ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিনিয়োগের পরিকল্পনা সৌদি যুবরাজের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপ, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল বিনিয়োগের পরিকল্পনা সৌদি যুবরাজের
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

আগামী চার বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যে প্রসারিত করতে চায় সৌদি আরব। সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ কথা জানিয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে।

সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার ট্রাম্প ও মোহাম্মদ বিন সালমানের মধ্যে ফোনে কথা হয়েছে। ফোনালাপে ক্রাউন প্রিন্স বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রত্যাশিত সংস্কারগুলো ‘অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’ তৈরি করতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী চার বছরে (ট্রাম্পের শাসনামল) যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ (৬০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার) করতে চায় সৌদি আরব। তবে সরকারি বা বেসরকারি খাতে ব্যয় হবে কি না বা কীভাবে ব্যবহার করা হবে, তা সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি। 

বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘ট্রাম্পকে সালমান কলেছেন, অতিরিক্ত সুযোগ তৈরি হলে বিনিয়োগ আরো বাড়তে পারে।’ 

আরো পড়ুন
হুতিদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

হুতিদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করলেন ট্রাম্প

 

এর আগে প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব গিয়েছিলেন।

সৌদি আরবে তিনি বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ প্রিন্সের সঙ্গে রিয়াদে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সে সময় সৌদি বাদশাহ তাকে সৌদি আরবের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘কলার অব আবদুল আজিজ আল সৌদ’-এ ভূষিত করেন।

২০১৯ সালে সৌদি আরবে একটি হামলা হয়। এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে সৌদি আরব।

হামলার জেরে সৌদির অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের উত্তোলন অর্ধেকে নেমে আসে। এই ঘটনায় ট্রাম্প শক্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেননি বলেন অভিযোগ তোলেন সৌদি যুবরাজ। এর জেরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্কের উষ্ণতায় ভাটা পড়ে। তবে তা সত্ত্বেও ট্রাম্পের জামাতা জেরার্ড কুশনারের ইক্যুয়িটি প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের কাছ থেকে ২০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ পায়।

দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানান সৌদি যুবরাজ।

ওভাল অফিসে (মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়) ফিরে আসার জন্য ট্রাম্পকে নিজের এবং বাদশাহ সালমানের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানান প্রিন্স মোহাম্মদ। 

তিনি বলেন, সৌদি নেতারা আমেরিকার জনগণের আরও অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। এ সময় ট্রাম্প কিং সালমান ও ক্রাউন প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানান এবং উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক চুপচাপ প্রত্যাহার করেছে চীন’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘প্রতিশোধমূলক শুল্ক চুপচাপ প্রত্যাহার করেছে চীন’
সংগৃহীত ছবি

মার্কিন তৈরি কিছু সেমিকন্ডাক্টরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ১২৫% পাল্টা শুল্ক চুপচাপ প্রত্যাহার করে নিয়েছে চীন। এমন ধারণা করেছে শেনজেনে তিনটি আমদানি সংস্থা। শুক্রবার সংস্থাগুলো সিএনএনকে এসব তথ্য জানিয়েছে।

তাদের ধারণা, বেইজিংয়ের লক্ষ্য এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব থেকে তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি খাতকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়া।

আমদানি সংস্থাগুলো জানিয়েছে, এই ছাড়গুলো মূলত ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট বা মাইক্রোচিপ নামে পরিচিত সেমিকন্ডাক্টরের ওপর প্রযোজ্য। তারা বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জানতে পারে। তবে এই শুল্ক ছাড়গুলোর বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% শুল্ক আরোপ করে।

জবাবে গত ১২ এপ্রিল চীনও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত সমস্ত পণ্যের ওপর পাল্টা ১২৫% শুল্ক আরোপ করে।

আরো পড়ুন
বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে প্রথম হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী

বাথরুমে পড়াশোনা করে ক্লাসে প্রথম হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী

 

কয়েক মাস ধরে বেইজিং নিজেদের শক্তিশালী ও আত্মনির্ভরশীল প্রমাণ করার চেষ্টা করছিল, যেন তারা এই বাণিজ্য যুদ্ধের চাপ সামলাতে পারে। কিন্তু এই শুল্ক ছাড় দেখায় যে চীনের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্য রয়েছে, যা তারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারে না বা অন্য কোথাও থেকে সংগ্রহ করতে পারছে না। তাই শুল্ক ছাড় দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।

দেশটির এক এভিয়েশন এক্সিকিউটিবের মতে, সেমিকন্ডাক্টর ছাড়াও ইঞ্জিন, ল্যান্ডিং গিয়ারসহ কিছু বিমানের যন্ত্রাংশের ওপর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন।

প্রায় প্রতিটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের একটি অপরিহার্য অংশ হলো সেমিকন্ডাক্টর। এগুলো তৈরি করা বেশ ব্যয়বহুল। এ ছাড়া প্রয়োজন পড়ে উচ্চতর প্রযুক্তিগত দক্ষতার, যার ফলে এই শিল্প মূলত কিছু নির্দিষ্ট দেশ বা কম্পানির মধ্যে সীমাবদ্ধ।

যদিও চীন নিজেদের সেমিকন্ডাক্টর খাতে অগ্রগতি করেছে, তবে তারা এখনো যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানির ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

কাস্টমস ডেটা অনুযায়ী, গত বছর চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১১.৭ বিলিয়ন ডলারের সেমিকন্ডাক্টর আমদানি করেছে।

আরো পড়ুন
প্রেমিকাকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রেমিকাকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

 

প্রযুক্তি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সংস্থার (বিডিএ) চেয়ারম্যান ডানকান ক্লার্ক বলেছেন, এই শুল্ক ছাড়ের অর্থ হচ্ছে চীনের এখনো চিপ খাতে আত্মনির্ভরতা নেই। তাদের সেই লক্ষ্য রয়েছে, তবে এটা অর্জনে এখনো অনেক সময় লাগবে।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি প্রতিযোগিতা বিষয়ক বিশ্লেষক রে ওয়াং জানান, এই শুল্ক ছাড়ে লাভবান হবে ইন্টেল, টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস এবং গ্লোবাল ফাউন্ড্রিজের মতো মার্কিন চিপ নির্মাতারা, যাদের ওপর চীনের শুল্ক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতো।

তবে শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে চীনা কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু নিশ্চিত করেনি। বেইজিং, শেনঝেন ও ঝোংশান কাস্টমস অফিস জানায়, তারা এই বিষয়ে কিছু জানে না।

শুক্রবার এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রকে এই ছাড় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এ ব্যাপারে অবগত নন বলে জানান।

আরো পড়ুন
চীনা মালিকদের থেকে যুক্তরাজ্যের শেষ ইস্পাত কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিল সরকার

চীনা মালিকদের থেকে যুক্তরাজ্যের শেষ ইস্পাত কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিল সরকার

 

আমদানি সংস্থা ঝেংনেনলিয়াং সাপ্লাই চেইনের ব্যবস্থাপক চেন শাওলিং সিএনএনকে জানান, বৃহস্পতিবার তিনি জানতে পারেন যে আট ধরনের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিটের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে, যার মধ্যে মেমোরি চিপ ছাড়া বেশিরভাগ সেমিকন্ডাক্টর অন্তর্ভুক্ত। এটি তিনি রুটিন কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের সময় আবিষ্কার করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘোষণাপত্র দাখিল করার পরেই জানতে পেরেছিলাম, তা না করলে আমরা জানতে পারতাম না। এখন এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।’

চীনা ব্যবসায়িক ম্যাগাজিন ‘কাইজিং’ শুক্রবার এই শুল্ক ছাড় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে একাধিক প্রযুক্তি কম্পানির উদ্ধৃতি দেওয়া হয়, যার মধ্যে একটি সাংহাইভিত্তিক। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশের তিন ঘণ্টার মধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়।

আরো পড়ুন
চীনের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে জাপানের নতুন ‘রেলগান’

চীনের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে জাপানের নতুন ‘রেলগান’

 
মন্তব্য

রোলেক্স ঘড়ির জন্য জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রোলেক্স ঘড়ির জন্য জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার ব্যবসায়ী
সংগৃহীত ছবি

রোলেক্স ঘড়ির জন্য দুবাইয়ের টেক্সটাইল কিং নামে পরিচিত ব্যবসায়ী বাসু শ্রফ ভারতের জয়পুর বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন। ৮৫ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী বলেন, বিমানবন্দরে আমার সঙ্গে একজন অপরাধী এবং চোরাকারবারীর মতো আচরণ করা হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জয়পুর বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ী বাসু শ্রফ বলেন, দুই দিনের সফরে আমি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মাসহ কয়েকজন ভিআইপির সঙ্গে দেখা করতে এবং একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জয়পুর যাই।

কিন্তু, বিমান থেকে নামার মুহূর্ত থেকেই সফরটি হতাশাজনক হয়ে ওঠে।

হুইলচেয়ারে চলাফেরা করা এই ব্যবসায়ী বলেন, বিমান থেকে নামার পর একজন সাহায্যকারী যখন আমার ব্যাগেজসহ হুইলচেয়ারটি ঠেলে নিচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ একজন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে পাসপোর্ট দেখাতে বলেন।

তিনি বলেন, তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না কেন সে আমার পাসপোর্ট চাইছে। এ সময় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আমার রোলেক্স ঘড়ির দিকে আঙুল দেখিয়ে বলেন এটি ঘোষণা না করে বহন করতে পারবেন না।

এ কথা শুনে আমি তো অবাক।

এ সময় আমি ডিক্লারেশন কাউন্টার খুঁজতে চারপাশে তাকালাম। কিন্তু আমি অবাক হলাম, বিমানবন্দরে কোনো সঠিক ডিক্লারেশন পয়েন্ট ছিল না, তিনি বলেন। তখন ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আমাকে ৫x৩ ফুটের একটি ছোট ডেস্কের দিকে নির্দেশ করলেন এবং বললেন এখানেই জিনিসপত্র ঘোষণা করা হয়।

এরপর যা ঘটেছে তা আরো হতাশাজনক।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যবসা ও সমাজসেবায় অবদানের জন্য ভারতের রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণ ভারতীয় প্রবাসী বাসু শ্রফকে হুইলচেয়ারে বিমানবন্দরে পাঁচ ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করানো হয়।

ব্যবসায়ী বাসু শ্রফ বলেন, জয়পুর বিমানবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে একটি মন্দিরে মধ্যরাতের আগে আমাকে পৌঁছাতে হবে। তাই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাকে দ্রুত কাগজপত্র প্রস্তুত করতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে বাধ্য করেন।

তিনি বলেন, শুধু অপেক্ষাতেই কষ্ট দেয়নি, তাদের আচরণও আমাকে কষ্ট দিয়েছে। তারা আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে যেন আমি একজন অপরাধী। 

তিনি আরও বলেন, দুবাইতে আমার সঙ্গে সবসময় সম্মানের সহিত আচরণ করা হয়েছে। কিন্তু এখানে, আমার নিজের দেশে, এমন আচরণ করা হয়েছে মনে হচ্ছিল আমি কিছু ভুল করেছি।

ব্যবসায়ী বাসু শ্রফ দুবাইয়ের ইন্ডিয়া ক্লাব এবং ইন্ডিয়ান হাই স্কুলের চেয়ারম্যানও।

বাসু শ্রফের আইনজীবী ধর্মেন্দ্র সিং বলেন, ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা বাসু শ্রফের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা কেবল অন্যায্যই নয়, অসম্মানজনক ছিল।

আইনজীবী ধর্মেন্দ্র সিং বলেন, ১৪ এপ্রিল ব্যবসায়ী শ্রফ যখন দুবাই ফিরে আসছিলেন তখন তার সহকারী ঘড়িটি সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ১০ হাজার রুপি দাবি করেন, যা অযৌক্তিক। অথচ লকার ফি বাবদ বৈধ চার্জ মাত্র ৩০ রুপি।

সিং বলেন, শ্রফের পরা রোলেক্স ঘড়িটির মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ রুপি। ভারতীয় শুল্ক আইন অনুসারে, যথাযথ ঘোষণা ছাড়া দেশে আনা বিলাসবহুল জিনিসপত্রের ওপর প্রায় ৩৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা যেতে পারে, যা এই ক্ষেত্রে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন রুপি হবে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পরিবর্তে, বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা নগদ মাত্র ১০ হাজার রুপি দাবি করেন, যার কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

আইনজীবী ধর্মেন্দ্র সিংকে পাওয়ার অ্যাটর্নি দিয়ে ১৪ এপ্রিল ব্যবসায়ী বাসু শ্রফ রোলেক্স ঘড়ি ছাড়াই দুবাই ফিরে যান। আইনি লড়াই শেষে ১৯ এপ্রিল ঘড়িটি উদ্ধার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে যান তিনি, সিং বলেন।

মন্তব্য

প্রেমিকাকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রেমিকাকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবককে পিটিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

প্রেমিকাকে ইভটিজিং করায় প্রতিবাদ করেন যুবক। এর জেরে বেধড়ক পেটানো হয় তাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে একদিন পর মারা যান তিনি। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে কলকাতার নিউটাউনের গৌরাঙ্গনগর এলাকায়।

পুলিশ জানায়, নিহত ওই যুবকের নাম সংকেত চট্টোপাধ্যায় (২৯)। পেশায় তিনি এসি টেকনিশিয়ান ছিলেন। গৌরাঙ্গনগর এলাকার একটি ফ্ল্যাটে প্রেমিকার সঙ্গেই লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন। 

গত বুধবার মধ্য রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।

সে কারণে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান ওই তরুণী। তখন রাস্তায় স্থানীয় তিনজন মদ্যপ যুবক তাকে হেনস্তা করেন। সেটা দেখে প্রতিবাদ করেন সংকেত। তখনই ওই যুবকদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তার।
এ সময় তাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়। তরুণীর চিৎকারে আশপাশের মানুষও এগিয়ে আসেনি।

হতাশ হয়ে তিনি বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনকে ফোন করলে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সংকেতকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে সংকেতের পরিবারের দাবি, দেড় বছর ধরে সংকেত তার বান্ধবীর সঙ্গে গৌরাঙ্গনগরের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। বুধবার মাঝরাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেটাই অশান্তির পর্যায়ে পৌঁছালে মাঝরাতে ওই তরুণী ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় যান। তখন কয়েকজন যুবক ওই তাকে কুরুচিকর মন্তব্য করে বলে অভিযোগ। এমনকি তার শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ। আর সেটার প্রতিবাদ করতেই সংকেতকে প্রথমে ঘিরে ধরে পেটাতে শুরু করে। তারপর বাঁশ দিয়ে পেটানো শুরু হয়।

সংকেতের মৃত্যুর ঘটনায় সংকেতের বোন মহিমা বলেন, ‘‌মেয়েটিই আমার দাদাকে ফোন করে ডাকে। আমার দাদা আসে এবং তারপর ওকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই ছেলেগুলোর সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। তাকে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয়েছে। মেয়েটি তাদের কাছে অনুরোধ করলেও তারা শুনেননি।’

তিনি ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন, ‘তাদের শীঘ্রই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, উভয় পরিবারই এই বিয়েতে সম্মত হয়েছে।’

হাসপাতাল সূত্রে খবর, অতিরিক্ত রক্তপাতের জেরেই সংকেতের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ মামলা নিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিন দুপুরে একটি গোপন  আস্তানা থেকে শম্ভু মণ্ডল, সাগর দাস ও রাসু ঘোষ নামের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় নিউটাউন এলাকায় রীতিমতো হইচই শুরু হয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া

মন্তব্য

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা কতটুকু? (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা কতটুকু? (ভিডিওসহ)
ছবি : আনন্দবাজার

পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতা চলমান। বহির্বিশ্বের কাছে ‘চিরশক্র’র তকমাও পেয়েছে তারা। সীমান্তে নিয়মিত সংঘাত ও একাধিকবার বড় ধরনের যুদ্ধেও জড়িয়েছে দেশ দুটি। কাশ্মীর ইস্যু এই সংঘাতের প্রধান কারণ।

সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন এলাকায় নিরপরাধ মানুষের ওপর ঘটা এক সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে আবারও মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসছে এমন নানা খবর।  

সন্ত্রাসী হামলার ওই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। অন্যদিকে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করছে।

এ নিয়ে দেশ দুটি পরস্পরের বিরুদ্ধে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। নয়াদিল্লি পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল, সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত ও সীমান্ত বন্ধের পদক্ষেপ নিয়েছে। পাল্টা পদক্ষেপে ভারতের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ। এতে ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়া যাত্রীদের দেয়া এক সতর্কবার্তায় জানায়, আমেরিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু ফ্লাইট বিকল্প দীর্ঘ পথ ধরে যেতে হবে।

বিস্তারিত ভিডিও প্রতিবেদনে...

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ