ঢাকা, সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৬ রমজান ১৪৪৬

ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি
সংগৃহীত ছবি

ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ ৫টি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতন, বিপজ্জনক শ্রম, অবহেলা ও অনলাইন সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা। বাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও নিরাপদ নয় শিশুরা। তাদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর নয়।

এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল মামুন, প্লান ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্সের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)’র তামান্না হক রীতি ও মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের নিশাত সুলতানা।

আরো পড়ুন
‘কারাগারে বসে লিখবো জুলাইয়ের ইতিহাস’

‘কারাগারে বসে লিখবো জুলাইয়ের ইতিহাস’

 

লিখিত বক্তব্যে শাহীন আনাম বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধারাবাহিক যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা বা হত্যা চেষ্টা, আমাদের ভীষণভাবে দুঃখ ভারাক্রান্ত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই সংকট শুধু শিশুদের জীবনকেই ধ্বংস করছে না, বরং সমাজের মূল ভিত্তিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। মেয়ে শিশুদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা এই সহিংসতা জাতিকে হতবাক করেছে। যা সারাদেশে প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।

এই প্রতিবাদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করছি। 

তিনি আরো বলেন, বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে। অপরাধীরা প্রায়শই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এর সবচেয়ে মর্মান্তিক উদাহরণ হলো ২০১৬ সালে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুকে নির্মমভাবে ধর্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন অপরাধীর সাম্প্রতিক জামিন। শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার দ্রুত ও যথাযথ তদন্ত, বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

শিশুদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাহীন আনাম বলেন, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন শিশুদের প্রয়োজন। আমরা চাই সরকার অনতিবিলম্বে শিশুদের সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার দিক, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের। বর্তমান পরিস্থিতি জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করে, তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে। শিশুর প্রতি যে কোনো নির্যাতন ও সহিংসতা তার মনে এতটাই গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রভাব ফেলে যে তার স্বাভাবিক বিকাশ ও মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ হয়। এটা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ আমাদের সবার উপলব্ধি করতে হবে।

আরো পড়ুন
এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ সব কোচিং

এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ সব কোচিং

 

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, শিশু ধর্ষণের মামলাগুলোর দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক। শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষাবিষয়ক একটি সংস্কার কমিশন জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা হোক, যা সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করবে এবং অন্যান্য সংস্কার কমিশনের মতো তা প্রধান উপদেষ্টাকে হস্তান্তর করবে। একইসঙ্গে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মতো একটি শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর স্থাপন করা হোক, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করবে। শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১৭ মার্চ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী এমআরটি পুলিশ সদস্যের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা।

এমআরটি পুলিশ সদস্য কর্তৃক ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন সহকর্মী মৌখিক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোরেল কর্মীরা। ফলে আজ (১৭ মার্চ) সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
 
সোমবার (১৭ মার্চ) মধ্যরাতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেট্রোরেলের একাধিক কর্মী।

তার আগে ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের’ ব্যানারে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ৬টি দাবি জানানো হয়।

কর্মীদের দাবিগুলো হচ্ছে— আগামী এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা ওই পুলিশ সদস্যকে (এস আই মাসুদ) স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করতে হবে ও ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে (কনস্টেবল রেজনুল, ইন্সপেক্টর রঞ্জিত) শাস্তি প্রদান করতে হবে এবং তাদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে; মেট্রোরেল, মেট্রো স্টাফ ও যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে; এমআরটি পুলিশকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে; স্টেশনে দায়িত্বরত সিআরএ টিএমও, স্টেশন কন্ট্রোলারসহ অন্য সব কর্মীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে; অফিসিয়াল পরিচয় পত্র ছাড়া ও অনুমতি ব্যতি কোনো ব্যক্তি যেন স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং আহত কর্মীর সম্পূর্ণ চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
 
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবো এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো। আমরা আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং মেট্রো স্টেশনে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবেন।


 
মেট্রোরেল কর্মীরা গণমাধ্যমকে বলেছেন, আজ ১৭ মার্চ সকাল থেকে আমরা ট্রেন চালাব না। আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা ট্রেন চালাব। আমাদের ঘটনার বিষয়ে হেড অফিসের বড় স্যাররা অবগত আছেন। ঘটনার পর তারা সচিবালয়ে মিটিং করেছে।
আমাদের প্রেস রিলিজ সরকারি ডেকোরাম মেনে তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে বলা হয়, আনুমানিক বিকেল সোয়া ৫টায় দুজন মহিলা কোনো প্রকার পরিচয়পত্র প্রদর্শন না করেই সিভিল ড্রেসে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করে এসে ইএফও অফিসের পাশে থাকা সুইং গেট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। যেহেতু তারা নির্ধারিত ইউনিফর্ম পরিহিত ছিলেন না ও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, তাই দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআরএ নিয়ম অনুযায়ী তাদের সেখান থেকে পিজি গেইট ব্যতীত সুইং গেট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। তবে, সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা এতে উত্তেজিত হয়ে তর্কে লিপ্ত হন এবং একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান।

পরবর্তীতে ঠিক একইভাবে দুজন এপিবিএন সদস্য সুইং গেট ব্যবহার করে সুইং গেট না লাগিয়ে চলে যান, উক্ত বিষয়ের কারণ তাদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তারা পূর্বের ঘটনার জের ধরে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

কিছুক্ষণ পরে পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে দায়িত্বে থাকা সিআরএ এর সঙ্গে ইএফওতে তর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং ইএফও থেকে বের হওয়ার সময় কর্মরত সিআরএ এর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে এবং কর্মরত আরেকজন টিএমও এর শার্টের কলার ধরে জোরপূর্বক এমআরটি পুলিশ বক্সে নিয়ে গিয়ে মারধর করে এবং গুলি করার জন্য বন্দুক তাক করে। উপস্থিত স্টেশন স্টাফ ও যাত্রীগণ বিষয়টি অনুধাবন করে উক্ত এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মরত টিএমওকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসে। উক্ত পরিস্থিতি মেট্রোরেল কর্মপরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বর্তমানে আহত (রাইফেল দিয়ে কাঁধে আঘাত করা হয়) সিআরএকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় এবং টিএমও (যাকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে হেনস্তা করা হয়, গুলি করার জন্য বুকে রাইফেল ধরা হয়) উক্ত ঘটনার বিবৃতি দেওয়ার পর বাসায় যাওয়ার পথে জ্ঞান হারিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

মন্তব্য

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক আজ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আজাদ মজুমদার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছেন।

পুলিশ সুপার, তাঁদের ওপরের পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠক হবে। বিভিন্ন মহানগর কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, ক্রাইম টিমের সদস্যসহ ১২৭ জন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা বৈঠকে যোগ দেবেন। 
পুলিশের আইজিপি সেখানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন। ৫ আগস্টের পর পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হবে।
একই সঙ্গে পুলিশের কার্যক্রম ফিরিয়ে আনার জন্য নেওয়া উদ্যোগ অবহিত করা হবে।

আজাদ মজুমদার বলেন, বিভিন্ন সময় ঘটা অপরাধ এবং সেগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করবেন আইজিপি। মাঠ পর্যায়ের ছয়জন শীর্ষ কর্মকর্তা ফোকাল পয়েন্টে গিয়ে নিজস্ব সমস্যা, চ্যালেঞ্জ, ট্র্যাকিং বেইস পুলিশিং, শিল্প পুলিশসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে।

এটি একটি বিশেষ সভা, যা এর আগে কখনো হয়নি।

উপপ্রেস সচিব বলেন, এবার পুলিশ সপ্তাহ ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা দেবেন। জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, যথাযথ নামেই ডাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধর্ষণ জঘন্য অপরাধ, যথাযথ নামেই ডাকা উচিত : প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়
সংগৃহীত ছবি

গণমাধ্যমে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি ব্যবহার না করে ‘নারী নির্যাতন’ ব্যবহারের অনুরোধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) কমিশনার যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে সরকার।

আজ রবিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক ‍বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ধর্ষণ ধর্ষণই, সেটি যার বিরুদ্ধেই হোক; ৮ বছর বয়সী শিশু কিংবা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা।

বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের জঘন্য অপরাধকে তার যথাযথ নাম দিয়ে ডাকা উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না।

গতকাল শনিবার গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘হেল্প’ অ্যাপের উদ্বোধনী নিয়ে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার ওই বক্তব্য দিয়েছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ