<p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউ) মিসরকে ম্যালেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করেছে। দেশটির এই অর্জনকে ‘সত্যিই ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছে জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্য সংস্থা। মিসরীয় কর্তৃপক্ষ প্রায় ১০০ বছর ধরে প্রাণঘাতী মশাবাহিত এই সংক্রামক রোগ নির্মূল করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছে। </p> <p>ডাব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস বলেছেন, ‘ম্যালেরিয়া মিসরীয় সভ্যতার মতোই পুরনো, তবে যে রোগটি ফারাওদের জর্জরিত করেছিল, তা এখন ইতিহাস।’</p> <p>রবিবার একটি বিবৃতিতে ডাব্লিউএইচও প্রাচীনকাল থেকে দেশে বিদ্যমান ম্যালেরিয়া রোগের অবসান ঘটানোর চেষ্টার জন্য মিসরীয় সরকার এবং জনগণের প্রশংসা করেছে। এতে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কোর পরে মিসরই হলো ডাব্লিউএইচওর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে প্রত্যয়িত তৃতীয় দেশ। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৪৪টি দেশ এবং একটি অঞ্চল এই মাইলফলক অর্জন করেছে।</p> <p>কিন্তু ডাব্লিউএইচও বলেছে, প্রশংসাপত্রটি শুধু ‘একটি নতুন পর্যায়ের সূচনা’, মিসরকে তাদের ম্যালেরিয়ামুক্ত অবস্থা ধরে রাখার জন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ডাব্লিউএইচও সার্টিফিকেশন পাওয়ার জন্য একটি দেশকে অবশ্যই সংক্রমণের পুনঃপ্রতিষ্ঠা রোধ করার চেষ্টা করতে হবে। </p> <p>জাতিসংঘের জনস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মিসরে ম্যালেরিয়ামুক্ত প্রচেষ্টা ১৯২০-এর দশকে শুরু হয়েছিল। তখন বাড়ির কাছাকাছি ধান চাষ এবং কৃষি ফসল নিষিদ্ধ করেছিল। ম্যালেরিয়া একটি জটিল পরজীবী দ্বারা সৃষ্ট, যা মশার কামড়ে ছড়ায়। এখন কিছু জায়গায় ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে রোগ পর্যবেক্ষণ করা এবং মশার কামড় এড়ানো ম্যালেরিয়া প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায়। </p> <p>সার্টিফিকেশন মঞ্জুর তখনই করা হয় যখন একটি দেশ প্রমাণ করে যে, ট্রান্সমিশন চেইন কমপক্ষে টানা তিন বছরের জন্য ব্যাহত হয়েছে। ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ মারা যায়, তাদের প্রায় সবাই আফ্রিকার।</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>