<p>বিজ্ঞানীদের একটি দল বিশ্বের প্রাচীনতম শিল্পকর্ম আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের একটি গুহায় এই শিল্পকর্মটি আবিষ্কৃত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং প্রকাশিত নতুন গবেষণা ন্যাচারের সহ-লেখক ম্যাক্সিম আউবার্ট এএফপি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘এটি গল্প বলার প্রাচীনতম একটি চিহ্ন’।</p> <p>ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপেরগুহার দেয়ালে আঁকা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি বিশাল লাল শূকরের চারপাশে তিনজন ব্যক্তি। গতকাল বুধবার প্রকাশিত গবেষণাটি অনুসারে, শিল্পকর্মটি প্রায় ৫১ হাজার ২০০ বছর আগে আঁকা হয়েছিল। দক্ষিণ সুলাওয়েসির মারোস-পাংকেপ অঞ্চলের লেয়াং কারাম্পুয়াং গুহার ভিতরে পাওয়া সর্বশেষ এই আবিষ্কারটি বেশ খারাপ অবস্থাতেই রয়েছে বলে জানা গেছে। চিত্রটিতে বন্য শূকরটি ৯২ সেমি বাই ৩৮ সেমি (৩৬ ইঞ্চি বাই ১৫ ইঞ্চি) গাঢ় লাল রঙের। গুহায় এটি ছাড়া শূকরের আরো ছবিও রয়েছে।</p> <p>নতুন গবেষণাটির আরেকজন লেখক গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ববিদ অ্যাডাম ব্রুম  বলেছেন, ‘শিল্পকর্মটি মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে কীভাবে বসবাস ও যোগাযোগ করত সেটাই সম্ভবত ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তবে সেই আসল গল্পটি কী তা আমরা জানি না।’</p> <p>ন্যাচারের সহ-লেখক ম্যাক্সিম আউবার্ট ধারণা করছেন, চিত্রগুলো সম্ভবত একদল মানুষ এঁকেছিল, যারা প্রায় ৬৫ হাজার বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় আসার আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছিল। </p> <p>এ বিষয়ে লন্ডনের ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের নৃবিজ্ঞানী ক্রিস স্ট্রিংগার বলেছেন, ইন্দোনেশিয়ার গুহায় পাওয়া গুহাচিত্রের যে বয়স বলা হয়েছে তা চমকপ্রদ। কারণ ইউরোপসহ অন্য যে সকল স্থানে এমন পুরনো শিল্পকর্ম পাওয়া গেছে, তার থেকেও পুরনো এই নতুন আবিষ্কৃত শিল্পটি। </p> <p>স্ট্রিংগার অবশ্য এই গবেষণায় অংশ নেননি কিন্তু তিনি বলেছেন, অভিজ্ঞ এই দলের আবিষ্কার ভালো লেগেছে। তবে সময় বা বয়সটি  আরো নিশ্চিত হতে হবে। তিনি বলেন, ‘আমার দৃষ্টিতে প্রতিনিধিত্বমূলক শিল্প প্রথম আফ্রিকাতে তৈরি হয়েছিল। সেটা ৫০ হাজার বছর আগে এবং পরবর্তীতে আমাদের প্রজাতির বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে এ শিল্প আরো ছড়িয়ে পড়েছিল।’</p> <p>গবেষকরা লেয়াং কারাম্পুয়াং গুহার এই চিত্রের বয়স নির্ধারণের জন্য একটি নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। ক্যালসিয়াম কার্বনেট নামক ক্রিস্টালের একটি লেজার ব্যবহার করেছেন তারা। তবে সুলাওয়েসি গুহার চিত্রকর্ম যারা তৈরি করেছিলেন তাদের সম্পর্কে খুব কমই জানা যায়।</p> <p>সূত্র : আলজাজিরা<br />  </p>