আবাহনী লিমিটেডের দুই স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও রাকিবুল হাসানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে কম রানে আটকে দেয় আকাশি-নীলরা। এরপর পারভেজ ইমন ও জিশান আলমের ফিফটির জুটিতে সহজেই জয় নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে সুপার লিগের এই ম্যাচে ৭ উইকেটের জয় পায় আবাহনী। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২২৫ রান তোলে লিজেন্ডস অব রপগঞ্জ।
জবাবে ১২.৩ ওভার হাতে রেখে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আবাহনী। এ জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ পর্বে ১৮ পয়েন্ট পাওয়া আবাহনী সুপার লিগে টানা চার জয়ে মোট ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এখন তাদের নজর মোহামেডান ও গাজী গ্রুপের ম্যাচে।
মোহামেডান হেরে গেলে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা নিশ্চিত হবে আবাহনীর। বর্তমানে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ২২।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে লিজেন্ডস। ২২ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার, দুজনই হন অফ স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের শিকার।
এরপর সাইফ হাসান ও মেহেদী মারুফের ছোট্ট প্রতিরোধ চেষ্টা করলেও তারা বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৩৭ রানের জুটি ভাঙে সাইফের বিদায়ে, তিনি বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে আউট হন। এরপর আফিফ হোসেনকেও টিকতে দেননি মোসাদ্দেক।
পঞ্চম উইকেটে ফের লড়াই শুরু করে লিজেন্ডস। মারুফের সঙ্গে অধিনায়ক আকবর আলী যোগ করেন ৫০ রান, তবে এই জুটিও ভাঙেন মোসাদ্দেক। আকবর বিদায় নেওয়ার কিছু পর একপ্রান্ত আগলে থাকা মারুফও থামেন। ১৪২ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটি এরপর চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শরিফুল ইসলামের কল্যাণে দুইশ রান পার করতে সক্ষম হয়।
মারুফ সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন ৮৮ বলে। আকবরের ব্যাট থেকে আসে ৪০ বলে ৩৫ রান। সাতে নেমে রিজওয়ান করেন ৪৭ বলে ৪০ রান। আটে নামা শরিফুল, যার মূল কাজ বোলিং, তিনি ব্যাট হাতে খেলেন ২৩ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস। এক চারের সঙ্গে চার ছক্কা মারেন তিনি। আবাহনীর পক্ষে মোসাদ্দেক ৪ ও রাকিবুল ৩ উইকেট নেন। দুজনই ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে সমান ৪১ রান খরচ করেন।
রান তাড়ায় আবাহনী ৪৪ রানের আক্রমণাত্মক উদ্বোধনী জুটি পায়। শাহরিয়ার কমল ২০ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩২ রান করেন। দ্বিতীয় উইকেটে পারভেজ ও জিশান ১১৩ রান যোগ করে ম্যাচটি নিজেদের দখলে নিয়ে আসেন। পারভেজ ৮৪ বলে আটটি চার ও একটি ছক্কায় ৭৩ রান করেন, আর জিশান ৬৯ বলে চারটি করে চার ও ছক্কায় ৬৩ রান করেন। এরপর মেহেরব হাসান ও মোহাম্মদ মিঠুন আবাহনীকে জয়ী করে মাঠ ছাড়েন।