সংবাদপত্রে ঈদুল ফিতরের ছুটি ৩ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সংবাদপত্রে ঈদুল ফিতরের ছুটি ৩ দিন
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সংবাদপত্র ৩ দিন বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। ৩০ ও ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল ছুটি থাকবে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে সে ক্ষেত্রে পরদিন ২ এপ্রিল সংবাদপত্র বন্ধ থাকবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন
শেকৃবিতে শিবিরের গণ-কুরআন উপহার কর্মসূচি

শেকৃবিতে শিবিরের গণ-কুরআন উপহার কর্মসূচি

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াবের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি পালন করা হবে। তাই ৩১ মার্চ থেকে ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত কোনো পত্রিকা প্রকাশ করা হবে না। তবে ঈদুল ফিতর ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলে এই ছুটি ২ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত হবে। সে ক্ষেত্রে ৩ এপ্রিল কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হবে না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পুলিশের আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পুলিশের আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ মার্চ) বাদ জুমা রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ।

এ সময় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা এবং বিপুলসংখ্যক মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর।

প্রধান অতিথি হিসেবে আইজিপি বলেন, পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চার অনুশীলনের অংশ হিসেবে প্রতি বছরের মতো এবারও আযান, কেরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠান আমাদের ধর্মের প্রতি ঐকান্তিকতা ও নিষ্ঠার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

আরো পড়ুন
সেঞ্চুরি করেও ধানমন্ডিকে জেতাতে পারলেন না সোহান

সেঞ্চুরি করেও ধানমন্ডিকে জেতাতে পারলেন না সোহান

 

প্রতিযোগীদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, আপনাদের পুলিশি কার্যক্রমে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবুও আপনারা আযান ও কেরাত চর্চা করে যাচ্ছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পরে আইজিপি বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও পুরস্কার তুলে দেন।

প্রতিযোগিতায় আযানে প্রথম হয়েছেন র‌্যাব-৮, বরিশালের এএসআই সিরাজুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক এবং তৃতীয় হয়েছেন যৌথভাবে যথাক্রমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (নিরস্ত্র) এম মহিউদ্দিন এবং ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা।

 

কেরাতে প্রথম হন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার নায়েক আবু মুসা, দ্বিতীয় হন পুলিশ স্টাফ কলেজের নায়েক খান হাসিবুর রহমান এবং তৃতীয় হন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই (সশস্ত্র) মো. ওমর ফারুক। কেরাতে নারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বিজয়ী হন ১১ এপিবিএন, উত্তরা, ঢাকার কনস্টেবল নাদিয়া নাছরিন নূপুর।  

আরো পড়ুন
চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২

চৌদ্দগ্রামে যৌথ অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ আটক ২

 

‘ইসলাম ও নাগরিকের অধিকার’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন পুলিশ সদরদপ্তরের এএসআই (নিরস্ত্র) মো. মারুফুল ইসলাম, দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথভাবে যথাক্রমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কনস্টেবল মেহেদী হাসান এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের উচ্চমান সহকারী শেখ রেজাউল কবীর এবং তৃতীয় হন ৩ এপিবিএন, শিরোমনি, খুলনার কনস্টেবল মো. ইনামুল হাসান। 

পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে বাছাইকৃত পুলিশ সদস্যরা ঢাকায় চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আযান ও কেরাতে প্রথম স্থান অধিকারীরা আযান দেন এবং কুরআন তেলাওয়াত করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিজিবিতে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিজিবিতে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ
বিজিবিতে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করা হচ্ছে

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সৈনিকদের শুদ্ধ উচ্চারণ ও সুন্দর কণ্ঠে আযান ও কেরাত চর্চায় অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যে আযান ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিন দিনব্যাপী পিলখানাস্থ বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২১ মার্চ) বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণ করেন। এ সময় বিজিবির সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক এবং অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান,  গত ১৯ মার্চ পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ৩ দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার ও ট্রফি বিতরণের মধ্য দিয়ে এই প্রতিযোগিতা শেষ হয়।

আরো পড়ুন
তাড়াশে ওরশে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

তাড়াশে ওরশে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

 

সারাদেশে বিজিবির বিভিন্ন সেক্টর থেকে সর্বমোট ৩৮ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। আযান প্রতিযোগিতায় ময়মনসিংহ সেক্টরের অধীনস্থ ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়নে (৩৯ বিজিবি)- কর্মরত ল্যান্স নায়েক মো. আব্দুল গফুর খান ১ম স্থান এবং কুষ্টিয়া সেক্টরের অধীনস্থ কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নে (৪৭ বিজিবি) কর্মরত সিপাহী মো. ইব্রাহীম কামাল ২য় স্থান অধিকার করেন।

 

অপরদিকে, কেরাত প্রতিযোগিতায় খুলনা সেক্টরের অধীনস্থ নীলডুমুর ব্যাটালিয়নে (১৭ বিজিবি) কর্মরত সিপাহী মো. আলী হোসাইন ১ম স্থান এবং রামু সেক্টরের অধীনস্থ রামু ব্যাটালিয়নে (৩০ বিজিবি) কর্মরত সিপাহী মো. ইসমাইল হোসেন ২য় স্থান অধিকার করেন।

আযান ও কেরাত উভয় প্রতিযোগিতায় দলগতভাবে কুষ্টিয়া সেক্টর চ্যাম্পিয়ন এবং খুলনা সেক্টর রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। 
 

মন্তব্য

হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ : মাঝপথ থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
হিথ্রো বিমানবন্দর বন্ধ : মাঝপথ থেকে ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সংগৃহীত ছবি

বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনে আগুন লাগায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করায় মাঝপথ থেকে দেশে ফিরছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডনগামী ফ্লাইট।

শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, ‘লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটটা মাঝপথ থেকে ফিরে এসেছে, কারণ বর্তমানে লন্ডনে ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার ফ্লাইট যাওয়া-আসা শুরু করব।

এক বিবৃতিতে হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানবন্দরটি ‘গুরুতর বিদ্যুৎ-বিভ্রাট’-এর সম্মুখীন হয়েছে। যাত্রী ও কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে যাত্রীদের বিমানবন্দরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। আরো তথ্যের জন্য তাদের এয়ারলাইনসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

হিথ্রো বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র জানান, ‘অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তবে আমরা নিশ্চিত নই, বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম আবার কখন চালু হবে। কর্মীরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিমানবন্দর হিথ্রো।

এই বিমানবন্দরে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৩০০টি উড়োজাহাজ অবতরণ ও উড্ডয়ন করে।

মন্তব্য

হিমালয়ে বরফ গলা বৃদ্ধিতে হুমকি বাড়ছে বাংলাদেশে

সাইদ শাহীন
সাইদ শাহীন
শেয়ার
হিমালয়ে বরফ গলা বৃদ্ধিতে হুমকি বাড়ছে বাংলাদেশে
সংগৃহীত ছবি

আশঙ্কাজনকভাবে হিমালয়ের বরফ গলে যাচ্ছে বলে নতুন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, যদি কার্বন নিঃসরণ কমানো না যায় তাহলে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলো বরফ গলার কারণে সামনের দিনে মারাত্মক পরিস্থিতির শিকার হবে। বর্ষায় রেকর্ড বন্যার পাশাপাশি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা, ব্রক্ষ্মপুত্র ও তিস্তার মতো নদীগুলো ব্যাপক পানি সংকটে পড়বে। যা জীববৈচিত্র্য ও খাদ্য উৎপাদনে বড় প্রভাব ফেলবে।

 

শুক্রবার (২১ মার্চ) বিশ্ব হিমবাহ দিবস উপলক্ষে ইউনেস্কো কর্তৃক প্রকাশিত ‌‘জাতিসংঘের বিশ্ব পানি প্রতিবেদন-২০২৫’ এসব কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক হিমবাহ সংরক্ষণ বর্ষের অংশ হিসেবে প্রথমবারের মতো ২১ মার্চ বিশ্ব হিমবাহ দিবস পালন করা হচ্ছে। ২০০০-২০২৩ সালের মধ্যে হাই মাউন্টেন এশিয়ার হিমবাহগুলো মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ৫% থেকে ২১% পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে, যার মধ্যে হিমালয় অঞ্চলে সবচেয়ে বড় ক্ষয় লক্ষ্য করা গেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
‘ম্যাগনেটিক কয়েন’ প্রতারক চক্র, লোভে সর্বনাশ

‘ম্যাগনেটিক কয়েন’ প্রতারক চক্র, লোভে সর্বনাশ

 

 

জাতিসংঘ আশঙ্কা করছে, হিমালয়ের বরফ গলতে থাকায় এ অঞ্চলের অনেক নদীর প্রবাহ ব্যাহত হবে, বিশেষত শুষ্ক মৌসুমে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যাবে।

খরার সময় ব্রহ্মপুত্রের ৬৫% এবং গঙ্গার ৭০% প্রবাহই হিমালয়ের বরফ গলা পানির উপর নির্ভর করে। এছাড়া পাকিস্তানের সিন্ধুর উজানে বার্ষিক প্রবাহের ৪১% আসে হিমবাহ গলিত পানি থেকে।

বন্যার ঝুঁকি ও পানি সংকট বাড়ছে 

প্রতিবেদন বলছে, গত কয়েক দশকে হিমবাহ গলার ফলে বন্যার ঘটনা বেড়েছে, বিশেষ করে গঙ্গা ও সিন্ধু অববাহিকায়। উচ্চ কার্বন নির্গমনের ফলে ভবিষ্যতে বন্যার প্রকোপ আরও বাড়বে।

তীব্র বৃষ্টিপাত ও বরফ গলার সংমিশ্রণে আগামী ৫০ বছরে চরম বন্যার প্রবাহ সিন্ধু অববাহিকায় ৫১%, ব্রহ্মপুত্রে ৮০% এবং গঙ্গায় ১০৮% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। 

হিমালয় থেকে বরফ গলা পানির প্রবাহ আগামী কয়েক দশকে সর্বোচ্চ হবে, তারপর এটি হ্রাস পাবে, যা বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল এবং বৃহত্তম সেচ ব্যবস্থাকে বন্যা ও খরার ঝুঁকিতে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। উত্তর ভারতে মধ্য শতাব্দীর পর নদীর প্রবাহ কমে যাবে, বিশেষ করে শুষ্ক মৌসুমে, যা জ্বালানি, পানি ও খাদ্য নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে। ভারতের ৫২% জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হিমালয় থেকে উৎপন্ন নদীগুলোর উপর নির্ভরশীল।

হাই মাউন্টেন এশিয়া মূলত মেরু অঞ্চলগুলোর বাইরে বিশ্বের বৃহত্তম বরফ অঞ্চল, যা একে ‘তৃতীয় মেরু’ হিসেবে পরিচিত করেছে।

হাই মাউন্টেন এশিয়ায় প্রায় ১ লাখ হিমবাহ রয়েছে, যেখানে আনুমানিক ৭ হাজার ঘন কিলোমিটার বরফ মজুদ আছে। এর প্রায় অর্ধেক হিমালয় ও কারাকোরাম পর্বতমালায় অবস্থিত।

এশিয়ার দশটি বৃহত্তম নদীর উৎস হিন্দুকুশ হিমালয়ে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র এবং গঙ্গা। এসব নদী সম্মিলিতভাবে বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ মানুষের জন্য পানি সরবরাহ করে। শুধুমাত্র মৌসুমি হিমবাহ গলিত জল হাই মাউন্টেন এশিয়া থেকে প্রায় ২২ কোটি মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট, যা পাকিস্তান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান এবং কিরগিজস্তানের বার্ষিক পৌরসভা ও শিল্পক্ষেত্রের পানির চাহিদার সমান।

আরো পড়ুন
সফর অবস্থায় রোজা ভাঙার বিধান

সফর অবস্থায় রোজা ভাঙার বিধান

 

জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, হিমালয় অঞ্চল হিমবাহ-সম্পর্কিত দুর্যোগের জন্য বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল। বিশ্বব্যাপী ১.৫ কোটি মানুষ হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণের বন্যার (GLOF) ঝুঁকিতে রয়েছে, যার মধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি ভারতেই বসবাস করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলতে থাকায় হিমবাহ হ্রদের সংখ্যা ও আয়তন বাড়ছে, যা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো না হলে আরও খারাপ হবে। ২১০০ সালের মধ্যে হাই মাউন্টেন এশিয়ায় হিমবাহ হ্রদের বিস্ফোরণজনিত বিপর্যয়ের ঝুঁকি তিনগুণ হতে পারে।

২০০ কোটি মানুষ পাহাড়ী পানির ওপর নির্ভরশীল

জাতিসংঘ বিশ্ব জল উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২৫ অনুসারে, পর্বত অঞ্চল বিশ্বব্যাপী বার্ষিক মিঠাপানির ৬০% সরবরাহ করে। এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ পর্বত অঞ্চলে বসবাস করে এবং দুই বিলিয়নেরও বেশি মানুষ পানীয় জল, স্যানিটেশন এবং জীবিকার জন্য পর্বতের পানির উপর নির্ভরশীল। পর্বত অঞ্চলগুলো পশুপালন, বনজ সম্পদ, পর্যটন এবং জ্বালানি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী হিমবাহগুলো নজিরবিহীন হারে গলছে, এবং পর্বত জলপ্রবাহ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাবগুলোর প্রথম শিকার হচ্ছে।
‘আমরা যেখানে থাকি না কেন, কোনো না কোনোভাবে পর্বত ও হিমবাহের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক জলাধারগুলো এখন চরম সংকটে পড়েছে’, বলেছেন ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজোলে। তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রতিবেদনটি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে এবং সবচেয়ে কার্যকর সমাধান পেতে বহুপাক্ষিক উদ্যোগ প্রয়োজন।’

আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএডিএফ)-এর সভাপতি ও UN-Water-এর চেয়ারম্যান আলভারো লারিও পর্বতবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘পানি পাহাড় থেকে নিচে নামে, কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা উপরের দিকে বাড়ে। পৃথিবীর পর্বতগুলো আমাদের ৬০% মিঠাপানি সরবরাহ করে, তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ সংরক্ষণকারী সম্প্রদায়গুলোর অনেকেই খাদ্য সংকটে ভুগছে। আমাদের অবশ্যই তাদের স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করতে বিনিয়োগ করতে হবে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ