ঈদের আনন্দকে আরো রঙিন করতে রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে ঈদ-পরবর্তী মিলনমেলা ও জমজমাট ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘ পল্লবী থানা শাখা ও স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের উদ্যোগে মিরপুর-১২, সাগুফতা (ডি-বক্স টার্ফ) মাঠে আয়োজিত এই প্রীতি ম্যাচে অংশ নেয় দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল, যা এলাকার মানুষকে একত্র করে আনন্দঘন এক মিলনমেলায় পরিণত করে।
মাঠের উচ্ছ্বাস, ক্রীড়ামোদী দর্শকদের করতালি আর খেলোয়াড়দের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্সে ঈদের আমেজ যেন আরো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
বসুন্ধরা শুভসংঘের কার্যনির্বাহী সদস্য ও পল্লবী থানা শাখার সভাপতি তাহমিদ আরেফিন সাজিদ বলেন, ‘ঈদ মানেই আনন্দ, আর খেলাধুলা সেই আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
’
বিশেষ এ আয়োজনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ মিরপুর থানা শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. মোহতামিম মর্শেদ দিহান, কর্ম ও পরিকল্পনা সম্পাদক মো. ইরাম হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক খন্দকার রাশেদুল ইসলাম, সদস্য জিসান আহমেদ, তৌসিফ খান, ইরফান মিজি প্রমুখ।
বসুন্ধরা শুভসংঘের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা বলেন, এ ধরনের আয়োজন সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। উৎসবমুখর এই ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো। দুই দলই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে, ফলে ম্যাচের উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে।
গোলের পর গোল পাল্টা গোলের উত্তেজনায় দর্শকদের উল্লাসে জমজমাট হয়ে ওঠে মাঠ। নির্ধারিত সময় শেষে খেলার ফলাফল ড্র হলে টাইব্রেকারের মাধ্যমে বিজয়ী দল নির্ধারণ করা হয়।
ক্রীড়াপ্রেমীরা বলছেন, এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত। এটি তরুণদের মাদক ও অপসংস্কৃতি থেকে দূরে রাখবে এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখবে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে এবং নিয়মিতভাবে এ ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। ঈদের আনন্দের সাথে মিলেমিশে ফুটবলের এই প্রাণবন্ত আয়োজন এলাকাবাসীর মধ্যে এক অন্য রকম উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেয়। শুভসংঘের বন্ধুরা জানান, এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।