যাত্রীবাহী বিমানটি আকাশে উড্ডয়নের আগেই রানওয়েতে পিছলে গেল চাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামের যোরহাট বিমানবন্দরে। এ ঘটনার সময় বিমানে ৯৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই অক্ষত রয়েছেন।
যাত্রীবাহী বিমানটি আকাশে উড্ডয়নের আগেই রানওয়েতে পিছলে গেল চাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামের যোরহাট বিমানবন্দরে। এ ঘটনার সময় বিমানে ৯৮ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই অক্ষত রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইন্ডিগোর কলকাতাগামী বিমানটির চাকা পিছলে গিয়ে রানওয়ের পাশের জমির কাদায় গেঁথে যায়।
এ ঘটনার জেরে বাতিল করা হয় কলকাতাগামী ৬এফ-৭৫৭ ফ্লাইটটি। ইন্ডিগোর পক্ষ থেকে জানানো হয়, কেন এমন ঘটল তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (এএআই) জানিয়েছে, ঘটনার কারণে বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৮টার কলকাতাগামী ওই ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
সংশ্লিষ্টদের প্রাথমিক ধারণা, প্রযুক্তিগত কোনো ত্রুটির কারণে এমন হয়ে থাকতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি।
সম্পর্কিত খবর
তেহরান সোমবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো চিঠির বিষয়বস্তু তার প্রকাশ্য বক্তব্যেরই প্রতিফলন, যেখানে তিনি ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিন তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাকাই বলেন, ‘চিঠির বিষয়বস্তু ট্রাম্পের প্রকাশ্য বক্তব্যের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয় এবং এটি একই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি।’
তিনি আরো বলেন, ‘মূল্যায়ন শেষ হলে আমরা যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে এর উত্তর প্রদান করব।’
ট্রাম্প জানিয়েছেন, চিঠিটি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উদ্দেশে লেখা হয়েছিল এবং এটি গত বুধবার তেহরানে পৌঁছে দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক আনোয়ার গারগাশ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদের নীতির প্রতিফলন ঘটিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের অংশ হিসেবে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যদিও ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে চায় না।
সূত্র : এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি সামরিক ড্রোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে আগুন লেগে যায় এবং প্রায় ২০ মিনিট পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়। স্থানীয় সময় আজ সোমবার একটি বিমানঘাঁটিতে এ ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ড্রোনটি ছিল ইসরায়েলি তৈরি একটি হেরন। এটি একটি বৃহৎ মনুষ্যবিহীন বিমানবাহী যান। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। যখন সংঘর্ষ হয় তখন হেলিকপ্টারটি বিমানবন্দরে পার্ক করা ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিউলের উত্তরে ইয়াংজুতে দুর্ঘটনার সময় উত্তর কোরিয়া জিপিএস সিগন্যাল আটকানোর কোনো চেষ্টা করেনি। ইয়োনহাপ জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে একই ধরনের মনুষ্যবিহীন বিমান একই এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছিল।
সূত্র : রয়টার্স
ভারতের দিল্লির অদূরে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটি থেকে যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালিয়েছে সরকার। এই নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরকারের বিরোধ শুরু হয়েছে।
দিল্লি থেকে সামান্য দূরে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ। উত্তর প্রদেশ রাজ্যের আওতাভুক্ত হলেও এই অঞ্চল জাতীয় রাজধানী ক্ষেত্রের (এনসিআর) মধ্যে পড়ে।
হিন্ডন মূলত একটি বিমানঘাঁটি। সেখান থেকে বিমানবাহিনীর ফ্লাইট যাতায়াত করে।
দিল্লি বিমানবন্দরের দায়িত্বে আছে বাণিজ্যিক সংস্থা জিএমআর গ্রুপ।
গত এক বছরে এই বিমানবন্দর ব্যবহার করেছে প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ। তার পরও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের ক্ষতি হয়েছে ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ এই বিমানবন্দর দিয়ে আরো বেশি যাত্রী যাতায়াত করলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ লাভের রাস্তায় হাঁটতে পারবে।
এই পরিস্থিতিতে মাত্র ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে সরকার আরো একটি বিমানঘাঁটিকে বাণিজ্যিক কারণে কেন ব্যবহার করতে দিচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর ফলে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আরো বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই নিয়েই দিল্লির আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে হিন্ডন বিমানঘাঁটি থেকে বাণিজ্যিক বিমান চালানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার আবেদন জানিয়েছে তারা।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে সরকারের একটি সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, দিল্লি বিমানবন্দরে যাত্রীদের চাপ বেশি হওয়ার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
বস্তুত বাণিজ্যিক বিমানবন্দর তৈরির ক্ষেত্রে এই আইনটিও আছে। সেখানে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাপ খুব বেড়ে গেলে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে আরেকটি বিমানবন্দর তৈরি করা সম্ভব। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, দিল্লির বর্তমান বিমানবন্দরের যে পরিকাঠামো, তাতে যাত্রীর চাপ তৈরি হয়নি। এখানে আরো বেশি যাত্রী পরিষেবা দেওয়া সম্ভব এবং যাত্রী আরো বাড়লে তবেই তারা লাভের লাভের মুখ দেখবে।
ভারত ও নিউজিল্যান্ড এক দশক পর ফের মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে, যা আগে ভেঙে গিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লুক্সন পাঁচ দিনের ভারত সফরের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। দুই দেশ আগামী মাসে আলোচনার প্রথম পর্ব শুরু করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
এ ঘোষণাকে ভারত-নিউজিল্যান্ড অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লুক্সন।
লুক্সন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত এমন একটি ভূ-রাজনৈতিক সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে যোগ দিচ্ছেন, যেখানে মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ডও উপস্থিত থাকবেন। ভারত পৌঁছনোর পর লুক্সন বলেন, ‘ভারত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি।
মুক্ত বাণিজ্য আলোচনার পাশাপাশি নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, খেলাধুলা, পরিবেশসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করছে এবং নয়াদিল্লির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ককে ‘মূল অগ্রাধিকার’ হিসেবে দেখছে।
অন্যদিকে ১৬ মার্চ ফাইভ আইজের (নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির জোট) প্রতিনিধিরা ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নয়াদিল্লিতে আয়োজিত এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন, যেখানে গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের স্বার্থের জন্য নিউজিল্যান্ডের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০১০ সালে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু হলেও বাজার প্রবেশাধিকারের মতো বিভিন্ন ইস্যুতে কয়েক দফা আলোচনা শেষে তা থমকে যায়। নিউজিল্যান্ড দীর্ঘদিন ধরে ভারতের দুগ্ধপণ্য বাজারে আরো প্রবেশাধিকার চাইছে, যা ভারত সাধারণত তার কৃষকদের সুরক্ষার জন্য সংরক্ষিত রাখে। বহু বছর ধরে মুক্ত বাণিজ্যের বিষয়ে সংশয়ী অবস্থানে থাকার পর সম্প্রতি ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির আলোচনার ব্যাপারে আরো উন্মুক্ত হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য আলোচনা ফের শুরুর ঘোষণাটি এমন এক সময় এলো, যখন ভারত ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা ফের চালু করেছে। প্রায় ১৬ বছর আলোচনার পর গত বছর ভারত ইউরোপীয় ফ্রি ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (ইউরোপের চারটি দেশ, যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়) সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ ছাড়া দুই বছর আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
গত সপ্তাহে ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়াল দেশটির এক রপ্তানি সংগঠনকে সতর্ক করে বলেন, ‘তাদের সুরক্ষামূলক মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে’, কারণ ভারত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
নয়াদিল্লির জন্য এসব বাণিজ্য আলোচনা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২ এপ্রিল থেকে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ কার্যকর হতে যাচ্ছে।
সূত্র : বিবিসি