ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

সৌদি আরবের ফাঁকা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করুক: নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সৌদি আরবের ফাঁকা ভূখণ্ডে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করুক: নেতানিয়াহু
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (বাঁয়ে) এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের কাছে ফিলিস্তিনিদের একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চ্যানেল ১৪-এর এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের শর্ত মানতে তিনি রাজি কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নেতানিয়াহু জবাব দেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে, তিনি এমন কোনো চুক্তি করবেন না যা।’

তিনি ওই সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সৌদিরা সৌদি আরবে একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করতে পারে।

সেখানে তাদের প্রচুর জমি আছে।’ 

তিনি বলেন, ‘৭ অক্টোবরের হামলার পর, ‘বিশেষ করে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চুক্তি কোনোভাবেই নয়। এর অর্থ জানেন? একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল, যার নাম গাজা। হামাসের নেতৃত্বে থাকা গাজাই ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং দেখুন আমরা কী পেলাম—হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।

এই সাক্ষাৎকারটি নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের সময় নেওয়া হয়েছিল। সফরের শুরুতেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। সেখানে ট্রাম্প গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। এ ছাড়াও উভয়েই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি সম্ভব, আমার মনে এটি দ্রুত ঘটবে।’ তবে, সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরেই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা করবে না।’

এ সপ্তাহের শুরুর দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জেরুজালেম পোস্টকে জানান, তারা আশঙ্কা করছেন নেতানিয়াহু সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিনিময়ে গাজার যুদ্ধের অবসান ও পশ্চিম তীর অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

সূত্র: জেরুসালেম পোস্ট।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ পদক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পানি চুক্তি স্থগিতসহ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের পাঁচ পদক্ষেপ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। পরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি সিদ্ধান্তগুলো সাংবাদিকদের জানান।

বিক্রম মিশ্রি জানান, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তি আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে।

এ ব্যবস্থা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে যে পরিমাণ পানি পাকিস্তানের পাওয়ার কথা, চুক্তি স্থগিত করায় আপাতত তা ব্যাহত হবে। অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী পানি পাকিস্তান পাবে না।

১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এই আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

চুক্তিতে সই করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান। এ চুক্তির আওতায় সিন্ধু, চন্দ্রভাগা, শতদ্রু, ঝিলাম, ইরাবতী ও বিপাশা নদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহিত হয়। এই গ্রীষ্মকালে চুক্তিটি স্থগিত করার অর্থ চুক্তি অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পাকিস্তান পাবে না।

নয়াদিল্লির দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হলো আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া।

বুধবার থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থলসীমান্ত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ওই সীমান্ত দিয়ে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাদের সবাইকে ১ মের মধ্যে ফিরে যেতে হবে।

তৃতীয় সিদ্ধান্ত হলো দিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনে নিযুক্ত সব সামরিক উপদেষ্টাকে বহিষ্কার। তাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইসলামাবাদে ভারতের হাই কমিশনে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের ফিরিয়ে আনছে নয়াদিল্লি।

চতুর্থ সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, দুই দেশের হাইকমিশনগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তাদের সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ করা হবে।

পঞ্চম সিদ্ধান্ত হলো সীমান্তচৌকি বন্ধ ও দূতাবাসে কর্মীর সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি পাকিস্তানিদের ভারতে আসাও সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে সব পাকিস্তানির জন্য সার্ক ভিসা বাতিল করার কথা জানানো হয়েছে। এই ভিসায় যাঁরা ভারতে রয়েছেন, তাঁদের ফেরত যাওয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তাবিষয়ক কমিটির বৈঠকে পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনার দায় পুরোপুরি পাকিস্তানের ওপর চাপানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে পেহেলগাম শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে বৈসরণ উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর ওই হামলা হয়। পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় এ উপত্যকাকে ‘ভারতের সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ভারত বলছে, গতকালের এ ঘটনা ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিতে সম্ভাব্য সবকিছু করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার।

মন্তব্য

পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পানি চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী

ভারতশাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনার পর পাকিস্তানে সঙ্গে সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিত এবং পাঞ্জাবের আটারি চেকপোস্ট অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এছাড়া সার্ক ভিসায় আসা পাকিস্তানিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়ার নির্দেশ

বুধবার (২৩ এপ্রিল) এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এই সিদ্ধান্তগুলো জানান।

আরো পড়ুন
‘১৫ বছরে গোল দিতে পারেন নাই, এখন আর চেষ্টা করবেন না’

‘১৫ বছরে গোল দিতে পারেন নাই, এখন আর চেষ্টা করবেন না’

 

এছাড়াও সার্ক দেশগুলোর জন্য বিশেষ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানের নাগরিকরা ভারতে ভ্রমণ করতে পারবেন না- সেই তথ্যও জানানো হয়েছে। যারা ওই ভিসায় ইতিমধ্যেই ভারতে রয়েছেন, তাদেরও ওই ভিসা বাতিল করা হচ্ছে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।

দিল্লিতে পাকিস্তানি দূতাবাসে সেদেশের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর যে ‘পরামর্শদাতারা’ রয়েছেন, তাদের ‘পার্সোনা নন গ্রাটা’, অর্থাৎ অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করেছে ভারত। তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারত ছাড়তে হবে।

আরো পড়ুন
১৫ মাসে বন্ধ ১১৩ পোশাক কারখানা

১৫ মাসে বন্ধ ১১৩ পোশাক কারখানা

 

ভারতও ইসলামাবাদে তাদের দূতাবাস থেকে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীর পরামর্শদাতাদের ফিরিয়ে আনবে। দুই দেশের দূতাবাসেরই সামরিক পরামর্শদাতাদের পাঁচজন করে কর্মীকেও নিজের দেশে চলে যেতে হবে।

ভারতের নিরাপত্তা বিষয়ক সর্বোচ্চ কমিটি - ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিওরিটি বা সিসিএস বুধবার বৈঠকে বসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে হওয়া ওই বৈঠকেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

ইস্তাম্বুলে ৫১টি আফটারশক অনুভূত, আহত ১৫১

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
ইস্তাম্বুলে ৫১টি আফটারশক অনুভূত, আহত ১৫১
২৩ এপ্রিল ভূমিকম্পের পর ইস্তাম্বুলে একটি পার্কে অপেক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি : এএফপি

ইস্তাম্বুলের কাছাকাছি মারমারা সাগরে বুধবার ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। মূল ভূমিকম্পের পর ৫১টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি খুবই শক্তিশালী। এতে আতঙ্কিত হয়ে তুরস্কের বৃহত্তম শহরের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় ভবন থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত ১৫১ জন চিকিৎসা নিচ্ছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে জানান, ইস্তাম্বুলের সিলিভরিতে মারমারা সাগরে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটি আশপাশের প্রদেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিটে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৬.৯২ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে, ১৩ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল।

তিনি আরো জানান, বিকেল ৩টা ১২ মিনিট পর্যন্ত ৫১টি আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ছিল ৫.৯ মাত্রার।

ভবনগুলো কাঁপতে শুরু করলে লোকজন হুড়মুড় করে রাস্তায় নেমে আসে। অনেকেই চিন্তিত মুখে মোবাইল ফোনে খবর খুঁজছিল বা ফোন করছিল। একজন অন্দরসজ্জাশিল্পী বলেন, ‘আমি ভূমিকম্প টের পেয়েছি, আমাকে এখান থেকে বেরোতে হবে।’

আরো পড়ুন
ইস্তাম্বুলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প

ইস্তাম্বুলে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প

 

ইস্তাম্বুলের গভর্নর দাভুত গুল বলেন, ভূমিকম্প বা আফটারশকে কেউ মারা যায়নি।

তবে আতঙ্কে অনেকেই লাফিয়ে ভবন থেকে নামতে গিয়ে আহত হয়েছে। হাসপাতালগুলোতে মোট ১৫১ জন চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে এসব আঘাত গুরুতর নয়।

গভর্নরের কার্যালয় জানায়, শহরের কোনো আবাসিক ভবনে ধস দেখা যায়নি। তবে ফাতিহ জেলায় একটি পরিত্যক্ত ভবন ধসে পড়েছে।

এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এ ছাড়া ১৬ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যার শহরটিতে অন্য কোনো ভবন ধসের খবর পাওয়া যায়নি বলে সরকারি টিভি টিআরটিকে জানান ইয়ারলিকায়া।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক উপদ্বীপের পশ্চিমে বেইলিকদুজু জেলায় একটি মসজিদের মিনার কাঁপছে।

তুরস্কের জাতীয় সার্বভৌমত্ব দিবস উপলক্ষে এদিন বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সপ্তাহজুড়ে এই বন্ধ চলবে।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছেন, তিনি ‘পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছেন’।

তুরস্কের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক রাজধানী ইস্তাম্বুলে ২০ মিলিয়নের কাছাকাছি মানুষ বসবাস করে। ১৯৯৯ সালের ‘বড় ভূমিকম্পের’ স্মৃতি এখনো অনেকের মনে জাগ্রত। ওই বছর পূর্ব আনাতোলিয়ান ফল্টলাইনে দুইবার ধস নামায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

ভূকম্পবিদরা হিসাব করে দেখেছেন, আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ইস্তাম্বুলে ৭.৩ মাত্রার চেয়ে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা ৪৭ শতাংশ। সর্বশেষ ভূমিকম্প নভেম্বর মাসে অনুভূত হয়, তবে তা শুধু আতঙ্ক তৈরি করেছিল; ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

মন্তব্য

মধ্য ভূমধ্যসাগর থেকে ২ শতাধিক অভিবাসী উদ্ধার

ইনফোমাইগ্রেন্টস
ইনফোমাইগ্রেন্টস
শেয়ার
মধ্য ভূমধ্যসাগর থেকে ২ শতাধিক অভিবাসী উদ্ধার
ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীদের একটি নৌকা আটকে দিচ্ছে লিবীয় কর্তৃপক্ষ। ফাইল ছবি : সি-আই

মধ্য ভূমধ্যসাগরে ঝুঁকিতে থাকা তিনটি নৌকা থেকে দুই শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দুটি মানবিক সংস্থা। এ ছাড়া লিবিয়ার উপকূল থেকে যাত্রা করা আরো ৭২ জন অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমধ্যসাগরে সক্রিয় জার্মান এনজিও সি-আই ও সি-ওয়াচ জানিয়েছে, গত শনি ও রবিবার তারা তিনটি পৃথক উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করে।

সি-ওয়াচ পরিচালিত আস্ট্রাল নামের একটি ছোট নৌকা শনিবার দুটি নৌকায় থাকা প্রায় ১৪০ জন অভিবাসীকে খুঁজে পেয়েছে।

কিন্তু সে নৌকায় ধারণক্ষমতা না থাকায় অভিবাসীদের উদ্ধার না করে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি অস্ট্রালের কর্মকর্তারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায়।

পরের দিন রাতে সি-আই-৫ উদ্ধার জাহাজ দ্বিতল কাঠের একটি নৌকা থেকে ৭৬ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। সাগরে ঢেউ ও অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযানটি ছিল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

উদ্ধার হওয়া অনেকেই পানিশূন্যতা, হাইপোথার্মিয়া, বমি ও চরম ক্লান্তিতে ভূগছিল। কয়েকজনকে সি-আই-৫-এর মেডিক্যাল ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতে হয়। পরে তাদের অবস্থার উন্নতি হয় বলে জানিয়েছে এনজিওটি।

ইতালি কর্তৃপক্ষ জাহজটিকে দক্ষিণ ইতালির রেজ্জো দ্য কালাব্রিয়া বন্দরে অবতরণের নির্দেশ দিলেও আবহাওয়ার কারণে জাহাজটি লাম্পেদুসা দ্বীপে অভিবাসীদের নামাতে বাধ্য হয়।

অন্যদিকে সোমবার ইতালির রাভেন্না বন্দরে পৌঁছয় লাইফ সাপোর্ট নামের আরেকটি উদ্ধার জাহাজ। যেটি লিবিয়ার উপকূল থেকে পাঁচ দিন আগে ৮২ জনকে উদ্ধার করেছিল, যাদের মধ্যে ১১ জন নারী।

নৌকাটি দীর্ঘ ১৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে ছিল এবং অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকার রাবার টিউবগুলো অর্ধেক ডুবে গিয়েছিল।  

এ ছাড় ১২ এপ্রিল লিবিয়ার সাবরাথা এলাকা থেকে রওনা হওয়া ৭২ জন অভিবাসী এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ইতালীয় সাংবাদিক সার্জিও স্কানডুরা জানিয়েছেন, এই যাত্রাপথে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছিল।

ফলে অনেকেই নৌকাটি সাগরে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, চলতি বছর এখন পর্যন্ত মধ্য ভূমধ্যসাগরে তিন শতাধিক অভিবাসী প্রাণ হারিয়েছে।

২০১৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত এই রুটে প্রাণ হারিয়েছে ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। তাদের মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন হাজার ছিল শিশু, যা গড়ে প্রতিদিন একটি শিশুর মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়।

এনজিওগুলো বারবার সতর্ক করছে, মধ্য ভূমধ্যসাগরের এই রুটটি বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী অভিবাসনপথ। শুধু কিছু মানবিক জাহাজ এই বিশাল সাগরের খুব অল্প অংশেই টহল দেয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ