লরিতে কাস্টমসের তল্লাশি, মিলল ডাইনোসরের দাঁত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লরিতে কাস্টমসের তল্লাশি, মিলল ডাইনোসরের দাঁত
জব্দ করা তিনটি দাঁত। ছবি : ফরাসি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ

ফরাসি কাস্টমস কর্মকর্তারা সম্প্রতি নিয়মিত তল্লাশির সময় ইতালির সীমান্তের কাছে ডাইনোসরের ৯টি দাঁত উদ্ধার করেছেন।  

কর্মকর্তারা জানান, ২৮ জানুয়ারি এ৮ মহাসড়কে একটি স্প্যানিশ ট্রাক তল্লাশির সময় এসব দাঁত পাওয়া যায়। তারা দুটি পার্সেলে থাকা সম্ভাব্য জীবাশ্মগুলো দেখতে পান এবং তা পরীক্ষার জন্য কাছের মেন্তোঁ শহরের একটি প্রাগৈতিহাসিক জাদুঘরে পাঠান।  

এরপর একজন বিশেষজ্ঞ গত শুক্রবার জানান, দাঁতগুলো মরক্কোতে ৭২ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে ক্রিটেশিয়াস যুগের শেষ ভাগে বসবাসকারী সরীসৃপগুলোর ছিল।

স্পেন ও ইতালির মধ্যে চলাচলকারী ট্রাকগুলোকে নিয়মিতভাবে এ৮ মহাসড়কে থামিয়ে তল্লাশি করা হয়। কাস্টমস কর্মকর্তা সামান্থা ভেরদুরোঁ এএফপিকে জানান, এ ধরনের পার্সেল খুলে দেখা হয়। কারণ এর ভেতরে কখনো কখনো নিষিদ্ধ মাদক থাকতে পারে। তবে সর্বশেষ এই সন্ধান ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত।

সূত্র : বিবিসি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সব দায়ভার নিলেন দুতার্তে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ সব দায়ভার নিলেন দুতার্তে
সংগৃহীত ছবি

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে তার সরকারের সময় তথাকথিত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’-এর সব দায় স্বীকার করবেন বলে জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) হেফাজতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর বিমানে ধারণ করা এক ভিডিওবার্তায় তিনি এ কথা জানান। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

তিনি বলেন, অতীতে যা-ই ঘটুক না কেন, আমি আমাদের আইন প্রয়োগকারী এবং সামরিক বাহিনীর সামনে থাকব।

আমি আগেই বলেছি যে, আমি তোমাদের রক্ষা করব এবং সব কিছুর জন্য আমি দায়ী থাকব।

মঙ্গলবার নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তারের পর ফিলিপাইনের জনসাধারণের জন্য এটিই ছিল তার প্রথম বক্তব্য। এই ভিডিওবার্তাটি তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মুখোমুখি করার জন্য নেদারল্যান্ডসে নিয়ে আসা বিমানের মধ্যেই ধারণ করা হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

দুতার্তের ভিডিওবার্তাটি ইতিমধ্যে কোটিবারেরও বেশি দেখা হয়ে গেছে।

ভিডিওতে শুধু দুতার্তকেই কথা বলতে দেখা যায়। তার পরনে ছিল সাদা রঙের একটি জামা।

ভিডিওবার্তায় দুতার্তে তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমি ঠিক আছি, চিন্তা করবেন না। এটা একটা দীর্ঘ আইনিপ্রক্রিয়া হবে।

তবে আমি আপনাদের বলছি, আমি আমার দেশের জন্য কাজ করে যাব এবং যদি এটাই আমার নিয়তি হয়, তবে তা-ই হোক।’

মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) পরোয়ানার আওতায় গত মঙ্গলবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন তাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত আইসিসির উদ্দেশে পাঠানো হয়। ৭৯ বছর বয়সী দুতার্তে এখন এই আদালতে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন।

দুতার্তে কয়েক দফায় ফিলিপাইনের দাভাওয়ের সিটি মেয়র ছিলেন।

পরে তিনি ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট হন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। দুতার্তে মেয়র ও প্রেসিডেন্ট থাকাকালে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামেন। কথিত এই মাদকবিরোধী যুদ্ধের নামে বহু মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুন
নিজ দেশের নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

নিজ দেশের নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

 

প্রেসিডেন্ট থাকাকালে দুতার্তের মাদকবিরোধী অভিযানে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে তদন্ত করে আইসিসি। এই তদন্তের আলোতে আইসিসি দুতার্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। হংকং থেকে সংক্ষিপ্ত সফর শেষ করে মঙ্গলবার ম্যানিলা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরই গ্রেপ্তার হন দুতার্তে।

মন্তব্য

রাশিয়া যাচ্ছে মার্কিন প্রতিনিধিদল, ইউক্রেনে তীব্র লড়াই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাশিয়া যাচ্ছে মার্কিন প্রতিনিধিদল, ইউক্রেনে তীব্র লড়াই
ছবিসূত্র: এএফপি

ইউক্রেন রাজি হওয়ার পর যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে এবার রাশিয়া যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দল। বুধবার এ খবর জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে যুক্তরাষ্ট্র যে প্রতিনিধি দলটি পাঠাচ্ছে সেখানে ঠিক কারা কারা আছেন, তা স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প।

তবে হোয়াইট হাউসের এক সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে হোয়াইট হাউসের ঘনিষ্ট একটি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছিল, জেদ্দায় আলোচনা শেষে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব নিয়ে মস্কো যেতে পারেন। বুধবার হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়েও প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এদিকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি বিশদভাবে পর্যালোচনা করে দেখছেন। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হবে কি না, বিষয়টি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানান রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

এদিকে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি বিষয়ে আলোচনা চলমান থাকার মধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ আবারও তীব্র আকার ধারণ করেছে। রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো জেলেনস্কির জন্মস্থান ক্রিভি রিহ ছাড়াও বন্দর শহর ওডেসা, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক এবং খারকিভের একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলেও সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।

আরো পড়ুন
পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গেল বাস, নিহত ১৩

পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গেল বাস, নিহত ১৩

 

 

রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রে পেসকভ বলেছেন, রুশ সেনারা ‘সফলভাবে অগ্রসর হচ্ছে।

’ যেসব এলাকায় ইউক্রেনের সেনারা আগে দখলে নিয়েছিল, সেগুলো পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।

ক্রেমলিন জানিয়েছে, বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্ক অঞ্চলের একটি কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেছেন। ওই অঞ্চলে পুতিনের এটাই প্রথম সফর। রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সফরকাল রুশ প্রেসিডেন্ট ওই অঞ্চলটিকে ‘সম্পূর্ণরূপে মুক্ত’ করার জন্য সেনাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

আরো পড়ুন
গ্রিনল্যান্ডে মধ্য-ডানপন্থী বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের আশ্চর্যজনক জয়

গ্রিনল্যান্ডে মধ্য-ডানপন্থী বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের আশ্চর্যজনক জয়

 

এ ছাড়া মঙ্গলবার ইউক্রেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আলোচনায় যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে যে প্রস্তাব উঠে এসেছে, সেটা নিয়ে পুতিন এখনও কোনো মন্তব্য করেননি।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রধান ওলেকজান্ডার সিরস্কি বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাদের কিছু সেনা কুরস্ক থেকে সরে যাচ্ছে।

টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে একটি পোস্টে তিনি বলেছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতেও আমাদের অগ্রাধিকার ছিল ইউক্রেনের সেনাদের জীবন বাঁচানো।’ এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া ব্যাপারে আশাবাদী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ইউক্রেনকে রাজি করানোর জন্য রীতিমত চাপ প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সূত্র: বিবিসি

মন্তব্য

নিজ দেশের নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নিজ দেশের নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণে সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্র
ইসলামাবাদ বিমানবন্দর

পাকিস্তান সফরের ক্ষেত্রে নিজ নাগরিকদের ওপর সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলা ও সশস্ত্র সংঘাতের ঝুঁকির কারণেই এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গত শনিবার (৮ মার্চ) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলার অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো কর্তৃক জারি করা লেভেল-৩ ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসীরা সামান্য বা কোনো সতর্কতা ছাড়াই পরিবহনকেন্দ্র, বাজার, শপিং মল, সামরিক স্থাপনা, বিমানবন্দর, বিশ্ববিদ্যালয়, পর্যটনকেন্দ্র, স্কুল, হাসপাতাল, উপাসনালয় ও সরকারি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা করতে পারে।

তাই এসব ক্ষেত্রে নিজেদের থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলার পরিমাণ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে হামলা হচ্ছে। এ ছাড়া বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদসূচক ২০২৫-এ পাকিস্তানের অবস্থান দ্বিতীয়তে উঠে এসেছে।

 

আরো পড়ুন
বিবাহবিচ্ছেদে কঠোর নীতি চীন সরকারের

বিবাহবিচ্ছেদে কঠোর নীতি চীন সরকারের

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা সম্পৃক্ত নিহতের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। ২০২৩ সালে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতের সংখ্যা ছিল ৭৪৮ জন এবং ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮১ জনে। 

মন্তব্য

বিবাহবিচ্ছেদে কঠোর নীতি চীন সরকারের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিবাহবিচ্ছেদে কঠোর নীতি চীন সরকারের

চীন সরকার বিবাহবিচ্ছেদে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। বিবাহবিচ্ছেদ যাতে না ঘটে সেজন্য নানা পন্থা অবলম্বন করছে সে দেশের সরকার। চীনে নারীদের বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অনুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ দেশে এক সময় বিবাহবিচ্ছেদকে নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচনা করা হলেও, এ দেশের নারীরা এটিকে সরকারের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত বলে দাবি করছে।

 

মেকং নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি নির্দেশে, পুলিশ এই ধরনের মামলায় হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকছে এবং এগুলোকে ‘পারিবারিক বিরোধ’ বলে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। এছাড়া আদালতগুলোও প্রায়শই দম্পতিদের বিবাহবিচ্ছেদ মঞ্জুর করার পরিবর্তে পুনর্মিলন করতে উৎসাহিত করছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, চীন সরকারের নীতির কারণে সে দেশের আদালতে সফল বিবাহবিচ্ছেদের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, বিবাহবিচ্ছেদের মামলার মাত্র ৩৫ শতাংশ ক্ষেত্রে প্রকৃত বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে, যেখানে দুই দশক আগে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ।

 

বিবাহবিচ্ছেদের বিপরীতে সরকারি হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। বিচারকরা প্রায়শই নারীদের তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যেতে উৎসাহ দেন। তবে এই সিদ্ধান্তে কিছু নারীদেরকে নির্যাতন বা অসন্তোষ সত্ত্বেও তাদের বৈবাহিক জীবন চালিয়ে যেতে হচ্ছে। 

বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষেত্রে চীন সরকার আরেকটি নিয়ম চালু করেছে যা বিবাহবিচ্ছেদকারী দম্পতিদের জন্য ‘কুলিং অব পিরিয়ড’ নামে পরিচিত।

এই নিয়মের অধীনে, বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া দম্পতিদের তাদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করার জন্য ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে দম্পতিদের মধ্যে যদি মীমাংসা হয়ে যায় তাহলে আর বিচ্ছেদ পর্যন্ত বিষয়টি গড়াবে না। যদিও এই নীতিটি নারী অধিকার সমর্থকদের বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে। তাদের যুক্তি, এই সময়কাল নির্যাতনমূলক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের অসামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবেশে থাকতে হবে। 

নারী অধিকার কর্মীরা সরকারের নীতি এবং বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়া নারীদের চাহিদার মধ্যে স্পষ্ট দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করেছেন।

২০১৬ সালে গৃহকর্মী সহিংসতা আইন প্রণয়ন করা সত্ত্বেও ‘পারিবারিক বিরোধ’-এ হস্তক্ষেপে পুলিশের অনীহা অব্যাহত রয়েছে। এই আইন পুলিশকে সহিংস স্বামী/স্ত্রীকে সতর্কীকরণ জারি করতে এবং সহিংসতা অব্যাহত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুমতি দেয়। তবে নারী অধিকারকর্মীদের দাবি, এই ব্যবস্থাগুলো নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে খুব কমই কাজ করছে।

আরো পড়ুন
মাগুরার সেই শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

মাগুরার সেই শিশুটির মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক

 

তাদের দাবি, বিচারকরা প্রায়শই নারীদের পারিবারিক সহিংসতার দাবি খারিজ করে দেন এবং তাদের প্রমাণ উপেক্ষা করেন। এ কারণে নারীরা বিবাহবিচ্ছেদের আইনি অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ