<p>গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তখন গণমাধ্যম সংবাদ প্রচারিত হয় শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। কিন্তু সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, এমন কোনো দালিলিক প্রমাণ আমার কাছে নেই।’ </p> <p>ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই নানা আলোচনা–সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারপতনে মূল ভূমিকায় থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা রাষ্ট্রপতির সমালোচনায় মুখর হন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাষ্ট্রপতি জানালেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি ‘মীমাংসিত’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729519694-ba6b8df6a3c939e57090a6b37f603601.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাষ্ট্রপতি জানালেন, শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি ‘মীমাংসিত’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437612" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন এবং তিনি সেটা গ্রহণ করেছেন। এখন আড়াই মাস পর বলছেন, তার কাছে শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র নেই। এমন কথা বলা স্ববিরোধিতা।’</p> <p>তিনি দাবি করেন. ‘তিনি (রাষ্ট্রপতি) মিথ্যাচার করেছেন, যা শপথ ভঙ্গের সামিল। তার বক্তব্যে অটল থাকলে তিনি পদে থাকতে পারেন কিনা তা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচিত হতে পারে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দুই ধরনের বক্তব্য" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729511731-ebb9b608351209a4fa0989afd9624516.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়ে রাষ্ট্রপতির দুই ধরনের বক্তব্য</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437578" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে এদিন সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিসয়টিকে মীমাংসিত উল্লেখ করে এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না করা এবং সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত না করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সোমবার রাতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। </p> <p>এতে বলা হয়েছে, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে : আসিফ নজরুল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729503372-4a092f9e272a6abdd594ad6428952f26.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রাষ্ট্রপতির পদে থাকার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে : আসিফ নজরুল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437540" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এই আলোচনার মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে এই সরকার চাইলেই কি রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁও হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। অর্থাৎ সরকার পারে, আবার পারে না। সহজভাবে বলতে গেলে, বর্তমান সংবিধান ও আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ করা সম্ভব না। আবার অন্যভাবে বললে, এই সরকার চাইলে রাষ্ট্রপতিকে চলে যেতে বলতে পারে। এবং সেটাই এই সরকারের একমাত্র উপায়। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি নিজেই পদত্যাগ করে চলে যেতে পারেন। পরে নতুন একজনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে।</p> <p>সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী ওই সুযোগ নাই। রাষ্ট্রপতি এখন স্বেচ্ছায় বা কারও কথায় চলে যেতে পারেন। কারও কথায় যাওয়া অসম্ভব কিছু না। ক্ষমতায় যারা আছেন, তারা বললেই চলে যাবে। সেনাবাহিনী ও সরকার চাইলে এক সেকেন্ডের ব্যাপার।’ </p>