সাবেক মন্ত্রী ফরহাদকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে হস্তান্তর

শেয়ার
সাবেক মন্ত্রী ফরহাদকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে হস্তান্তর
ফাইল ছবি

সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তাকে মেহেরপুর আদালতে হাজির করা হবে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে তাকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরার জন্য ফরহাদ হোসেনকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মেহেরপুরের কোর্ট ইন্সপেক্টর মানষ রঞ্জন দাস।

৫ আগস্টের পর মেহেরপুরে ফরহাদ হোসেনের নামে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। এ ছাড়া ঢাকায় তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তিনি মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

এখনো পদত্যাগ করিনি : নাহিদ ইসলাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এখনো পদত্যাগ করিনি : নাহিদ ইসলাম
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেননি। আজ রবিবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে এদিন সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি।

এর আগে গত মঙ্গলবার নাহিদ জানিয়েছিলেন, উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ ও নতুন রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে সপ্তাহের শেষ দিকে তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

তবে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি সূত্র জানায়, উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক সভায় নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করতে পারেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজধানীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩১

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজধানীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩১
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৩১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তাদের মধ্যে অস্ত্র ও হত্যা মামলার আসামি, চাঁদাবাজ, চিহ্নিত অপরাধী, অবৈধ জমি দখলকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারি রয়েছেন।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

আইএসপিআর জানায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জানমালসহ সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আইনবহির্ভূত কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী নিরপেক্ষতা ও পেশাদারির সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেড, ৮৬ স্বতন্ত্র সিগন্যাল ব্রিগেড এবং ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের অধীন ইউনিট এবং থানা পুলিশের সমন্বয়ে মিরপুর, কাফরুল, গাবতলী, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, চকবাজার, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, পল্লবী ও উত্তরাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আইএসপিআর আরো জানায়, এসব যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও হত্যা মামলার আসামি, তালিকাভুক্ত চাঁদাবাজ, চিহ্নিত অপরাধী, অবৈধ জমি দখলকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক কারবারিসহ ১৩১ জন অপরাধীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে আইএসপিআর।

মন্তব্য

ভারতের প্রতি বাংলাদেশের শত্রুতাপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই না : জয়শঙ্কর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের প্রতি বাংলাদেশের শত্রুতাপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই না : জয়শঙ্কর
সংগৃহীত ছবি

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘তাদের (বাংলাদেশ) স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি। আমরা এমন কোনো আচরণ দেখতে চাই না, যা ভারতের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ সংকেত দেয়। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আমাদের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক চায়।’

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহিত্য উৎসবে বাংলাদেশ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জয়শঙ্কর।

 ভারতীয় সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব ইন্ডিয়ার (ইউএনআই) প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক যেন স্বাভাবিক থাকে, ভারত সেটাই চায়। আমরা প্রতিবেশীদের সর্বদা শুভ কামনা জানাই। বাংলাদেশকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আমাদের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক চায়।

বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেবল দীর্ঘ নয়, এটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক বিশেষ ইতিহাস।’

বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের নাক গলানো এবং সীমান্ত-হত্যাসহ নানা বিষয়ে দেশটিকে সতর্ক করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের দেওয়া বক্তব্যকে ‘ভারতবিরোধী’ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি বলেছেন, এসব বক্তব্য ‘সম্পূর্ণ হাস্যকর’।

গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত বছর সেখানে যা ঘটেছে, তা সবাই জানেন।’

জয়শঙ্কর বাংলাদেশের পরিস্থিতির দুটি দিককে ভারতের জন্য ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ধারাবাহিক হামলা। আমি মনে করি, এটি স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে এবং এ বিষয়ে আমাদের কথা বলা প্রয়োজন, যা আমরা এরই মধ্যে করেছি।’

‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ যদি প্রতিদিন ভারতের ওপর দোষারোপ করে এবং প্রতিবেদনগুলো দেখলে বোঝা যায়, অনেক অভিযোগ সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও হাস্যকর।’

‘একদিকে ভালো সম্পর্ক চাওয়ার কথা বললে, আরেক দিকে প্রতিদিন সকালে উঠে যদি সব কিছুর জন্য আমাদের দোষারোপ করা হয়, তাহলে তা মানানসই নয়। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা আমাদের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চাইছে,’ বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের খুব স্পষ্ট বার্তা দিয়েছি, আপনারা আমাদের প্রতিবেশী। আমরা চাই, পরিস্থিতি শান্ত হোক, বাণিজ্য, পারস্পরিক যোগাযোগ ও অন্যান্য সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকুক। কিন্তু আমরা এমন কোনো বার্তা বা আচরণ দেখতে চাই না, যা বারবার ভারতের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ সংকেত দেয়।’

মন্তব্য

নাগপুরে জরুরি অবতরণ : যাত্রী ভোগান্তি নিয়ে যা জানাল বিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নাগপুরে জরুরি অবতরণ : যাত্রী ভোগান্তি নিয়ে যা জানাল বিমান
সংগৃহীত ছবি

ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ডাইভারটেড ফ্লাইট বিজি ৩৪৭-এর ঘটনা সম্পর্কে ব্যখ্যা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। 

গত ১৯ জানুয়ারি ঢাকা দুবাইয়ের পথে উড়াল দেওয়ার ঘণ্টা দুই পরই বিমানের এই ফ্লাইটটি নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে।

রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলামের সই করা এ ব্যাখ্যা গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ভারতের স্থানীয় বিধি-নিষেধ এবং নাগপুর বিমানবন্দরের সীমাবদ্ধতার কারণে উপরোল্লিখিত উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল।

 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রথমত, ভারতের নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর। এই বিমানবন্দরের ধারণ ক্ষমতা সীমিত। দ্বিতীয়ত, ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা অনুমতির দীর্ঘসূত্রতার কারণে যাত্রীদের টার্মিনালে না নিয়ে বহু সময় বাসে অবস্থানের কারণে পানি এবং টয়লেটের ব্যবস্থা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত হন। তৃতীয়ত, নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিমানের যাত্রীদের অস্থায়ী অবতরণের অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি।

ফলে বাধ্য হয়েই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের হোটেলে না পাঠিয়ে টার্মিনালে অপেক্ষমাণ রাখতে বাধ্য হয়।

চতুর্থত, নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩৯৬ জন যাত্রীর খাদ্য প্রস্তুতে অন্যান্য বিমানবন্দরের তুলনায় বেশি সময় নেয়। পঞ্চমত, ভারতের নাগপুর বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টের স্বল্পতার জন্য যাত্রীদের ব্যাগেজবাহী কনটেনার লোডিংয়ে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ করে। ফলে বিমানবন্দর বন্ধের আগে উড্ডয়ন সম্ভব হয়নি।

এ ছাড়া টার্মিনালের অভ্যন্তরে যাত্রী লাউঞ্জে বিমানের দিল্লির স্টেশন ম্যানেজার প্রবেশের পাশ ইস্যুতে নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কালক্ষেপণ করায় যাত্রীদের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।

জানা যায়, বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-দুবাই রুটের নির্ধারিত ফ্লাইট বিজি৩৪৭ ঢাকা থেকে সন্ধ্যা ৮টা ৪০ মিনিটে ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ২২ টন কার্গো নিয়ে যাত্রা শুরু করে। উক্ত বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটিতে ২ জন বৈমানিক, ১০ জন কেবিন ক্রু এবং ৩৯৬ জন যাত্রী ছিল। যাত্রাপথে ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুর শহর অতিক্রান্ত হওয়ার সময় ক্যাপ্টেন পেছনের কার্গো কম্পার্টমেন্ট থেকে ককপিটে ফায়ার সতর্কীকরণ সংকেত পান। এ সময় যাত্রীদের নৈশভোজ পরিবেশন করা হচ্ছিল।

ফ্লাইটের পাইলট-ইন-কমান্ড আইকাও/বোয়িং/ক্যাবের নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করেন এবং উড়োজাহাজ পরিচালনার দিক নির্দেশানুযায়ী নিকটবর্তী ভারতের নাগপুরের ‘ড. বাবা সাহেব আমবেদকা’ বিমানবন্দরে বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৭ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করেন। 

বৈমানিক নাগপুরের বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরই সব যাত্রীকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে নাগপুরে অবতরণের সিদ্ধান্তটি ইন-ফ্লাইট এনাউন্সের মাধ্যমে অবহিত করেন। ফ্লাইটটি নাগপুরে অবতরণের পর যাত্রীদের উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে নেওয়া হয়। ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ ক্রুসহ সর্বমোট ৪০৮ জনকে বিমানবন্দরে যাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাসে করে উড়োজাহাজটি থেকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে নিয়ে যাওয়া হয়।

বোসরা ইসলাম আরো জানান, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ১ ঘণ্টা ২০ মিনিটের বেশি সময় ৪০৮ জনকে বিমানবন্দর টার্মিনালে নিয়ে যাবার অনুমতি দেয়নি। এসময় পানি এবং টয়লেট সুবিধার জন্য যাত্রীরা বার বার অনুরোধ করা সত্যেও ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা অনুমতির আনুষ্ঠানিকতার প্রসঙ্গ তুলে তা প্রদান করা থেকে বিরত থাকেন। এতে বিশেষভাবে বৃদ্ধ এবং নারী যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। পরবর্তীতে রাত ১টায় টার্মিনালে যাত্রীদের লাউঞ্জে নেবার অনুমতি দেন।

পরে ভারতের নাগপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ই-মেইলের মাধ্যমে যাত্রীদের সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঢাকা থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সেইসাথে আশ্বস্ত করা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যাত্রীদের যাবতীয় খরচাদি বহন করবে। নাগপুর কর্তৃপক্ষ অবহিত করেন, এই বিপুল সংখ্যক খাবার প্রস্তুতের জন্য তাদের ৩-৪ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। বোয়িং ৭৭৭ এর মত এত বৃহদাকার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ উক্ত বিমানবন্দরে নিয়মিত চলাচল করে না। বিমানের যাত্রীদের হোটেলে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। এ কারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনালেই থাকতে হয়।

উল্লেখ্য, বোয়িং ৭৭৭ এর মতো এত বৃহদাকার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ ওই বিমানবন্দরে নিয়মিত চলাচল করে না। বিমানের যাত্রীদের হোটেলে পাঠানের জন্য অনুরোধ করা হলে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের  অস্থায়ী ল্যান্ডিং পারমিট প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করে। একারণে বাধ্য হয়ে যাত্রীদের টার্মিনালেই থাকতে হয়।

যাত্রীদের দেখা-শোনা করার জন্য বিমানের দিল্লিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজারকে বলা হলে তিনি সেখানে ইনডিগো এয়ারে করে ৯টা ১৫ মিনিটে নাগপুরে পৌঁছান। অনুমানিক ভোর ৩টার দিকে যাত্রীদেরকে পানি সরবরাহ করা হয়। সকাল ৭টার দিকে পানি ও চা দেওয়া হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় নাস্তা পরিবেশন করা হয়। নাগপুর ক্যাটারিং-এর সীমিত সক্ষমতা থাকার কারণে নাস্তা দিতে সময় বেশি লেগেছে।

বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং টিম উড়োজাহাজের সব কার্গো ফায়ার এক্সটিংগুইসার ব্যবহৃত হওয়ায় ওই উড়োজাহাজে যাত্রীদের দুবাইতে পরিবহন করা সম্ভব নয় জানিয়ে মতামত প্রদান করে।

সেই মোতাবেক বিমান ঢাকা অপারেশন্স কন্ট্রোল উদ্ধারকারী ফ্লাইটের পরিকল্পনা হাতে নেয়, যা ঢাকা থেকে বিজি১২৬ (দোহা-চট্টগ্রাম-ঢাকা) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে নামার পর সকাল সাড়ে ৯টায় এ যাত্রার সময় পরিকল্পনা করা হয়।

ভারতের প্রয়োজনীয় অনুমতিপ্রাপ্ত হওয়ার পর বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২৮ মিনিটে ঢাকা থেকে যাওয়া উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিটে নাগপুরে অবতরণ করে।

নাগপুর বিমানবন্দর রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত অবগত হয়ে নাগপুরে অবতরণের পরপরই যাত্রীদের উদ্ধারের ফ্লাইটটির ক্যাপ্টেন অপেক্ষমান যাত্রীদের বিমানে আসন গ্রহণ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজবহনকারী কন্টেনারগুলো উদ্ধারকারী ফ্লাইটে লোড করার নির্দেশনা দেন। যাত্রীরা উড়োজাহাজে আসন গ্রহণ করলেও নাগপুর একটি আঞ্চলিক বিমানবন্দর হওয়ায় বৃহদকার উড়োজাহাজের ব্যাগেজ কন্টেনার লোড করার জন্য শুধুমাত্র একটি যন্ত্র এবং অপর্যাপ্ত কন্টেনার ট্রলির কারণে কল্পনাতীত সময়ক্ষেপণের পর কন্টেনার লোডিং সমাপ্ত হয়। এরই মধ্যে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিমানবন্দর বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সিএএবি কর্তৃক অনুরোধের প্রেক্ষিতে বিকাল ৫টা ৪২ মিনিটে উদ্ধারকারী ফ্লাইটটি নাগপুর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে এবং নিরাপদে দুবাইতে অবতরণ করে। নাগপুর বিমানবন্দরে অপেক্ষাকালীন সময়ে যাত্রীদের দুপুরের খাবার উড়োজাহাজের অভ্যন্তরে পরিবেশন করা হয়। উড্ডয়নের পর যাত্রীদের জন্য রাতের খাবারও পরিবেশিত হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ