নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি করলে স্বাধীনতা বিপন্ন হবে : সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা
সংগৃহীত ছবি

নিজেরা কাদা ছোড়াছুড়ি, মারামারি-কাটাকাটি করলে দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে বলে সতর্ক করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাওয়া কনভেনশন হলে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান এসব কথা বলেন।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি, আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ না করতে পারেন, নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন, মারামারি-কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি।

আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই, আমার একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ এবং জাতিটাকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে ছুটি গ্রহণ করা। আই হ্যাড এনাফ লাস্ট সেভেন–এইট মান্থস, আই হ্যাড এনাফ। আমি চাই, দেশ এবং জাতিকে একটা সুন্দর জায়গায় রেখে আমরা সেনা নিবাসে ফেরত আসব।

তিনি বলেন, ‘আরেকটা জরুরি বিষয়, যেটা আমি ভাবলাম যে আপনাদের সঙ্গে আমি শেয়ার করি, দেশের এই আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপের পেছনে কিছু কারণ আছে। প্রথম কারণটা হচ্ছে যে আমরা নিজেরা হানাহানির মধ্যে ব্যস্ত, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিষোদগারে ব্যস্ত। এটা একটা চমৎকার সুযোগ অপরাধীদের জন্য। যেহেতু আমরা একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে বিরাজ করছি, তারা (অপরাধীরা) খুব ভালোভাবেই জানে যে এই সময়ে যদি এসব অপরাধ করা যায়, তাহলে এখান থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

সেই কারণে এই অপরাধগুলো হচ্ছে, আমরা যদি সংগঠিত থাকি, একত্রিত থাকি, তাহলে অবশ্যই এটা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।’

পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই— এসব বাহিনী অতীতে দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘(তারা) খারাপ কাজের সাথে অসংখ্য ভালো কাজ করেছে। আজকে যে দেশের স্থিতিশীলতা, দেশটাকে যে এত বছর স্থিতিশীল রাখা হয়েছে, এটার কারণ হচ্ছে, এই সশস্ত্র বাহিনীর বহু সেনা সদস্য, সিভিলিয়ান সবাই মিলে এই অর্গানাইজেশনগুলোকে অসামরিক–সামরিক সবাই মিলে, এই অর্গানাইজেশনগুলোকে ইফেক্টিভ রেখেছে, সেই জন্য আজকে সুন্দর, এত দিন ধরে আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে যারা কাজ করেছে, যদি অপরাধ করে থাকে, সেটার শাস্তি হবে। অবশ্যই শাস্তি হতে হবে।

না হলে এই জিনিস আবার ঘটবে। আমরা সেটাকে বন্ধ করতে চাই চিরতরে। কিন্তু তার আগে মনে রাখতে হবে, আমরা এমন ভাবে কাজটা করব, এই সমস্ত অর্গানাইজেশনগুলো যেন আন্ডারমাইন্ড না হয়।’

পুলিশ বাহিনীকে এতোদিনে কার্যকর করতে না পারার পেছনের কারণ উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আজকে পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। একটা বিশাল বড় কারণ হচ্ছে, অনেকের বিরুদ্ধে মামলা, অনেকে জেলে। র‍্যাব, বিজিবি, ডিজিএফআই, এনএসআই প্যানিকড। বিভিন্ন দোষারোপ গুম খুন ইত্যাদি। তদন্ত চলছে, অবশ্যই তদন্ত হবে, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, এমনভাবে কাজটা করতে হবে যেন এই অর্গানাইজেশনগুলো আন্ডারমাইন্ড না হয়। এই অর্গানাইজেশনগুলোকে যদি আন্ডারমাইন্ড করে আপনারা মনে করেন যে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বিরাজ করবে, সবাই শান্তিতে থাকবেন, এটা হবে না। সেটা সম্ভব না। আমি আপনাদের পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছি।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর নয় সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এই দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব খালি সেনা সেনাবাহিনীর না। দুই লাখ পুলিশ আছে, বিজিবি আছে, র‍্যাব আছে, আনসার-ভিডিপি আছে। আমার আছে হচ্ছে ৩০ হাজার সৈন্য। এদের আমি এই যে একটা বিরাট ভয়েড, আমি এই ৩০ হাজার সৈন্য দিয়ে, আমি কিভাবে এটা পূরণ করব? ৩০ হাজার থাকে, আবার ৩০ হাজার চলে যায়, ক্যান্টনমেন্টে আরো ৩০ হাজার আসে, এটা দিয়ে আমরা দিন-রাত চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখানে যেসব উচ্ছৃঙ্খল কাজ হয়েছে সেটা আমাদের নিজস্ব তৈরি। এটা আমাদের নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারড। আমরা এইগুলো তৈরি করেছি। এই বিপরীতমুখী কাজ করলে দেশে কখনো শান্তি-শৃঙ্খলা আসবে না। এই জিনিসটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘তদন্ত কমিশন হচ্ছে আবার আরেকটা আমাদের সর্বদা আমরা চেষ্টা করব তদন্ত কমিশনকে সহায়তা করতে যে ধরনের সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমরা করব।’

নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা দেশে একটা ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশনের জন্য দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং তার আগে যেসব সংস্কার করা প্রয়োজন অবশ্যই সরকার সেদিকে হেল্প করবেন। আমি যতবারই ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেছি, কমপ্লিটলি অ্যাগ্রিড উইথ মি। দেয়ার শুড বি ফ্রি ফেয়ার অ্যান্ড ইনক্লুসিভ ইলেকশন অ্যান্ড দ্যাট ইলেকশন শুড বি উইথইন ডিসেম্বর, অর ক্লোজ টু দ্যাট। যেটা আমি প্রথমেই বলেছিলাম যে, ১৮ মাসের মধ্যে একটা ইলেকশন। আমার মনে হয় যে, সরকার সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। ড. ইউনূস যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, এ দেশটাকে ইউনাইটেড রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন উনি। ওনাকে আমাদের সাহায্য করতে হবে। উনি যেন সফল হতে পারেন। সেদিকে আমরা সবাই চেষ্টা করব। আমরা একসঙ্গে ইনশাআল্লাহ কাজ করে যাব।’

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আসেন, আমরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি-কাটাকাটি না করে, আমরা উই ইউনাইট আওয়ার সেলফ, দেশ-জাতি যেন একসাথে থাকতে পারি, সেদিকে আমাদের কাজ করতে হবে। আমাদের মধ্যে মতের বিরোধ থাকতে পারে। চিন্তা-চেতনার বিরোধ থাকতে পারে। কিন্তু দিনশেষে যেন আমরা সবাই দেশ এবং জাতির দিকে খেয়াল করি, আমরা যেন এক থাকতে পারি। তাহলে এই দেশটা উন্নত হবে। এই দেশটা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। না হলে আমরা আরো সমস্যার মধ্যে পড়তে যাব।’

সতর্ক করে দিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বাস করেন, উই ডোন্ট ওয়ান্ট টু হেড, ওইদিকে আমরা যেতে চাই না। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। পরে বলবেন যে আমি সতর্ক করিনি। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। আপনারা যদি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ না করতে পারেন। নিজেরা যদি কাদা ছোড়াছুড়ি করেন। মারামারি কাটাকাটি করেন, এই দেশ এবং জাতির স্বাধীনতা-সর্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি আজকে বলে দিলাম, নইলে আপনারা বলবেন যে আমি আপনাদের সতর্ক করিনি। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি আপনাদের। এই দেশে সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই। আমরা চাই না হানাহানি-কাটাকাটি, মারামারি। সেই উদ্দেশ্যে আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রমণ কইরেন না।’

সামরিক বাহিনীর প্রতি অনেকে অকারণে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘একটা কমন জিনিস আমি দেখতে পাচ্ছি, সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি বিদ্বেষ কারো কারো, কী কারণে আজ পর্যন্ত আমি এটা খুঁজে পাইনি। আমরা হচ্ছি একমাত্র ফোর্স, যেটা আপনাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, দাঁড়িয়ে আছি প্ল্যাটফর্মে। অফকোর্স নেভি অ্যান্ড এয়ারফোর্স, নেভি চিফ আবার মন খারাপ করে, ইয়া করছে! নেভি এয়ারফোর্স অল উই অল আমাদের সাহায্য করেন। আমাদেরকে আক্রমণ কইরেন না, আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেন, আমাদেরকে উপদেশ দেন। কোনো একটা সমস্যা হয়ে গেলে আমি নুরুদ্দিন স্যারের শরণাপন্ন হই এবং উনি আমাকে উপদেশ দেন, সিনিয়র জেনারেলরা আমাকে উপদেশ দেন। আমি সবার কাছে শরণাপন্ন হই। আমাদের প্রতি আক্রমণ কইরেন না। উপদেশ দেন, আমরা অবশ্যই ভালো উপদেশ গ্রহণ করব। আমরা একসাথে থাকতে চাই এবং দেশ এবং জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদ যাত্রায় সড়কে ৩২২ প্রাণহানি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ যাত্রায় সড়কে ৩২২ প্রাণহানি

এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘুরমুখো মানুষের যাতায়াতে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮২৬ জন। এ ছাড়া রেলপথে ২১টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও আটজন আহত হয়েছেন। নৌপথে চারটি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, আহত একজন ও নিখোঁজ রয়েছেন একজন।

সবমিলে ঈদ যাত্রায় রেল, সড়ক ও নৌপথে ৩৪০টি দুর্ঘটনায় ৩৫২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৩৫ জন। 

বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি। 

আরো পড়ুন
ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন

ফ্রিজে বিস্ফোরণ? জানুন কীভাবে দুর্ঘটনা এড়াবেন

 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, অন্যবারের তুলনায় এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ২১.০৫ শতাংশ, নিহত ২০.৮৮ শতাংশ ও আহত ৪০.৪১ শতাংশ কমেছে।

এর মধ্যে ঈদযাত্রা শুরুর দিন ২৪ মার্চ থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ১৫ দিনে ৩১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২২ জন নিহত ৮২৬ জন আহত হয়েছেন। গত বছর ঈদুল ফিতরে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ও ১৩৯৮ জন আহত হয়েছিলেন। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারও মোটরসাইকেলে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ১৩৫টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫১ জন ও ১৫৫ জন আহত হয়েছেন, যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪২.৮৫ শতাংশ, নিহতের ৪৬.৮৯ শতাংশ এবং আহতের ১৮.৭৬ শতাংশ প্রায়।

আরো পড়ুন
সারা দেশে নতুন কর্মসূচি দিল বিএনপি

সারা দেশে নতুন কর্মসূচি দিল বিএনপি

 

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৮.৪১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১.২৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৪.৬০ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। এ ছাড়া সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩.৪৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ০.৬৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.৫৮ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, যুগ্ম মহাসচিব তাওহীদুল হক লিটন, অর্থ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন মাসুদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ রফিকা আফরোজ, মোহাম্মদ আরিফ, মনজুর হোসের ইশা প্রমুখ।
 

মন্তব্য

বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বাংলাদেশের কাছে বিশ্বকে বদলানোর মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্বকে বদলে দেওয়ার মতো দুর্দান্ত সব আইডিয়া আছে বাংলাদেশের কাছে। বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে।

আজ বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন-২০২৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এক সময় ক্ষুদ্রঋণ বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র গ্রামে শুরু হলেও এখন এটি আমেরিকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসার ভালো সুযোগ রয়েছে।

এ ব্যবসা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা পৃথিবীর জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।

দুনিয়া বদলাতে চাইলে ব্যবসা সবচেয়ে শক্তিশালী কাঠামো বলে মন্তব্য করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, সবাই মিলে উপার্জন করে মানুষের ভাগ্য বদল করাটা স্বর্গীয় অনুভূতি। কার্বন নিঃসরণ বাদ দিয়ে আমরা নতুন সভ্যতা গড়তে পারি।

বর্তমান সভ্যতা আত্মবিধ্বংসী।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ডের (বিডা) আয়োজনে চার দিনব্যাপী এ বিনিয়োগ সম্মেলন গত ৭ এপ্রিল শুরু হলেও আজ প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসার আদর্শ স্থান বাংলাদেশ। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নতির ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির মাধ্যমেই সম্ভব দারিদ্র্য বিমোচন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিক্ষোভের সময় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭২

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিক্ষোভের সময় হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৭২
ফাইল ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালে দেশের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ৭২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বুধবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা সংক্রান্তে এখন পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা রুজু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে খুলনায় ৩৩ জন, সিলেটে ১৯ জন, চট্টগ্রামে ৫ জন, গাজীপুরে ৪ জন, নারায়ণগঞ্জে ৪ জন, কুমিল্লায় ৩ জন এবং কক্সবাজারে ৪ জন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়েছিল পুলিশ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

শনিবারের কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শনিবারের কর্মসূচি পেছানোর অনুরোধ
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি এক সপ্তাহ পেছানোর অনুরোধ জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এই অনুরোধ জানান তিনি। সরকার এই প্রতিবাদ সমাবেশের মহৎ উদ্দেশ্যকে সম্মান করে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছেন, ৯ তারিখ সকাল থেকে বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল প্রোগ্রাম শুরু হচ্ছে।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন প্রায় ৫০টি দেশের ৬০০ জনের বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারী। ৯ এবং ১০ তারিখে ইনভেস্টমেন্ট সামিটের মূল প্রোগ্রামের পাশাপাশি ১১, ১২ ও ১৩ এপ্রিল বিনিয়োগকারীরা বিভিন্ন কোম্পানি, ইপিজেড, স্পেশাল ইপিজেড, হাইটেক পার্ক এবং বিভিন্ন স্টার্টআপ ভিজিট করবেন।

তিনি আরও লিখেছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর জাতিগত নিধন এবং গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ আয়োজন করা হয়েছে ১২ এপ্রিল। যেহেতু ফিলিস্তিন আমাদের অন্তরে অত্যন্ত সংবেদনশীল জায়গা দখল করে আছে, আমার ধারণা এই মার্চে লাখ লাখ লোক হবে।

আমরা এই প্রতিবাদ সমাবেশের মহৎ উদ্দেশ্যকে সম্মান করি।

প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী লিখেছেন, তথাপি একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সম্মিলিত প্রতিবাদের অডিয়েন্স মূলত আন্তর্জাতিক রাজনীতি, কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি নয়। এমন অবস্থায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি, তাদের স্পেশাল ইপিজেড, ইপিজেড, হাইটেক পার্ক এবং স্টার্টআপ ভিজিটের বিষয়গুলো সার্বিকভাবে বিবেচনা করে মার্চ ফর গাজা প্রোগ্রামটি ১২ তারিখের পরিবর্তে এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, এমন বিবেচনার জন্য বিনীতভাবে আয়োজকদের অনুরোধ করি। এক সপ্তাহের মধ্যে ফিলিস্তিন বিষয়টি কোনোভাবেই হারিয়ে যাবে না।

তিনি লিখেছেন, ইতোমধ্যেই প্রধান উপদেষ্টা ইজরায়েলি বর্বরতার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ অত্যন্ত দরকারি। পাশাপাশি দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, ব্যবসা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ সৃজন করাও জরুরি।

ফিলিস্তিনের গাজায় সংঘটিত বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে জমায়েতের ডাক দিয়েছে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। ১২ এপ্রিল (শনিবার) ঢাকার শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এই মার্চ হবে।

বলা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে ঢাকার সড়কে এটিই হবে ‘সবচেয়ে বড় মার্চ’। এই কর্মসূচির উদ্যোক্তারা দলমত–নির্বিশেষে সবাইকে এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ