<p>ভারত সোমবার জানিয়েছে, তারা প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে, যার মাধ্যমে অত্যন্ত বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় সামরিক টহল পরিচালনা করা হবে। ২০২০ সালে তাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পর যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, সেই সমস্যাগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে এই চুক্তি করা হয়েছে।</p> <p>এই ঘোষণা এমন সময় এলো, যখন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছেন, যেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংও উপস্থিত থাকবেন।</p> <p>বিশ্বের দুই বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ—চীন ও ভারত একে অপরের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বী। তারা নিয়মিতভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নামে পরিচিত অনানুষ্ঠানিক সীমারেখা বরাবর ভূখণ্ড দখলের চেষ্টার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে আসছে। ২০২০ সালের সীমান্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ভারতীয় এবং চার চীনা সেনা নিহত হওয়ার পর উভয় পক্ষই হাজার হাজার সেনা প্রত্যাহার করেছিল এবং ওই সংকীর্ণ বিভাজন রেখা বরাবর আর টহল না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।</p> <p>ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা বিক্রম মিসরি জানান, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত ও চীনের কূটনৈতিক ও সামরিক আলোচকরা নিয়মিত যোগাযোগে ছিলেন। এই আলোচনার ফলস্বরূপ ভারত-চীন সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বরাবর টহলব্যবস্থার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে, যা সেনা প্রত্যাহার এবং ২০২০ সালে উদ্ভূত সমস্যাগুলোর সমাধানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’</p> <p>চীনের প্রতি সব সময় ভারত সতর্ক থাকে এবং তাদের সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে বিরোধ একটি দীর্ঘস্থায়ী উত্তেজনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশের পুরো অংশ নিজেদের বলে দাবি করে এবং এটিকে তিব্বতের অংশ বলে মনে করে। ১৯৬২ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি সীমান্ত যুদ্ধও হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রেও এই দুই দেশ তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>