<p style="text-align:justify">সব হিসাব যেন প্রথম দিনই মেটাতে চাইল গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। দীর্ঘ ১৩ বছরের বেশি সময়ের ক্ষুধা বলে কথা! ২০১১ সালের পর যখন কাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ-দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হলো তখন উইকেট ক্ষুধা মেটাতে থাকল গায়ানা।</p> <p style="text-align:justify">গায়ানায় প্রথম দিনেই ১৭ উইকেট পড়েছে। আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ১৬০ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাসিও দ্রুত মিইয়ে যায়। ১০০ রান তোলার আগেই যে ৭ উইকেট হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। স্বাগতিকের দিন শেষ করেছে ৯৭ রানে। আর কিছু সময় খেলা হলে হয়তো প্রথম দিনেই ২০ উইকেট পড়ে যেত।</p> <p style="text-align:justify">দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট বৃষ্টির মূল কারিগর পেসাররা। ১৭ উইকেটের ১৫টিই নিয়েছেন পেসাররা। ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম দিনের সেরা বোলার কেমার রোচের বদলে সুযোগ পাওয়া শামার জোসেফ। ঘরের মাঠে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন উদীয়মান পেসার।</p> <p style="text-align:justify">দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার টনি ডি জর্জিকে (১ রান) আউট করে উইকেট বৃষ্টির শুরুটা করেন জেডন সিলস। এরপর উইকেট বৃষ্টিতে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন শামার জোসেফ। তার বোলিং তোপে একের পর এক প্রোটিয়া ব্যাটার ড্রেসিংরুমে ফিরতে থাকেন। তবে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নেওয়া সিলস সঙ্গটা ভালোই দিয়েছেন। </p> <p style="text-align:justify">দুজনের বোলিংয়ে একটা সময় ৯৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে দলকে পরে ১৬০ রান এনে দেন ডেন পিয়েড ও নান্দ্রে বার্গার। শেষ উইকেটে দলের সর্বোচ্চ ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা। ২৩ রানে বার্গার আউট হলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকতে হয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক পিয়েডকে।</p> <p style="text-align:justify">তবে বোলারদের হাসিটা দীর্ঘায়িত করতে পারেননি ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই পেসার উইয়ান মুল্ডার ও বার্গারের তোপে ৫৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে নিজের বিধ্বংসীরূপটা দেখান মুল্ডার। দিনের শেষ বলে গুদাকেশ মোতি আউট হলে দিনের খেলার ইতি টানেন আম্পায়ারদ্বয়। তার আগে ৬ নম্বরে নেমে ৩৩ রানে অপরাজিত থেকে দলের শেষ ভরসা হয়ে আছেন জেসন হোল্ডার। দ্বিতীয় দিন ক্যারিবিয়ানদের কতটা ভরসা দিতে পারেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।</p>