<p>ভারতে ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর কেন্দ্রে ফের সরকার গড়বে এনডিএ। নরেন্দ্র মোদিই চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হবেন। রবিবার চণ্ডীগড়ের একটি সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধনে গিয়ে এমনই দাবি করলেন দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পাশাপাশি বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিরোধী বেঞ্চে বসার জন্য প্রস্তুত হন এবং বিরোধী হিসেবে কিভাবে কাজ করতে হয় তা শেখার চেষ্টা করুন।’</p> <p>চলতি লোকসভা নির্বাচনে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। শাসকজোট এনডিএর দুই শরিক চন্দ্রবাবু নায়ডুর টিডিপি ও নীতীশ কুমারের জেডিইউর ওপর নির্ভর করে সরকার গড়তে হয়েছে বিজেপিকে। এই পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধী দলগুলো। আগের দুই দফায় প্রায় এককভাবে সরকার চালানো বিজেপির শরিক নির্ভরতা নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে রীতিমতো প্রত্যয়ের সুর শোনা গেল শাহের কণ্ঠে।</p> <p>রবিবার অমিত শাহ বলেন, ‘যারা বারবার বলে যাচ্ছেন, এই সরকার বেশি দিন টিকবে না, আমি তাদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই, এনডিএ সরকার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ করবে। পরের সরকারটাও এনডিএই গঠন করবে। ফিরবেন মোদিই।’</p> <p>একই সঙ্গে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’কে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, ‘ওরা ভুলে যাচ্ছে, গত তিনটি লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যতগুলো আসন পেয়েছে, বিজেপি এই নির্বাচনে তার থেকে বেশি আসন পেয়েছে।’</p> <p>গত কয়েক দিনে বিজেপির শরিক নির্ভরতা নিয়ে মোদি-শাহকে একাধিকবার বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাজেটে চন্দ্রবাবুর অন্ধ্র প্রদেশ ও নীতীশের বিহারের প্রতি অতিরিক্ত উদার হয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন—এই অভিযোগ তুলে একে ‘সরকার বাঁচাতে ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধী শিবির। অন্যদিকে মোদির পর দলের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই নানা মত রয়েছে। এই আবহে অমিত শাহ দাবি করলেন, চতুর্থবারের জন্য এনডিএ সরকারের প্রধানমন্ত্রীও মোদই হবেন।</p> <p>সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা</p>