<p>বহুজগৎ তত্ত্ব কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাখ্যাগুলোর একটা। মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রেটেশন বা কোয়ান্টাম মাল্টিভার্স থিওরি নামটাও ভালো। মার্কিন পদার্থবিদ হিউ এভারেট এই ব্যাখ্যা দেন। তাঁর পিএইচডি থিসিসের বিষয় ছিল এটি।</p> <p>তত্ত্বটি মজার। এ বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে আমাদের মহাবিশ্বের মতোই অসংখ্য সমান্তরাল মহাবিশ্ব রয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কার্ল সাগানের মহাজাগতিক পথচলা শুরু হয়েছিল সেদিন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/09/1731135570-9ba266ffc74fb2c0ec87a44d5b3919be.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কার্ল সাগানের মহাজাগতিক পথচলা শুরু হয়েছিল সেদিন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/09/1444545" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রতি মুহূর্তেই তৈরি হচ্ছে হাজারও জগৎ। তবে সেই জগতগুলো আলাদা আলাদা নয়। একে অপরের সাথে জড়িত। শ্রোডিঙ্গারের বিড়ালকেই ধরা যাক। বাক্সের ভেতরে তেজস্ক্রিয় পরমাণু রয়েছে। সেখানে বিড়ালটা রেখে বাক্সটা বন্ধ করে দেওয়া হলো।</p> <p>বিড়ালটা তেজস্ক্রিয়তার শিকার না হলে বেঁচে থাকবে। আর যদি তেজস্ক্রিয়তার শিকার হয়, তবে মারা যাবে। বাক্সের বাইরে থেকে আমরা ভাবতেই পারি, বিড়ালটা বেঁচে আছে অথবা বেঁচে নেই। হাতে দুটো সম্ভাবনা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নিউরন নিয়ন্ত্রণে বৈপ্লবিক আবিষ্কার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730973909-df92790ceb5bc750a3bbbe924df02120.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নিউরন নিয়ন্ত্রণে বৈপ্লবিক আবিষ্কার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443864" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এবার বাক্স খুলে যদি দেখা যায় বিড়ালটি বেঁচে নেই তবে সেটাই চূড়ান্ত অবস্থা। এভারেটের মতে, একইসময় অন্য কোনো বিশ্বে একই পরীক্ষা চলছে। বিড়ালটা বেঁচে আছে সেখানে।</p> <p>ইলেকট্রন মেঘের কোন বিন্দুতে ইলেকট্রনকে পাওয়া যাবে তার অসংখ্য সম্ভাবনা আছে। ধরুন, আপনি সুবিধামতো একটা বিন্দুতে খোঁজ করলেন। সেখানে ইলেকট্রন পেয়ে গেলেন। বাকি বিন্দুগুলোতে তরঙ্গ-ফাংশন কলাপ্স করল বা ভেঙে পড়ল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হারিয়ে যাবে শনির বলয়!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730966103-a55d3bf0e93d14da24725a86f587d7b9.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হারিয়ে যাবে শনির বলয়!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443840" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বহুজগৎ ব্যাখ্যায় তরঙ্গ-ফাংশন কলাপ্স করে না। বরং অন্য কোনো সমান্তরাল বিশ্বে আপনারই আরেক প্রতিবিম্ব অন্য কোনো বিন্দুতে ইলেকট্রন খুঁজে পাচ্ছে। এটাকে আরেকটু ঘুরিয়েও বলা যায়। এই বিশ্বে আপনি যে অবস্থা বেছে নেবেন, অন্য বিশ্বে আপনার প্রতিবিম্ব বেছে নেবে তার উলটোটা।</p> <p>এই ব্যাখ্যাটিও কোপেনহেগেন ব্যাখ্যার বিকল্প ছিল। কোপেনহেগেন ব্যাখ্যা অনুসারে, কোয়ান্টাম কণা একই সাথে সব অবস্থায় থাকতে পারে। বোম আপত্তি করে বললেন— কণা নির্দিষ্ট অবস্থাতেই থাকে, কিন্তু তা আমরা নিখুঁতভাবে ধরতে পারি না। বহুজগত তত্ত্ব বলল অন্য কথা— কণা সব অবস্থাতেই থাকতে পারে, তবে ভিন্ন ভিন্ন জগতে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চেতনার পতন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730961613-b16cb83476a2be92c3916d95af642500.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চেতনার পতন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443821" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মূলত 'রিলেটিভ স্টেট ফর্মুলেশন' নামে পরিচিত ১৯৫৭ সালের একটি তত্ত্ব এখন 'মেনি ওয়ার্ল্ডস' বা বহুজগৎ তত্ত্ব নামে পরিচিত, যা অসংখ্য সমান্তরাল মহাবিশ্বের অস্তিত্ব সম্পর্কে ধারণা দেয়।</p> <p>কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ধাঁধা শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল। বহুজগৎ তত্ত্ব সঠিক হলে এই ধাঁধাঁ আর কোনো সমস্যা নয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বোমের বিকল্প ব্যাখ্যা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/06/1730893903-6894065208348e1c9204cfec8cbffd19.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বোমের বিকল্প ব্যাখ্যা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/06/1443485" target="_blank"> </a></div> </div> <p>একটা জগতে বিড়ালটি জীবিত, অন্যটাতে মৃত। একই জগতে একইসঙ্গে জীবিত এবং মৃত হতে পারে না। একেক জগতে একেক বাস্তবতা বিদ্যমান। প্রতিটি কোয়ান্টাম ঘটনার সম্ভাব্য সকল ফলাফল কোনো না কোনো বাস্তবতায় ঘটে চলেছে।</p> <p>তবে, অনেক পদার্থবিদ মনে করেন— বহুজগৎ তত্ত্ব অতিরিক্ত জটিলতা ছাড়া কিছুই নয়। তবে কোপেনহেগেন ব্যাখ্যার সবচেয়ে জনপ্রিয় বিকল্প এটি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আকাশে যদি আরেকটি চাঁদ থাকত, তাহলে কী হতো?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/06/1730878951-3e5bbb52797758aeeac91580d36ba116.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আকাশে যদি আরেকটি চাঁদ থাকত, তাহলে কী হতো?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/06/1443415" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল<br /> কোপেনহেগেন ব্যাখ্যা<br /> বোমের বিকল্প ব্যাখ্যা</p> <p><strong>বিজ্ঞানী</strong><br /> <strong>হিউ এভারেট</strong><br /> ১৯৩০-১৯৮২<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, প্রথম বহুজগৎ তত্ত্বের ধারণা দেন।</p> <p><strong>ব্রাইস ডিউইট</strong><br /> ১৯২৩-২০০৪<br /> মার্কিন পদার্থবিদ, 'মেনি ওয়ার্ল্ড ইন্টারপ্রেটেশন' নামকরণ করে বিখ্যাত বনে গিয়েছিলেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> ব্রায়ান ক্লেগ<br />  </p>