৮ ওয়ানডেতে ৯৩ রান; তবু শান্তকে নিয়ে \'আত্মবিশ্বাসী\' নান্নু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৮ ওয়ানডেতে ৯৩ রান; তবু শান্তকে নিয়ে \'আত্মবিশ্বাসী\' নান্নু

২০১৮ সালে অভিষেকর পর জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত আটটি ওয়ানডে খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আট ম্যাচের আট ইনিংস ব্যাট করে তার সংগ্রহ মোটে ৯৩ রান! মানে এক শও করতে পারেননি। গড় মাত্র ১১.৬২। চলতি বিপিএলেও তার পারফরম্যান্স মোটেও ভালো নয়।

তার পরও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘোষিত ওয়ানডে দলে শান্তর জায়গা পাকা। নির্বাচকরা এখনো নাকি তার ওপর আত্মবিশ্বাসী।

গত জানুয়ারিতে উইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজে খেলেছেন শান্ত। তিন ম্যাচে তার রান যথাক্রমে ১, ১৭ এবং ২০! এই ফরম্যাটে তার স্ট্রাইকরেট ৫৮.৮৬।

সর্বোচ্চ স্কোর ৩৮ বলে ১৯। ২০২০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেটে তিনি এই রান করেছিলেন। চলতি বিপিএলে এখন পর্যন্ত ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে করেছেন ১৭৬ রান। সর্বোচ্চ ৪৫।
গড় ২২.০০ আর স্ট্রাইকরেট মাত্র ৯২.৬৩! এর পরও তাকে আফগানিস্তান সিরিজে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

শান্ত নিজেও সম্প্রতি বলেছেন, ব্যাটিং নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। জবাবে তিনি শোনান আত্মবিশ্বাসের কথা, 'শান্তকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে নিয়ে তাকে নিয়ে আমরাও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

সে আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত খেলোয়াড়। আশা করছি ৫০ ওভারের ফরম্যাটেও ভালো করবে।'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন ভারত

শেয়ার
রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন ভারত
দলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর দুই হাত উঁচিয়ে রাহুল-জাদেজার উদযাপন। ছবি : এএফপি

রান তাড়া করতে নেমে রোহিত শর্মা যা শুরু করেছিলেন তাতে সহজ জয়ই পাওয়ার কথা ছিল ভারতের। তবে হারার আগে হার নয়, এমন মানসিকতায় লড়তে থাকে নিউজিল্যান্ড। তার কিছুটা সুফলও পেয়েছিল কিউইরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তারা।

ভারতের কাছে ৪ উইকেটের পরাজয় দেখেছে কিউইরা। এত আরেকবার আইসিসির ওয়ানডে সংস্করণের টুর্নামেন্টে হতাশার গল্পই লিখল তারা। ২০০০ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর কখনো আইসিসির ওয়ানডে সংস্করণ জেতা হয়নি তাদের। আজ সুযোগ ছিল ট্রফিটা আরেকবার উঁচিয়ে ধরার।

কিন্তু তা হতে দিল না ভারত।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবার আরেকটি আইসিসির ট্রফি ঘরে তুলল ভারত। তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়েছে তারা। আর কোনো দল এতবার এই শিরোপা জিততে পারেনি।

তাদের পরে সর্বোচ্চ ২ বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২০১৩ সালের আগে প্রথমবার ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।

আরো পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হতে ২৫২ রান করতে হবে ভারতকে

চ্যাম্পিয়ন হতে ২৫২ রান করতে হবে ভারতকে

 

চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেন প্রতিশোধও নিল ভারত। ২০০০ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের কাছেই ভারতের স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল। সঙ্গে সর্বশেষ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল ভারত।

আজ যেন সবকিছুর হিসাব চুকে দিল। দুবাইয়ে ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার শুবমান গিল ও রোহিত। বিশেষ করে রোহিত।

সতীর্থ গিলকে ননস্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড় করিয়ে পেশির জোর দেখানো শুরু করেন রোহিত। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রতিপক্ষের বোলাদের ওপর ছড়ি ঘোড়ান তিনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সঙ্গীকে নিয়ে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। ৩১ রানে গিল বিদায়ের পরেই অবশ্য ধাক্কা খেয়েছিল ভারত।

বিনা উইকেটে ১০৫ রান করা দলটিই যে একসময় ১২২ রানে ৩ উইকেট হারায়। এ সময় আউট হন রোহিত নিজেও। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৭৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। মাঝে ১ রানে বিদায় নেন বিরাট কোহলি।

আরো পড়ুন
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন শেলটেক

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন শেলটেক

 

টপ অর্ডার ফিরলেও ম্যাচে দাঁড়িয়ে যান শ্রেয়াস আইয়ার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত ছন্দটাই আজ দেখান তিনি। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আজকের আগে ৮ ইনিংস ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ছয়টিতে পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে দুটি সেঞ্চুরিও আছে তার। আজও ৪৮ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ষষ্ঠ উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ার পথে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন ২৯ রান করা অক্ষর প্যাটেল।

তবে দ্রুতই দুজন বিদায় নিলে ম্যাচে উত্তেজনা বাড়ে। সেই উত্তেজনায় অবশ্য জ ঢেলে দেন ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়া লোকেশ রাহুল। ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেন তিনি। এতে ৬ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় ভারত।

এর আগে ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের জোড়া ফিফটিতে ২৫১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা মিচেলের বিপরীতে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেসওয়েল।

মন্তব্য

এক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন শেলটেক

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন শেলটেক
নারী প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন শেলটেকের ক্রিকেটারদের সেলফি। ছবি : সংগৃহীত

সাধারণত টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তবে শেলটেক ক্রিকেট একাডেমি যেন সেই অপেক্ষা করতে চায়নি। তাই তো এক ম্যাচ হাতে রেখেই ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন নারী ক্রিকেট লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।

পুরো টুর্নামেন্টে উড়তে থাকা শেলটেক আজ খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের সুখবর পেয়েছে।

খেলাঘরকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ১৪ পয়েন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। সমান সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। শেষ ম্যাচে যদি শেলটেক হারে এবং মোহামেডান জয়ী হয় তাহলে পয়েন্ট সমান হবে। কিন্তু টুর্নামেন্টের নিয়মানুযায়ী মুখোমুখি ম্যাচে শেলটেক জয়ী হওয়ায় চ্যাম্পিয়ন জ্যোতিরাই হবেন।

ইউল্যাবের মাঠে আজ প্রথম ব্যাটিং করে ১১৮ রানে আউট হয় খেলাঘর। প্রতিপক্ষরা অল্পতে আউট হয় দুই স্পিনার ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার ঘূর্ণিতে। দুজনই সমান ৩ টি করে উইকেট নিয়েছেন।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু পায় শেলটেক।

তবে ১ উইকেটে ৮০ রান করা দলটি হঠাৎই একটা সময় ১৩ রানের ব্যবধানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। শেষে অবশ্য ফাহিমা-সুমনা ২৬ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন শারমিন সুলতানা।

অন্যদিকে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান। বিকেএসপিকে ৭৪ রানে হারিয়েছে সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

শারমিন আক্তার সুপ্তার ৭৪ রানের কল্যাণে আগে ব্যাটিং করে ২২০ রান তোলে মোহামেডান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৪৫ রারেন গুটিয়ে যায় বিকেএসপি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন ফারজানা ইয়াসমিন।

মন্তব্য

চ্যাম্পিয়ন হতে ২৫২ রান করতে হবে ভারতকে

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
চ্যাম্পিয়ন হতে ২৫২ রান করতে হবে ভারতকে
ভারতকে উইকেট এনে দেওয়ার পর সতীর্থদের উদযাপনের মধ্যেমণি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী (ক্যাপ ছাড়া)। ছবি : ক্রিকইনফো

নিউজিল্যান্ডের কাছেই ২০০০ সালে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল ভারতের। এবার সেই ফাইনাল হারের প্রতিশোধ নেওয়ার দারুণ সুযোগ ভারতের সামনে। দুবাইয়ে আজ ২৫২ রান করতে পারলেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ তিনবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করবে ভারত।

ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ৫৭ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাচিন রবীন্দ্র। তবে শেষে সংগ্রহটা বড় করতে পারেনি তারা। আসলে তাদের করতে দেননি ভারতীয় স্পিনাররা। কুলদীপ যাদব-বরুণ চক্রবর্তীরা বোলিংয়ে আসা মাত্র খেই হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।

বিনা উইকেটে ৫৭ রান কর দলটিই এক সময় ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। তাতে টানা দুই উইকেট নিয়ে বড় ধাক্কাটা দেন কুলদীপ। টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষের দুই সেরা ব্যাটার রাচিন ও কেন উইলিয়ামসনকে আউট করে। ৩৭ রান করা রাচিনকে গুগলিতে বোকা বানান চায়নাম্যান স্পিনার।

অপরদিকে কুলদীপের ফ্লাইটে বোকা বনে ভারতীয় স্পিনারকে ক্যাচ দিয়ে বসেন উইলিয়ামসন (১১)। এর আগে ইয়াংকে ১৫ রানে আউট করে ভারতকে প্রথম উইকেট এনে দেন বরুণ। 

পরে দ্রুত টম লাথামকে (১৪) আউট করে সতীর্থদের সঙ্গে উইকেট উদযাপনে মাতেন রবীন্দ্র জাদেজাও। তবে অন্য স্পিনার অক্ষর প্যাটেল উইকেট না পেলেও রান দিতে কিপটেমির পরিচয় দিয়ে চাপ বাড়িয়েছেন প্রতিপক্ষের ওপর। ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়েছেন তিনি।

অবশ্য এক উইকেট নেওয়া জাদেজা তার চেয়েও কম রান দিয়েছেন। ১০ ওভারে ৩০ রান দিয়েছেন জাড্ডু।

শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড আড়াই শ রানের বেশি সংগ্রহটা পেয়েছে ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের জোড়া ফিফটি। শুরুতে চাপে পড়া কিউইদের হয়ে ইনিংসের মাঝপথে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে দলের বিপর্যয় এড়ান মিচেল। আর শেষ দিকে ৫৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে লড়াইয়ে পুঁজি এনে দেন অলরাউন্ডার ব্রেসওয়েল। ভারতের হয়ে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার বরুণ ও কুলদীপ।

মন্তব্য

নাঈমের বিধ্বংসী ইনিংসের দিনে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি তামিমের

ক্রীড়া ডেস্ক
ক্রীড়া ডেস্ক
শেয়ার
নাঈমের বিধ্বংসী ইনিংসের দিনে ম্যাচ জেতানো সেঞ্চুরি তামিমের
লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তামিম। সৌজন্য ছবি

সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবকে জেতালেন তামিম ইকবাল। তার সেঞ্চুরিতে উড়ে গেছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ৫৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মোহামেডান।

টানা দ্বিতীয় জয়ের ম্যাচে মোহামেডানের সামনে লক্ষ্য ছিল ২১৯ রান।

তাড়া করতে নেমে জয়ের অর্ধেকের বেশি রান করেছেন তামিম। শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না মোহামেডানের। দলীয় ৩৫ রানে ২ উইকেট হারিয়েছিল তারা। তবে ওপেনিংয়ে নেমে ১২৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম।
 

লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের ২৩তম সেঞ্চুরি পেয়েছেন তামিম। ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পাওয়া ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১১ চার ও ৫ ছক্কায়। তার সঙ্গে ৩৫ রানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিকুর রহিম। এর আগে আহরার আমিনের ৭৮ রানের ইনিংসের কল্যাণে ২১৮ রান করে পারটেক্স।

মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।

বিফলে গেছে রূপগঞ্জের অধিনায়ক আল আমিনের সেঞ্চুরি

দারুণ এক সেঞ্চুরিতে দলকে ২৬১ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য এনে দিয়েছিলেন আল আমিন জুনিয়র। কিন্তু রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেটার ক্লাবের অধিনায়কের সেঞ্চুরিটা দলের কাজে আসেনি। আবাহনী লিমিটেডের কাছে ৪ উইকেটে হেরে যাওয়ায় তার সেঞ্চুরি বিফলে গেছে।

আবাহনীর জয়ে আজ বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে দারুণ খেলেছেন টপ অর্ডার ব্যাটাররা।

প্রথম চার ব্যাটারই পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। ফিফটি অবশ্য শুধু মোহাম্মদ মিঠুনই (৬০) পেয়েছেন। দলের জয়ে ওপেনিংয়ে ৬২ রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার জিশান আলম (৩৯) ও পারভেজ হোসেন ইমন (৪৭)।

তিনে নেমে ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর শেষ দিকে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ১৫ বল হাতে রেখে জয় এনে দিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

রেকর্ড গড়া ম্যাচে বড় জয় প্রাইম ব্যাংকের

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে কোনো দল ৪০০ রানের দলীয় স্কোর গড়তে পারেনি। আজ সেই ইতিহাস লিখেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৪২২ রানের পাহাড় গড়েছে তারা।

পাহাড়সম রানে বিধ্বংসী ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেছেন নাঈম শেখ। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের নবম সেঞ্চুরির ইনিংসটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। আর বাংলাদেশের মধ্যে লিটন দাসের সঙ্গে যৌথভাবে পঞ্চম। ২০১৯ সালে আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ২০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন সৌম্য সরকার। আজ ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১২৫ বলের ইনিংসটি ১৮ চার ৮ ছক্কায় সাজান বাঁহাতি ওপেনার। বড় সংগ্রহে ফিফটি করেছেন সাব্বির হোসেন (৭৩) ও সাজ্জাদুল হক রিপন (৫০*)।

তাড়ার আগেই রানের চাপে পিষ্ট হওয়া ব্রাদার্স অলআউট হয়েছে ২৮৯ রানে। এতে ১৭৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৯৬ রান করেছেন আইচ মোল্লা। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ