিয়ে যাতে জেমকন গ্রুপের কর্ণধারদের কাবু করা যায়। 

সূত্রের বরাতে জানা যায়, আহসান আকবর আসলে টিউলিপের বিভিন্ন নির্বাচনে নিয়মিত ও জোরাল ক্যাম্পেইন করেছিলেন। এমনকি টিউলিপের স্বামী ক্রিসকে বাংলা শেখানোর কাজটিও তিনিই করেছেন। 
আহসান আকবর ঢাকা লিট ফেস্টে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিকে অতিথি হিসেবে নিয়ে যান। আর সেখানে সিআরআই থেকে প্রকাশিত শেখ মুজিবুর রহমানের ছোটবেলার জীবনী নিয়ে একাধিকবার বিশেষ আলোচনা ও স্টল রাখা হয়।
সূত্রের বরাতে প্রাপ্ত নথিতে পাওয়া যায়, ঢাকা লিট ফেস্ট আয়োজন করত যাত্রিক নামে একটি প্রতিষ্ঠান। আর ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সাদাফ সাযও লিট ফেস্টের অন্যতম একজন পরিচালক। 

লিট ফেস্টের অপর পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ। তার পরিবার সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠান লিট ফেস্টে ব্যাপক স্পন্সর করে। কিন্তু আহসান আকবর ও সাদাফ সাযের ভূমিকা ছিল ভিন্ন– শুধুই টাকা তোলা। 
আহসান আকবর ও সাদাফ সায যৌথভাবে লিট ফেস্ট পরিচালনার নামে বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও আওয়ামী লীগ সরকার থেকে কোটি কোটি টাকা স্পন্সর হিসেবে আদায় করতেন। তবে লিট ফেস্টের নামে তোলা টাকা, এমনকি সরকারি অনুদানও যেত যাত্রিক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লিট ফেস্টের ঘনিষ্ঠ এক সূত্রের দাবি, এত টাকা তোলার পরও প্রতিবছরই ভেন্ডরদের পেমেন্ট বাকি থাকত। এ রকম কেন হয়েছে— বিষয়টি তদন্তের দাবি রাখে, যেহেতু এখানে সরকারের তথা জনগণের টাকাও অনুদান হিসেবে ছিল। এখানে আরো উল্লেখ্য যে আহসান আকবর ও সাদাফ সায দুজনই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালনের অনুবাদ সংক্রান্ত সাব-কমিটির কো-অপ্ট সদস্য ছিলেন। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা লিট ফেস্টে বিদেশ থেকে যেসব অতিথি আনা হতো, তাদের ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে আনা হয়েছিল। যাতে সরকারের কোষাগারে কর দিতে না হয়। কর ফাঁকি ছাড়াও অতিথিদের উচ্চ অঙ্কের সম্মানির খাত দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে আহসান আকবর। এমনটাই অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিট ফেস্টের একজন সাবেক কর্মী। এই সূত্র মতে- সেই টাকা আহসান আকবর লন্ডনেও পাচার করেছেন। 

সূত্র আরো জানায়, আহসান আকবর দীর্ঘদিন লন্ডনের টিটুলিয়া টি ইউকের সিইও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আহসান আকবরের অদক্ষতা ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ নিয়ে নয়ছয় করার কারণে বছর দুয়েক আগে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। এ সময় থেকে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে জেমকন গ্রুপের কর্ণধারদের কাছে নানা অছিলায় টাকা চাইতে শুরু করেন আহসান আকবর। 
একপর্যায়ে সাত লাখ ৩০ হাজার পাউন্ড ‘ক্ষতিপূরণ’ দাবি করে বসেন। লিখিত সেই দাবির ই-মেইল এই প্রতিবেদক দেখেছেন। 

জেমকনের কর্ণধাররা এ রকম উদ্ভট দাবিতে সম্মতি না জানালে আহসান আকবর তাদের নানা ধরনের হুমকি দিতে শুরু করেন। আর সেই হুমকি দেওয়া ই-মেইলও এ প্রতিবেদক দেখেছেন। একপর্যায়ে জেমকনের মালিকরা বাধ্য হয়ে যুক্তরাজ্যে আদালতের দ্বারস্থ হন। 

পরবর্তীকালে আদালত জরিমানাসহ আহসান আকবরের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। মূলত এর পর থেকেই আহসান আকবর বাংলাদেশে জেমকনের মালিকদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার ক্যাম্পেইনে নামেন।  
সাহিত্য অঙ্গনের একজন জানান, সব জায়গায় নিজেকে কবি এবং লেখক হিসেবে দাবি করলেও বাজারে আহসান আকবরের একটি মাত্র কবিতার বই রয়েছে। আর তার সেই বইটিও জেমকন গ্রুপের পরিচালক কাজী আনিস আহমেদের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল লাইটস থেকেই ছাপা। তা-ও আবার ২০১৩ সালে।

আহসান আকবরের সাম্প্রতিক ‘সেমিনার’ নিয়ে আরো সন্দেহ জাগে মিডিয়াকর্মীদের। কেননা সেখানে তিনি আ. লীগের সাফাই গাওয়ারও চেষ্টা করেন। 
নিজের বক্তব্যে তিনি বলেছিলেন, ঢাকা লিট ফেস্ট প্ল্যাটফরমেও অপব্যবহার করেছে আওয়ামী লীগ।

সেখানে তার দাবি ছিল, শেখ হাসিনার ভাগ্নের নেতৃত্বে প্রচার সংস্থা সিআরআই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফরমগুলোকে প্রভাবিত করেছে। যেমন— ঢাকা লিট ফেস্ট প্যানেলের অপব্যবহার, যথাযথ নির্বাচন ছাড়াই পেন বাংলাদেশ দখল এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করেছে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে নিজের বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সবাই খারাপ নয়। ওপরের লোকজন খারাপ হলেও মাঠের অনেকেই ভালো। 

মূলত তার এই বক্তব্যে অনেকের ধারণা— আহসান আকবর বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বিপ্লবী সেজে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সফট ধারণা তৈরির জন্য মাঠে নেমেছেন।
এ ধরনের ব্যক্তিগত ও মিশ্র উদ্দেশ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আশরাফ কায়সারের মতো ব্যক্তিত্বের অংশগ্রহণে উপস্থিত অনেক সাংবাদিকও বিস্মিত হয়েছেন ।

মন্তব্য

সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এসেছে। কিছু জায়গায় সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের কাছে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আপনারা করবেন।

এতে যে অতিরিক্ত ব্যয় হবে, এটা কীভাবে সমাল দেবেন? এটা তো দীর্ঘকালীন একটা ব্যয় তৈরি হবে।

আরো পড়ুন
জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ

জানা গেল বাংলাদেশে রোজা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ

 

জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকার থাকতে ওরা এটা করেনি। এখন আমরা যেটা দিচ্ছি, এটা একেবারেই নয়, এসব লোক একেবারেই বঞ্চিত হয়েছে। পে কমিশন করে সামনে পে বাড়াব, এসবে আমরা কিন্তু হাত দিচ্ছি না।

এটা আমাদের কাজও না।

তিনি আরো বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারা পে কমিশন করবে, এর আগে ২০১৫ সালে পে কমিশন হয়েছে।’

আরো পড়ুন
নেতানিয়াহুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইসরায়েলের পুলিশ

নেতানিয়াহুর স্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ইসরায়েলের পুলিশ

 

তবে কি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো নিয়ে এখন কিছু হচ্ছে না? এমন প্রশ্নের জবাবে সাহেলউদ্দিন আহমেদ মাথা নেড়ে ‘না’ সূচক উত্তর প্রদান করেন। তিনি বলেন, ‘কেবল স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের ওভারটাইম, অন্যান্য কিছু বিষয় আমরা দেখব, যদি সম্ভব হয়।

এটি অবশ্যই ফ্রেমের মধ্যে, আমরা কোনো পে স্কেল পরিবর্তন করব না।’

অর্থ উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘আমি কিন্তু সামাজিক খাতে বরাদ্ধ কমাব না। শিক্ষা, আইটি, স্বাস্থ্য, সমাজকল্যাণে আমাদের কমিটমেন্ট আছে, এগুলোতে কিন্তু বরাদ্দ কমাব না। আমাদেরকে অর্থদাতারাও বলেছে, তোমরা অবকাঠামো করবে, আমাদের থেকে বাজেট সহায়তা নেবে, কিন্তু এইসব খাতে বরাদ্দ কমাবে না।’

 

সূত্র : বিবিসি বাংলা

মন্তব্য

তিতুমীর কলেজের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তিতুমীর কলেজের আন্দোলন নিয়ে যা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ ৭ দফা দাবিতে সরকারি তিতুমীর কলেজের প্রধান ফটকের সামনে আজও অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে তারা এই অবস্থান নেন। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে গত কয়েকদিন ধরেই তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

এবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

তিনি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। তাদের শিক্ষাজীবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিও সরকার আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল। এই মুহূর্তে  হয়ত অনেক কিছু করা সম্ভব না।

জনভোগান্তি না করাই ভালো। আশা করি সবার জন্য ভালো কিছু হবে।’
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ