<p>বিখ্যাত ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘বিটলস’-এর একটি বিশেষ গান ‘নাও অ্যান্ড দেন’ নিয়ে মিউজিক প্রেমীদের মধ্যে এখন বেশ আলোচনা চলছে। গানটি শুধু বিটলস ভক্তদের জন্যই নয়, প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্যও বিশেষ কিছু। কারণ এই গানটি শেষ করতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই।</p> <p>মজার ব্যাপার হলো, গানটি ২০২৪ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ: স্টারলিংকের আদলে মঙ্গল হবে হবে মার্সলিংক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731476409-77361b0e4e8ae827383a3869051f8ca5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এলন মাস্কের নতুন উদ্যোগ: স্টারলিংকের আদলে মঙ্গল হবে হবে মার্সলিংক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/13/1446108" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই গানের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস। বিটলস ব্যান্ড ১৯৭০ সালে ভেঙে যায়। এর অনেক দিন পর, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয় ‘নাও অ্যান্ড দেন’।</p> <p>এই গানে প্রয়াত বিটলস সদস্য জন লেননের পুরোনো একটি রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছে, যা তিনি গিটার বাজিয়ে গেয়েছিলেন। মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী ইয়োকো ওনো এটি বাকি বিটলস সদস্যদের কাছে পৌঁছে দেন। কিন্তু তখন প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে গানটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ওয়াই-ফাই কানেকশনে সমস্যা, জেনে নিন ১০টি সহজ সমাধান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731410885-f9ae2dc05d754e1f50726d6a9ed5df54.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ওয়াই-ফাই কানেকশনে সমস্যা, জেনে নিন ১০টি সহজ সমাধান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/12/1445796" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বছর কয়েক আগে চলচ্চিত্র নির্মাতা পিটার জ্যাকসন এবং তাঁর টিম উন্নত এআই টেকনোলজি ব্যবহার করে লেননের কণ্ঠকে মূল ট্র্যাক থেকে আলাদা করেন, ফলে লেননের সেই রেকর্ডিং আরো পরিষ্কারভাবে পাওয়া যায়। পরে বাকি সদস্য পল ম্যাককার্টনি বেস গিটার বাজান, রিংগো স্টার ড্রাম বাজান, এবং প্রয়াত জর্জ হ্যারিসনের আগের রেকর্ড করা গিটার অংশও মেশানো হয়।</p> <p>এই বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গানটি শেষ হলেও গ্র্যামির নিয়ম ভাঙা হয়নি। কারণ গ্র্যামি পুরস্কার শুধুমাত্র মানুষের তৈরি মিউজিককেই গ্রহণ করে, তবে এআই যদি সৃষ্টিশীলতায় সহায়তা করে, তবে সেটি কিছু ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চ্যাটজিপিটির আদ্যোপান্ত : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/07/1730978957-7aff9eefba7c0b3e244a6a7911438ebb.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চ্যাটজিপিটির আদ্যোপান্ত : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/07/1443902" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে এআই দিয়ে গান তৈরি বা সম্পাদনার বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক আছে। অনেকেই ভাবছেন, এআই কি আসলেই সৃষ্টিশীলতাকে সাহায্য করছে, নাকি মানুষের মেধার জায়গা দখল করছে?</p> <p>আবার অনেকে এআইকে নতুন সৃষ্টির সুযোগ হিসেবেও দেখছেন। বিটলসের এই গানটি এআই ব্যবহার করেও ভক্তদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছে কারণ এতে মূল কণ্ঠের কোনো বিকৃতি হয়নি। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ভিডিও গেমের ফাঁদ থেকে রক্ষা করুন আপনার সন্তানকে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/12/1731400326-05881a8355fa2539abc03d5ed5e53ead.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ভিডিও গেমের ফাঁদ থেকে রক্ষা করুন আপনার সন্তানকে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/12/1445736" target="_blank"> </a></div> </div> <p>২০২৩ সালে একটি বিতর্কিত ঘটনা ঘটে, যেখানে ‘ঘোস্টরাইডার’ নামের একজন শিল্পী এআই দিয়ে ‘ড্রেক এবং দ্য উইকেন্ডের’ কণ্ঠ নকল করে গান তৈরি করেন এবং এটি গ্র্যামিতে জমা দেন। কিন্তু যথাযথ ভাবে অনুমতি না নেওয়ার কারণে সেটি অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।</p> <p>বিটলসের ‘নাও অ্যান্ড দেন’ গানটি ২০২৪ সালের গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডে ‘রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার’ এবং ‘বেস্ট রক পারফরমেন্স’ ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়েছে। এতে বিটলসের প্রভাব এবং সংগীত জগতে এআই এর ইতিবাচক প্রভাব আবারও প্রমাণিত হলো।</p> <p>সূত্র: সিএনএন<br />  </p>