আ. লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের ভাবনা নেই : বদিউল আলম মজুমদার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আ. লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের ভাবনা নেই : বদিউল আলম মজুমদার
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের কোনো ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার।

তিনি বলেছেন, ‘এটা সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে কি হবে না, আইন-কানুন ও বিধি-বিধানের আলোকে এ বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এগুলোর বিষয়ে আমাদের কোনো মতামত নেই।

সময়মতো নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে, কে নির্বাচন করতে পারবে, কে পারবে না।’

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বদিউল আলম মজুমদার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘সবার আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের লাল কার্ড দেখানোর সুযোগ হয়।

অর্থাৎ প্রতি পাঁচ বছর পর পর যদি রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের কাছে ফিরে আসতে হয়, তাহলে জনগণ তাদের যদি না বলতে পারেন, যদি তাদের লাল কার্ড দেখাতে পারেন তাহলে জনগণের স্বার্থে এবং জনগণের মতামতের ভিত্তিতে তারা সরকার পরিচালনা করবে।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার কোনো ঝুঁকি দেখি না এবং যদি এই ঝুঁকি সৃষ্টিও হয় আমি নিশ্চিত, প্রফেসর ইউনূস তার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। এই মুহূর্তে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু নির্বাচনব্যবস্থা যদি ভেঙে যায় নির্বাচন ছাড়াই যদি ক্ষমতায় আসা সম্ভব হয়, ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হয়, তখন মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার কাঠামো আর থাকে না।

একই সঙ্গে নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংসের কারণে যেসব ব্যক্তির সংসদে বসে সরকারের জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার কথা সেটাও আর কার্যকর হয় না, কারণ এরা কেউ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা একই দলের হওয়ায় মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে নিজেদের কল্যাণই বেশি করেছে। তাই আমরা মনে করি যে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে এবং তারা মানুষের কল্যাণের প্রতি মনোনিবেশ করবে। এর জন্য দরকার নির্বাচনব্যবস্থাটা সঠিক হওয়া।’

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এই সদস্য বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একটি জাতীয় সনদ প্রণীত হবে।

এই সনদ প্রণয়নের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করবে। আর এই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে একটি জাতীয় ঐকমত্য তৈরি হবে।’

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের পাঠানো প্রস্তাবগুলোতে একমত হওয়ার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। গণতন্ত্রে মতের পার্থক্য থাকাটা দোষের কিছু নয়, এটা থাকতেই পারে। কিন্তু একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হলো, কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার আমাদের সেই সুযোগ ও মাহেন্দ্রক্ষণ এসেছে। অতীতের ক্ষুদ্র যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের মধ্যে মতানৈক্য বিরাট আকার ধারণ করেছে। তার ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আমি এ ব্যাপারে আশাবাদী।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে টেকসই ও কার্যকর করার ব্যাপারে জাতীয় সনদ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কারণ এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত ব্যক্ত করবে এবং সেই জাতীয় সনদ প্রণয়নের মাধ্যমে, তাতে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে তারা তাদের অঙ্গীকার ব্যক্ত করবে। আমি মনে করি, দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে।’

টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘গণতন্ত্র আকাশ থেকে পড়বে না, কিংবা হাওয়ায় ভেসে আসবে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার এবং এ সম্পর্কে করণীয়, অর্থাৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কার্যকর করার জন্য অঙ্গীকার এবং একই সঙ্গে করণীয়টা যদি করি তাহলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কার্যকর হবে।’

তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে এর মধ্যে ছয়টি ইতোমধ্যে তাদের সুপারিশগুলো জমা দিয়েছে। এগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যদি কার্যকর করতে হয় তাহলে এর প্রধান দায়িত্ব নিতে হবে আমাদের রাজনীতিবিদদের। কারণ রাজনীতিবিদরাই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। অতএব গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে কার্যকর করার জন্য তাদেরকেই প্রাথমিক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এর সঙ্গে অবশ্য নাগরিক সমাজকেও সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। একই সঙ্গে নাগরিকরাও যদি অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে, তাহলেই এটা সহজ হবে। আমরা ঐকমত্য কমিশন যা করার চেষ্টা করেছি তা হলো ছয়টি সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে এগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমরা মতামত চাই যে, তারা এগুলোর সঙ্গে একমত, দ্বিমত কিংবা আংশিকভাবে একমত কি না। যেসব বিষয়ে তারা একমত সেগুলো কী প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়িত হবে এটা তারা আমাদেরকে জানাক।’

অতীতে রাজনৈতিক দলগুলো জাতির সামনে অনেক অঙ্গীকার করেছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই সে অঙ্গীকারগুলো রক্ষা করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অঙ্গীকার রক্ষা করতে না পারার নানা কারণও রয়েছে। এবার আমরা আশাবাদী, কারণ এবার যে এতো রক্তপাত হলো, এতো লোক প্রাণ দিল, এত লোক আহত এবং নানাভাবে নিপীড়নের শিকার হলো। এটা একটা ভিন্ন প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। এই ভিন্ন প্রেক্ষাপটে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এবং সকল নাগরিকের পক্ষ থেকে একটা দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমি আশা করি, এবার পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার পর তারা যে অঙ্গীকারগুলো করবে সেগুলো বাস্তবায়ন করবে। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর আস্থা রাখতে চাই।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আলোচিত-১০ (২১ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে সংসদ নির্বাচন : উপদেষ্টা মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে সংসদ নির্বাচন : উপদেষ্টা মাহফুজ
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলো অন্তঃসংঘাত বন্ধ করলে সঠিক সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্মরণে রাজধানীতে নোফেল সোসাইটি আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, নির্বাচনের আগে হত্যাকারীদের বিচার ও সংস্কার দৃশ্যমান হবে। ’৭২ ও ’৭৫-এ দিল্লি থেকে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানো হয় এবং সেখান থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিকে অন্তঃকোন্দলে ব্যস্ত না থেকে সবাইকে এক থাকার আহ্বানও জানান তথ্য উপদেষ্টা।

মন্তব্য

বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ইউনূস-মোদি বৈঠকের সম্ভাবনা ‘ক্ষীণ’
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী মাসে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেকের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। সেখানে দুই দেশের প্রধানের দেখা হওয়ার সুযোগ থাকলেও আনুষ্ঠানিক বৈঠকের সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। গতকাল বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বরাতে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

ষষ্ঠ বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে দুই নেতার ২ এপ্রিল থেকে ৪ এপ্রিল ব্যাংকক সফর করার কথা রয়েছে।

সম্মেলনের ফাঁকে দুই দেশের সরকারপ্রধানের বৈঠকের জন্য দিল্লিকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে ঢাকা। গতকাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআইকে এ তথ্য জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনজন ব্যক্তি হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে বৈঠকের জন্য অনুকূল নয়।

তাদের একজন অবশ্য বলেন, ‘সাক্ষাৎ বা শুভেচ্ছা বিনিময়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

কারণ শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল নেতা বেশ কয়েকবার একে অপরের সঙ্গে থাকবেন। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।’

আরেকজন বলেন, ‘আনুষ্ঠানিক বৈঠক করা কঠিন বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে যখন ঢাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউ কেউ প্রায়ই ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলছেন।

এই পরিস্থিতি বৈঠকের জন্য উপযুক্ত নয়।’

বৃহস্পতিবার এএনআইকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ করেছি।’

এদিকে, আগামী ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের।

এর আগে, ফেব্রুয়ারিতে ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ৮ম ভারত মহাসাগর সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে উপদেষ্টা তৌহিদের বৈঠক হয়।

মন্তব্য

ঈদযাত্রায় সড়কপথে শৃঙ্খলায় কঠোর অবস্থানে সরকার

বাসস
বাসস
শেয়ার
ঈদযাত্রায় সড়কপথে শৃঙ্খলায় কঠোর অবস্থানে সরকার
ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সড়ক পথে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ, নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ঈদ যাত্রা উপলক্ষে নতুন সেতু ও সড়ক খুলে দিয়েছে সরকার। যানজট নিরসন, যাত্রী নিরাপত্তা, টিকিটের অতিরিক্ত দাম ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

এবারের ঈদ যাত্রায় অন্যান্য বারের মতো যেন বিড়ম্বনা তৈরি না হয়, সে জন্য সারাদেশে একযোগে কাজ করবে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশ।

৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার মহাসড়কে ১০১৮টি চেকপোস্ট ও টহলে থাকবে হাইওয়ে পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা। ঈদ যাত্রাকে বছরের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হিসেবে দেখছে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

ঈদ উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ হতে ‘ঈদ স্পেশাল সার্ভিস’ চালু করছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)। ২০ মার্চ হতে বিআরটিসি’র ডিপো থেকে অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে এবং আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদ সার্ভিসের বাস চলাচল করবে।

সঙ্গে বাস রিজার্ভের সুবিধাও রেখেছে বিআরটিসি।

সড়কপথে ঈদযাত্রাকে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে সারাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের হাইওয়ে ও ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। সারাদেশে তাদের কাজকে আরো গতিশীল করতে সড়ক-মহাসড়কে কাজ করবে জেলা পুলিশ, যা অন্যান্যবারের চেয়ে ব্যতিক্রম। আর ঈদে যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঢাকার মূল সড়কগুলোয় ট্রাক চলাচল বন্ধ রাখবে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

সারাদেশের ৩ হাজার ৯৯১ কিলোমিটার মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে হাইওয়ে পুলিশ ৩৭৭টি চেকপোস্ট এবং জেলা পুলিশ ১১৪টি চেকপোস্ট ও ৫২৭টি টহল দল পরিচালনা করবে।

যানজট নিরসনে সারাদেশে ৬৪টি ‘ব্লাক স্পট’ চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসব এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য কাজ করবে। এছাড়া যেসব এলাকায় সংস্কার কাজ ও বাজারের জন্য যানজট লেগে যায়, সেসব এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করা কথা জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এর পাশাপাশি সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও যানচলাচল নির্বিঘ্ন করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, সারাদেশের চেকপোস্টগুলো লাইভ ভিডিও’র মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। পুলিশের ৮টি রেঞ্জের ডিআইজিগণ এসব চেকপোস্ট তদারকি করবেন। ইতোমধ্যে এলেঙ্গা, চট্টগ্রাম হাইওয়ে, মহিপাল ও নোয়াখালীসহ সড়কে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নাজমুল হাসান বাসস’কে বলেছেন, ঢাকা থেকে যেন বাস সহজে বের হতে পারে সেজন্য আমরা নানা উদ্যোগ নিয়েছি। ঢাকায় প্রবেশ ও বহির্গমনে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। যাত্রী পরিবহনের সুবিধার্থে ঈদের তিন দিন আগে থেকে সড়কে ট্রাক-লরি চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। প্রয়োজনে এক টনের পিকআপ ট্রাকগুলোর চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার মিঞা বাসস’কে বলেছেন, এবারের ঈদে আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করে যাবো। একইসাথে যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি। যাত্রীদের মধ্যে নিরাপত্তার কোনো শঙ্কা যেন না থাকে সেজন্য আমরা সারাদেশের মহাসড়কে টহল, চেকপোস্টসহ নিরাপত্তা জোরদার করছি। এবার সুন্দর ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ