<p>দেশের শীর্ষ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ। দেশ ও মানুষের কল্যাণে স্লোগান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে দেশের জন্য। বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা সংগঠন বসুন্ধরা শুভসংঘ।<br />  <br /> বসুন্ধরা শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রংপুর পীরগঞ্জের জাফরপাড়ায় গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছেন রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুরা।<br />    <br /> এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন, বড় ভাই  রমজান আলী, আবু হোসেন, রংপুর জেলা বসুন্ধরা শুভসংঘের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তানজিম হাসান, অর্থ সম্পাদক সোহাগ কুমার দাশ, দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের সমন্বয়ক গোলজার রহমান প্রমুখ।<br />   <br /> কবর জিয়ারত শেষে বসুন্ধরা শুভসংঘের বন্ধুদের সঙ্গে আবু সাঈদের স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বড় ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আমার ছোট ভাই আবু সাঈদ আমি ওকেই বেশি ভালোবাসতাম। আমি ওর এক বছরের বড় হলেও কিন্তু আমাদের বেড়ে ওঠা ছিল একসঙ্গেই। ও ছিল আমার খেলার সাথী ছিল। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে আমরা অনেক সংগ্রাম করে বড় হয়েছি। পড়াশোনার পাশাপাশি মাঠে কাজ করতাম আমরা একসঙ্গে। আবু সাঈদ অনেক মেধাবী ছিল । জাফরপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল।’</p> <p>‘ইন্টারমিডিয়েটে পড়ার সময় ও আমার কাছে একটা মোবাইল কেনার আবদার করে। যাতে মোবাইল দিয়ে সে অনলাইনে ক্লাস করতে পারে। যাতে প্রাইভেট পড়ার খরচটা বাঁচে। আমি তাকে তিন হাজার টাকা দিই। তা দিয়ে সে একটি পুরনো ফোন ক্রয় করে। এভাবে কষ্টের মধ্যে চলতে থাকে তার শিক্ষাজীবন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর করোনাকালীন সে বাসায় চলে আসে। সে সময় আমরা বেগুন চাষ করেছিলাম গ্রামে।  ক্ষেতে আমরা বেগুন তুলতে যাই। এ সময় বজ্রপাত শুরু হয় তখন বাঁচার জন্য আমরা দুজন দুই দিকে দৌড় দিই। তখন ভেবেছিলাম কেউ হতোবা বাঁচব না। শেষে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাই।</p> <p>এ রকম আরো হাজারো স্মৃতি আছে আমাদের। চলতি বছর ফ্রেরুয়ারি মাসে আমি প্রথম সন্তানের পিতা হই। সে সময় আমি ঢাকায় গার্মেন্টে চাকরি করতাম। আমার আমার স্ত্রীর পাশে আমি থাকতে না পারলেও ছোট ভাই হিসেবে আবু সাঈদ আমার স্ত্রীর পাশে ছিল। সাঈদ এখন বেঁচে নেই এ কথা ভাবতেই পারি না। আল্লাহ তাকে বেহেশতবাসী করুক। আমিন।’</p>