বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। এই দিনটি নেচে-গেয়ে আনন্দ উল্লাসে উদযাপন করে মানুষ। এই উৎসবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ঐতিহ্যের ‘হালখাতা উৎসব’। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলেও হারাতে বসেছে হালখাতার সংস্কৃতি।
নিয়ম রক্ষার ঐতিহ্যে সীমাবদ্ধ ‘হালখাতা উৎসব’
অনলাইন ডেস্ক

প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় টালি খাতার জায়গা দখলে নিয়েছে কম্পিউটার বা নোটপ্যাড। ভাটা পড়েছে হালখাতার কার্ড ছাপানোর রেওয়াজ। ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে শতবর্ষী এই ‘হালখাতা উৎসব’।
পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার স্বর্ণালংকারের জন্য পরিচিত। বাংলা বছরের প্রথম দিনে স্বর্ণালংকারের দোকানিদের ধর্মীয় আচার পালন, দোকান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আর নতুন খাতায় হিসাব তুলতে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।
দোকানিরা বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হালখাতার প্রচলন দিনে দিনে কমে গেছে। ফলে নববর্ষ ও নববর্ষকেন্দ্রিক উৎসবগুলো হারিয়ে যেতে বসেছে। কমেছে উৎসবমুখরতা। এর মধ্যে অন্যতম হালখাতা উৎসব। এ বছর হালখাতা করলেও নেই আগের মতো আমেজ।
পুরান ঢাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, পুরনো খাতাগুলো গতকাল ক্লোজ হয়ে গেছে। আজ থেকে নতুন খাতা খুললাম। পাইকারি খাতা, মহাজনি খাতা, হিসাব-নিকাশের খাতা আছে। পুরনো বছরের বাকি টাকা দিয়ে আবার নতুন করে তারা পণ্য নিয়ে যাবে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতির কারণে আসলটা আর নেই। তাদের প্রত্যাশা নতুন বছর ব্যবসায়ীদের জন্য সুখ-সমৃদ্ধির বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে।
তাঁতীবাজারে স্বর্ণালংকার তৈরি করেন জনি ঘোষ। তিনি বলেন, এখন আর হালখাতা অনুষ্ঠান তেমন করে হয় না। আমরা শুধু ঐতিহ্য ধরে রাখতে বছরের প্রথম দিন দোকানে পূজা দিয়ে কিছু মিষ্টি বিতরণ করে থাকি। এখন আর কাস্টমারদের নিমন্ত্রণ দেওয়া হয় না। কারণ তাদের নিমন্ত্রণ দিলেও তারা আসে না। আয়োজন করলে ভেস্তে যায়। সে জন্য আর বড় করে আয়োজন করি না।
উল্লেখ্য, সম্রাট আকবরের আমলে সুশৃঙ্খলভাবে খাজনা আদায়ের লক্ষ্যে বাংলা নতুন বর্ষের উৎপত্তি, সেখান থেকেই শুরু পহেলা বৈশাখের। যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে হালখাতার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।
সম্পর্কিত খবর

কক্সবাজারে প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার হচ্ছে : রিজওয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার জন্য বরাদ্দকরা কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর বনভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাতে (ইসিএ) অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ ও জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। এটা হতে দেওয়া হবে না।
তিনি জানান, কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে, সেটিও বন্ধ করা হচ্ছে। ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ ২০ একর জমি ফেরত আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫১ একর জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাজমুল আহসান, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চট্টগ্রাম বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম এবং কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসক রুবাইয়া আফরোজ। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

দোহায় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে টিএএস চেয়ারম্যানের লাঞ্চ মিটিং
অনলাইন ডেস্ক

কাতারের দোহায় ‘আর্থনা’ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে লাঞ্চ মিটিং করেছেন টিএএস’র চেয়ারম্যান ও ইয়েমেনের অনারারি কনসাল কে এম মজিবুল হক।
আজ বুধবার উচ্চ পর্যায়ের এ মধ্যাহ্নভোজ বৈঠকে অংশ নেন স্পেসএক্সের ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস লরেন ড্রেগার ভিপি, পিএমআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিসেস নেভেনা ভিপি, ইলন মাস্কের গ্লোবাল এনগেজমেন্টের সিনিয়র উপদেষ্টা রিচার্ড গ্রিফিথস, দ্য রয়েল হাইনেস কিং চার্লস ফাউন্ডেশনের সিইও ক্রিস্টিনা মুরিন ও দ্য কমনওয়েলথ সহকারী মহাসচিব অধ্যাপক লুইস জি ফ্রান্সেশি।
বৈঠকে আধুনিক টেকসই উন্নয়নে উদ্ভাবনীপন্থা অনুসন্ধান, কূটনীতি এবং বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের মাধ্যমে সংলাপকে উৎসাহিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

কালের কণ্ঠের সাংবাদিক আটকের নিন্দা জানাল বিজেআইএম
অনলাইন ডেস্ক

সাতক্ষীরায় সরকারি দুর্নীতির খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রোকনুজ্জামান টিপুর আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটি জানিয়েছে, কর্তব্যরত একজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই তাকে কারাগারে পাঠানো সংবাদপত্রের স্বাধীনতার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার অন্যায্য অপব্যবহার।
বিজেআইএম সুলতান টিপুর অবিলম্বে মুক্তি এবং ইউএনও ও প্রকৌশলীর কর্মকাণ্ডের পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপুকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জানা যায়, সরকারি নির্মাণকাজে অনিয়মের অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কালের কণ্ঠের তালা উপজেলা প্রতিনিধি রোকনুজ্জামান টিপুকে এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা লাঞ্ছিত করেন। বিষয়টি উভয় পক্ষই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করে। পরে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাসেল একপক্ষের অভিযোগ শুনে সাংবাদিক টিপুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

সরকারি কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা যাবে তদন্ত ছাড়াই, নোটিশ পাবে ৮ দিনের
অনলাইন ডেস্ক

চাকরি আইন সংশোধন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংশোধিত আইনে বিনা তদন্তে যে কাউকে চাকরিচ্যুত বা অব্যাহতি দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। মাত্র ৮ দিনের নোটিশে অব্যাহতি দিতে পারবে সরকার।
দাপ্তরিক কাজে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার।
মূলত 'সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯'-তে যা ছিল, সরকারি কর্মচারী আইনে তা প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেটি বাতিল হয়েছিল ২০১৮ সালে।
সূত্র জানিয়েছে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে অনুপস্থিত ছিলেন অনেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা। এ ছাড়া কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাগত দ্বন্দ্ব, সচিবালয়ে বিশৃঙ্খলাসহ বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এমন উদ্যোগ নিচ্ছে।
প্রস্তাবিত খসড়ায় অভিযুক্ত কর্মচারীকে ২-৫ দিনের মধ্যে অভিযোগের জবাব বা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযোগের জবাব না দিলে বা জবাব দেওয়ার পরও অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্ত হলে কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট শাস্তি আরোপ করে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেবে।