<p>খালি চোখে আমরা ২০০ মাইক্রোমিটারের চেয়ে ছোট কোনো কিছু দেখতে পাই না। এমন ছোট বস্তু দেখার জন্য অণুবীক্ষণ যন্ত্র বা মাইক্রোস্কোপ লাগে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে মাইক্রোস্কোপের ব্যবহার শুরু হয় সাড়ে তিনশ বছর আগে।</p> <p>ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব বিভিন্ন রোগের কারণ। শরীরের কোষে এই অণুজীবগুলোর খুঁজে রোগনির্ণয় করার জন্য প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করা হয়। অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ। এসব মাইক্রোস্কোপে স্বাভাবিক আলো বস্তুর ওপর পড়ে তা প্রতিফলিত হয়ে একটা লেন্সের ভেতর দিয়ে বস্তুর বড়সড় প্রতিবিম্ব তৈরি করে।  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাইসাইকেল চলন্ত অবস্থায় পড়ে যায় না কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/21/1732174326-d39fe0b3642a6bc7fcbb8b101f7708d8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাইসাইকেল চলন্ত অবস্থায় পড়ে যায় না কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/21/1449058" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মাত্র ১৫০০ গুণ বড় প্রতিবিম্ব তৈরি করতে পারে এগুলো। এতে কোষ দেখা যায়। কিছু বড় ভাইরাসও দেখা যায় যেমন— গুটিবসন্তের ভাইরাস ভ্যারিওলা। তবে অধিকাংশ রোগজীবাণু, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস আরও ক্ষুদ্র। সাধারণ মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখা যায় না সেগুলো।</p> <p>এর সমাধান দেয় কোয়ান্টাম বলবিদ্যা। ১৯১২ সাল। বোরের পারমাণবিক তত্ত্ব কাজে লাগিয়ে পদার্থবিজ্ঞানী ম্যাক্স ফন লাও দেখেন, কোনো ক্রিস্টালে এক্সরে প্রয়োগ করলে সেই এক্সরে বিচ্ছুরিত হয়। এতে ক্রিস্টালের গঠন স্পষ্ট বোঝা যায়। এই পদ্ধতিতে জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী আর্নস্ট রুশকা এবং তড়িৎ প্রকৌশলী ম্যাক্স নল শক্তিশালী এক মাইক্রোস্কোপ তৈরি করেন। যা আমরা ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ বলে জানি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বদলে যাচ্ছে রসায়নের শত বছরের পুরনো সূত্র" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732098816-9999f549e76999544846941ecd8df42b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বদলে যাচ্ছে রসায়নের শত বছরের পুরনো সূত্র</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/20/1448739" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে ফোটনের পরিবর্তে ইলেকট্রন ব্যবহার করা হয়। ইলেকট্রন-তরঙ্গের কম্পাঙ্ক ফোটনের থেকে এক হাজার গুণ বেশি। ফলে স্বাভাবিক মাইক্রোস্কোপে যত ছোট বস্তু দেখা সম্ভব, ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে তার চেয়েও এক হাজার গুণ ছোট বস্তু দেখা যায়।</p> <p>বলে রাখা ভালো, অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপের মতো ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপে কিন্তু সরাসরি কোনো বস্তু দেখা যায় না। কেবল গঠন বোঝা যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ট্রানজিস্টরের ম্যাকানিজম" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732090821-0a9b944b1c6fdb8f40d4a59a88be31c4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ট্রানজিস্টরের ম্যাকানিজম</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/20/1448703" target="_blank"> </a></div> </div> <p>অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপ কাজ করে ফোটন কণার সাহায্যে। কিন্তু ইলেকট্রনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য ফোটনের তুলনায় অনেক কম। তাই ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের বর্ধন ক্ষমতা অপটিক্যাল মাইক্রোস্কোপের তুলনায় অনেক গুণ বেশি।</p> <p>ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ দুই ধরনের হয়। স্ক্যানিং ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ও ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ। স্ক্যানিং মাইক্রোস্কোপে নমুনা পদার্থের ওপর ইলেকট্রন ছোড়া হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফোনের পাওয়ার বাটন কাজ করছে না, জেনে নিন ১০ সমাধান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732096313-2e233a270b9ab4f885ab2ad69e78d560.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফোনের পাওয়ার বাটন কাজ করছে না, জেনে নিন ১০ সমাধান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/20/1448723" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সেই ইলেকট্রন পদার্থের গা থেকে আরেকটি ইলেকট্রন ঠোকা  দিয়ে বের করে আনে। দ্বিতীয় ইলেকট্রনটি শনাক্ত করা হয় সংযুক্ত ডিটেক্টরে। এরপর শক্তি হিসেব করে পিক্সেল টু পিক্সেল ডেটা সংগ্রহ করা হয়। সেখান থেকে নমুনার পুরো চিত্র পাওয়া যায়।</p> <p>অন্যদিকে ট্রান্সমিশন মাইক্রোস্কোপে ইলেকট্রন নমুনা ছেদ করে ডিটেক্টরে পৌঁছায়। এতে ইলেকট্রনের শক্তির যে পরিবর্তন হয়— সেই তথ্য থেকে পিক্সেল টু পিক্সেল ডেটা তৈরি হয়ে পুরো ছবি পাওয়া যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732004107-a55c702e695630f5ec3a40d1266280bd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আণবিক বোস-আইনস্টাইন কনডেনসেটের সন্ধানে : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448320" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা</p> <p>জীবনী<br /> ম্যাক্স নল এবং আর্নস্ট রুশকা<br /> ১৮৯৭ - ১৯৬৯ এবং ১৯০৬ - ১৯৮৮<br /> যথাক্রমে জার্মান তড়িৎ প্রকৌশলী ও জার্মান পদার্থবিদ, ১৯৩১ সালে প্রথম ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ তৈরি করেন।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> আলেক্সান্ডার হেলেমানস<br />  </p>