ঢাকা, সোমবার ২৮ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

ডায়াবেটিস হলেই কি চোখের সমস্যা দেখা দেয়?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিস হলেই কি চোখের সমস্যা দেখা দেয়?
সংগৃহীত ছবি

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডায়াবেটিস একা আসে না, আরো নানা শারীরিক সমস্যা সঙ্গে নিয়েই আসে। এই রোগ ধরা পড়লেই শুরু হয় আতঙ্ক। ক্ষতি হয় হার্ট, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন অঙ্গের। আর যে অঙ্গটির ক্ষতি বেশি হয়, তা হলো চোখ।

অনেকেই শুনলে আঁতকে উঠবেন, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস থেকে দৃষ্টিশক্তি চলেও যেতে পারে।

২০২২ সালের এক সমীক্ষায় গবেষকেরা দাবি করেছেন, ডায়াবেটিসের কারণে দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে অথবা তা চলেও যেতে পারে। ‘দ্য ল্যানসেট’ মেডিক্যাল জার্নালে এই বিষয়ে গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ভারতে অন্তত ৮ হাজার ডায়াবেটিক রোগীর মধ্যে ১২.৫ শতাংশই ভুগছেন দৃষ্টিশক্তির সমস্যায়।

অনেকেরই রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত। তার মধ্যে অন্তত ৪ শতাংশের অবস্থা রীতিমতো সংকটাপন্ন।

আরো পড়ুন
শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

শিশুদের মুখ থেকে লালা পড়ে কেন

 

ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার ক্ষতি হলে তাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি’। রেটিনা চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল পর্দা।

আলোকরশ্মি চোখের ভেতর ঢুকে রেটিনায় প্রতিফলিত হয়েই দৃশ্যমানতা তৈরি করে। রক্তশূন্যতা বা অক্সিজেনের অভাবে রেটিনার সূক্ষ্ম রক্তজালিকাগুলো বন্ধ হয়ে যায়। কখনো আবার রক্তনালির মধ্যে পানি বা তেল জাতীয় পদার্থ জমে গিয়ে ফোলা অংশ তৈরি হয়। সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়।

আবার কখনো রক্তনালিতে ছিদ্র তৈরি হয়ে সেখান থেকে রক্ত চুইয়ে বাইরে বের হয়ে আসে।

ফলে আলোকরশ্মি চোখে ঢুকতে বাধা পায়। ধীরে ধীরে ঝাপসা হতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। ডায়াবেটিসের কারণে এই সব সমস্যাই দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 

সমস্যা শুরু হয় চোখে ব্যথা দিয়ে। দূরের জিনিস শুধু নয়, কাছের জিনিস দেখতেও সমস্যা হয়। দুই পাশের দৃশ্য দেখাতেও সমস্যা হয় অনেক সময়েই। রং বুঝতে পারবেন না রোগী, হঠাৎ চারদিক অন্ধকার দেখা, নির্দিষ্ট কোনো অংশ দেখতে না পাওয়া এবং আচমকা আলোর ঝলকানি দেখা— এসবও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির লক্ষণ।

ডায়াবেটিক রোগীরা চোখে এই ধরনের সমস্যা অনুভব করলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা অ‌্যাঞ্জিয়োগ্রাফি, চোখের স্ক‌্যানের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করেন। লেজার থেরাপি, চোখের ইঞ্জেকশন বা স্টেরয়েড ইঞ্জেকশন দিয়ে দৃষ্টিশক্তি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টাও হয়। ছয় মাস অন্তর চোখ পরীক্ষা করালে বিপদের ঝুঁকি অনেক কম থাকবে।

আরো পড়ুন
কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

কালো রঙের প্লাস্টিক দেহের জন্য ক্ষতিকর কেন

 

সূত্র : আনন্দবাজার

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নাক ডাকা কখন বিপদের কারণ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নাক ডাকা কখন বিপদের কারণ
সংগৃহীত ছবি

নাক ডাকা এমন একটি সমস্যা, যেটি শুধু নিজের জন্যই বিব্রতকর নয়, আশপাশের মানুষও এর ফলে বিরক্ত হন। এর আছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিও। নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষই নাক ডাকার সমস্যায় ভুগতে পারেন। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও নাক ডাকার সমস্যা হতে পারে।

তবে শীতকালে এ সমস্যা বাড়তে পারে।

নাক ডাকার কোনো বয়স হয় না। শিশুদেরও নাক ডাকতে পারে আবার বৃদ্ধেরও। ইদানীং নাক ডাকা নিয়ে বহু মেডিক্যাল আর্টিকল বা আলোচনা প্রকাশিত হয়।

তাই অনেককেই সতর্ক হতে হবে। তবে বলে রাখা প্রয়োজন, সব ধরনের নাক ডাকাই বিপদের সংকেত নয়।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, যিনি নাক ডাকেন, তাকে কিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়। রোগীর উত্তরগুলোর ভিত্তিতেই চিকিৎসকরা বুঝে নেন সমস্যাটি স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক।

সে অনুযায়ী ঝুঁকি মূল্যায়ন করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করে নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন
আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

 

কখন ডাক্তার দেখাবেন

চিকিৎসক বলছেন, কেউ যদি  জোরে জোরে, বিকট আওয়াজে নাক ডাকেন, তাহলে অন্তত একবার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সেটা স্বাভাবিক নাকি কোনো রোগের পূর্বাভাস, সেটি বুঝবেন একমাত্র চিকিৎসকরাই।

আরো দুটি বিষয় খেয়াল রাখা খুবই দরকার। প্রথমত, রোগী নাক ডাকতে ডাকতে হঠাৎ কিছু সময়ের জন্য থেমে যাচ্ছেন কি না এবং তারপর দম আটকে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কি না।

একে বলে ‘Apnoeic Spell’। 
দুই, দিনের বেলায় অতিরিক্ত ঘুম পাচ্ছে কি না, সারা রাত ঘুমিয়েও কাজের মধ্যেই ঝিমুনি আসছে কি না।  

কী কী বিপদের আশঙ্কা থাকে

নাক ডাকার প্রধান কারণ হলো, শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে কোথাও না কোথাও একটা বাধা বা অবরোধ সৃষ্টি হওয়া। এই বাধা সাধারণত নাক থেকে শুরু করে গলা বা শ্বাসনালির যেকোনো স্থানে হতে পারে। এর ফলে শ্বাসের সঙ্গে শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। ফলে শরীরের প্রায় সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ধীরে ধীরে ক্ষতি হতে শুরু করে।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, এর ফলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে ডায়াবেটিসের মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের কারণে স্ট্রোকের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। 

আবার, অক্সিজেনের অভাবে ‘ক্যারোটিড বডি অ্যাক্টিভেশন’ হয়ে হার্ট রেট ওঠানামা করতে থাকে, খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়, হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ তৈরি হয়, স্মৃতিশক্তি কমে যায়।  যৌন ইচ্ছাও হ্রাস পেতে পারে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো, অনেক ক্ষেত্রেই রোগীরা বুঝতেই পারেন না যে এই সমস্যাগুলো নাক ডাকার সঙ্গে সম্পর্কিত। 

কী ধরনের টেস্ট করা উচিত

Obstructive Sleep Apnea (OSA) রোগ নির্ণয়ের জন্য গোল্ড-স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষাগুলি হলো, লেভেল-১ পলিসমনোগ্রাফি। এই টেস্টের মাধ্যমে জানা যায়—

  • নাক ডাকার ফলে ঠিক কতটা অক্সিজেন কমে যাচ্ছে
  • কতক্ষণ ধরে শ্বাস বন্ধ থাকছে
  • মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের কোনো অস্বাভাবিকতা ঘটছে কি না
  • শরীরে কোনো অস্বাভাবিক নড়াচড়া হচ্ছে কি না,  ইত্যাদি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

তবে আজকাল হোম-বেসড স্লিপ স্টাডি, মাল্টিপল স্লিপ ল্যাটেন্সি টেস্ট এবং অ্যাপ বেস্ড মনিটরিং ইত্যাদিও রোগী বিশেষে করা হচ্ছে। তবে, শ্বাসনালির কোথায় ঠিক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে, তা নির্দিষ্টভাবে জানতে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের নিজস্ব পর্যবেক্ষণ, নিরীক্ষণ ও DISE (ড্রাগ ইন্ডিউসড এন্ডোস্কোপি) করার দরকার পড়ে। 

কিভাবে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়

চিকিৎসক জানাচ্ছেন OSA একবার নির্ণয় হয়ে গেলে এখন পর্যন্ত এর সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হলো CPAP মেশিন ব্যবহার। বর্তমানে CPAP মেশিনেরও বিভিন্ন ধরন এসেছে, যেগুলোর অনেকগুলোই এখন খুব সহজেই, ঝামেলাবিহীনভাবে ঘুমের সময় বাড়িতে ব্যবহার করা যায়। যারা CPAP মেশিন ব্যবহার করতে অনীহা বোধ করেন, তাদের জন্য কিছু সহজে ব্যবহার করা যায় এমন যন্ত্রপাতি আছে। যেমন : eXciteOSA, Provent থেরাপি, cNEP, ম্যান্ডিবুলার অ্যাডভান্সমেন্ট ডিভাইস ইত্যাদি। তবে খুব কম কিছুক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।

যন্ত্রপাতি ব্যবহার বা অপারেশন ছাড়া অন্য কোনো উপায় আছে?

চিকিৎসকরা বলছেন, তাও আছে। আজ থেকে দুই-আড়াই বছর আগেও তেমন কোনো বিকল্প পদ্ধতি ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার মাধ্যমে আরো কিছু নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি এসেছে, যেমন: মায়ো ফাংশনাল অ্যাপ্রোচ ও হাইপোগ্লোসাল নার্ভ স্টিমুলেশন।

আরো পড়ুন
বৃষ্টির সময়ে আড্ডার সঙ্গী হতে পারে যেসব খাবার

বৃষ্টির সময়ে আড্ডার সঙ্গী হতে পারে যেসব খাবার

 

এ ছাড়া খুব প্রয়োজন ওজন কমানো, নিয়মিত বিশেষ কিছু ব্যায়াম ও ফিজিওথেরাপি। বিশেষভাবে নির্ধারিত ডায়েট চার্ট ফলো করতে হবে। বিজ্ঞাপন দেখে ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ বা যন্ত্রপাতি না কেনাই বাঞ্ছনীয়। বরং ডাক্তারের পরামর্শমতোই ওষুধ খেতে হবে। 

এই সমস্যাও মাইল্ড থেকে মডারেট হয়। কোন পর্যায়ে আপনার সমস্যাটি দাঁড়িয়ে, তা বলতে পারবেন চিকিৎসকই। 

মনে রাখতে হবে, নাক ডাকা নিয়ে যেমন অযথা ভয় পাওয়ার দরকার নেই, তবে যদি দিনে দিনে আওয়াজ বেড়ে গর্জনে পরিণত হয়, তাহলে একেবারেই দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

কোন বয়সে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কত হওয়া উচিত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কোন বয়সে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কত হওয়া উচিত
সংগৃহীত ছবি

হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্তকণিকাতে (আরবিসি) উপস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করতে কাজ করে হিমোগ্লোবিন। শরীরে এই প্রোটিনের ঘাটতি থাকলে ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা ও রক্তাল্পতার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, সুষম খাদ্যাভ্যাস, সঠিক জীবনধারা ও নিয়মিত ব্যায়াম করে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন এবং প্রয়োজনে আয়রন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। আবার প্রাকৃতিক প্রতিকারের মাধ্যমেও আপনি বাড়িতে বসেই শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে পারেন। এর জন্য প্রথমেই জানা জরুরি যে বয়স অনুসারে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কত হওয়া উচিত এবং কিভাবে এটির ভারসাম্য রক্ষা করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন
আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

 

বয়স ও লিঙ্গ অনুসারে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা

বয়স ও লিঙ্গ অনুসারে স্বাভাবিক হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ভিন্ন ভিন্ন হয়।

  • ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেদের ক্ষেত্রে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ১২-১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার হওয়া উচিত। যেখানে ১৮ বছরের বেশি বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের হিমোগ্লোবিন ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার হওয়া উচিত।
  • ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক মাত্রা ১০-১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার এবং প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের ক্ষেত্রে ১২.০ থেকে ১৫.৫ গ্রাম/ডেসিলিটার।

শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়

আপনার শরীরে যদি হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন বি১২ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করতে পারে এমন কিছু প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া প্রতিকার হচ্ছে—

গুড় ও ছোলা

গুড় ও ভাজা ছোলা খেলে হিমোগ্লোবিন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। গুড় আয়রনের একটি প্রাকৃতিক উৎস এবং ছোলা প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে আয়রন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরের আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য পালং শাক, মেথির মতো সবুজ শাক-সবজি খান। বিটরুট ও ডালিম উভয়ই রক্ত ​​বৃদ্ধিতে খুবই কার্যকর।

এ ছাড়া ডুমুর ও খেজুরে প্রাকৃতিক আয়রন পাওয়া যায়, যা হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়।

ভিটামিন বি১২

ভিটামিন বি১২ এর অভাব শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে। দুধ, দই, পনির ও ডিমের মতো দুগ্ধজাত দ্রব্য খান। নিরামিষাশীদের জন্য ফোর্টিফাইড সিরিয়াল ও সয়া পণ্য ভালো বিকল্প হতে পারে।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

ভিটামিন সি

ভিটামিন সি শরীরে আয়রনের শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে, যার ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। কমলা, লেবু, মিষ্টি লেবু, আমলকী ও টমেটো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। গাজর ও বিটের রস পান করলে হিমোগ্লোবিন দ্রুত বৃদ্ধি পায়।

ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার

ফলিক এসিড নতুন লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে। এই চাহিদা পূরণের জন্য সয়াবিন, ব্রকলি, চিনাবাদাম, ছোলা ও ভাত খান। কমলালেবু ও পেঁপে ফলিক এসিডের চমৎকার উৎস।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

মন্তব্য

ধূমপান ছাড়ার পর যেভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করবেন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধূমপান ছাড়ার পর যেভাবে ফুসফুস পরিষ্কার করবেন
সংগৃহীত ছবি

ধূমপান ফুসফুসের মারাত্মক ক্ষতি করে। ধীরে ধীরে এই ক্ষতি থেকে ক্রনিক ব্রংকাইটিস, এমফিসেমা, এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগও হতে পারে। তাই সিগারেট ছাড়তে পারা মানে একটা বড় জয় লাভ করা।

তবে সিগারেট ছাড়ার পর ফুসফুসে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ ও ময়লা পরিষ্কার করাও জরুরি হয়ে পড়ে।

তবে আশার খবর হলো—কিছু নির্দিষ্ট খাবার ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস ধীরে ধীরে ড্যামেজড লাংস পরিষ্কার ও পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করতে পারে।

হার্ভাড হেলথ ও ওয়েবএমডি-এর মতে, সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর ক্লিনার হলো পানি। প্রচুর পরিমাণে পানি পান শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। আপনি যখন ধূমপান ছাড়েন, তখন শরীর নিজেই ডিটক্স করতে শুরু করে এবং পানি এই প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে।

আরো পড়ুন
আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

 

হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক উপাদান ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এর জন্য আপনি হলুদ দুধ খেতে পারেন বা গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন।

আদা ফুসফুস পরিষ্কারে খুবই উপকারী। এটি শরীর থেকে কফ ও কফের স্তর বের করতে সাহায্য করে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

আদা চা বা কাঁচা আদার ব্যবহার কার্যকর হতে পারে। এ ছাড়া নিয়মিত ভাপ নেওয়া বা ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ ফুসফুসে জমে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। এতে শ্বাসনালি খোলে এবং জমে থাকা কফ সহজে বেরিয়ে যায়।

আরো পড়ুন
‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

‘সান অ্যালার্জি’ কেন হয়, কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

 

ব্রোকলি, পালং শাক, আমলা, কমলা ইত্যাদি ফল ও সবজি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এগুলো ফুসফুসে কোষের ক্ষতি সারাতে এবং নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।

আপনি যদি ধূমপান ছেড়ে দেন, তাহলে এই টিপসগুলো আপনার জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হতে পারে। একটু ধৈর্য ও নিয়ম মানলে ফুসফুস আবার সুস্থ হয়ে উঠবে।

আরো পড়ুন
সকালের নাশতায় যে ৬ খাবার খেলে বাড়বে কোলেস্টেরল

সকালের নাশতায় যে ৬ খাবার খেলে বাড়বে কোলেস্টেরল

 

সূত্র : নিউজ ১৮

মন্তব্য

আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে কি পুষ্টিগুণ বাড়ে?
সংগৃহীত ছবি

ড্রাই ফ্রুটসকে শরীরের জন্য খুবই উপকারী বলে ভাবা হয়। এদের মধ্যে আমন্ডের এক ধরনের জাদুকরী গুণ রয়েছে। এই বাদাম ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর চর্বিসহ অনেক পুষ্টির একটি ভালো উৎস। এতে থাকা ভিটামিন এ, সি এবং ই ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।

আমন্ড খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। ভিজিয়ে খেলে নাকি আমন্ডের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি পায়। এ কথা কতটুকু সত্য, কেন ভিজিয়ে রাখা হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আমন্ড প্রকৃতিতে গরম, তাই ভিজিয়ে রাখলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।

এ ছাড়া আমন্ড ভিজিয়ে রাখলে তা হজম করা শরীরের পক্ষে সহজ হয়। এর ফলে এটি অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। ভিজিয়ে রাখা আমন্ডের ফাইটিক এসিড ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে, যা হজম ও পুষ্টির শোষণকে উন্নত করে। জেনে নিন ভিজিয়ে রাখা আমন্ড খাওয়ার কিছু উপকারিতা।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

ডায়াবেটিক রোগীরা কি মিষ্টি আলু খেতে পারবেন?

 

এনজাইম নিঃসৃত হয়

আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা আপনার হজমশক্তি বাড়ায়। অন্যদিকে, এগুলোকে ভিজিয়ে রাখলে বাদামে উপস্থিত লিপেজ বের হয়, যা একটি এনজাইম। এটি চর্বি হজমে সাহায্য করে। তাই বাদাম ভিজিয়ে রাখলে শরীরের চর্বি হজম করা সহজ হয়।

ম্যাগনেসিয়াম বাড়াতে সাহায্য করে

আমন্ডে থাকা ম্যাগনেসিয়াম হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

এটি চিনি, স্নায়ুর কার্যকারিতা এবং পেশীগুলোর সঠিক কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভেজানো আমন্ড খেলে শরীর দ্রুত ম্যাগনেসিয়াম ব্যবহার করে।

হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়

যেহেতু আমন্ডে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, ভিটামিন ই ও ম্যাগনেসিয়াম থাকে, তাই এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, যার ফলে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।

আরো পড়ুন
গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

গরম না ঠাণ্ডা, কোন পানি দিয়ে গোসল করলে মিলবে উপকার

 

ওজন কমাতে সহায়ক

আমন্ডে এমন পুষ্টি রয়েছে যা আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। কারণ এই বাদাম বিপাককে ত্বরান্বিত করে। এগুলো প্রোটিন ও ফাইবারের একটি ভালো উৎস, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

আরো পড়ুন
গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

গরমে চুল ভালো রাখবে যেসব ফল

 

সূত্র : আজতক বাংলা

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ