রুশ ড্রোন হামলায় কিয়েভে নিহত ৩, কাল সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা

  • চাপ বাড়ানোর আহ্বান জেলেনস্কির
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রুশ ড্রোন হামলায় কিয়েভে নিহত ৩, কাল সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা
২৩ মার্চ কিয়েভে ড্রোন হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক ভবনের কাছে একটি অ্যাম্বুল্যান্স দেখা যাচ্ছে। ছবি : এএফপি

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গত রাতে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত তিনজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। কিয়েভের সামরিক প্রশাসন রবিবার টেলিগ্রামে এ তথ্য জানিয়েছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, শান্তি আলোচনা শুরুর আগে মস্কোর ওপর আরো চাপ প্রয়োগ করতে, যেন তারা ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করে।

কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিচকো জানান, শহরের বিভিন্ন জেলায় আগুন ও ধ্বংসযজ্ঞের পর জরুরি পরিষেবা সংস্থার কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এর আগে বিমানবাহিনী জানায়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু করে রাশিয়া গত রাতে ১৪৭টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। এগুলোর মধ্যে ৯৭টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ২৫টি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।

জেলেনস্কি এক্সে লেখেন, ‘এই হামলা ও যুদ্ধ বন্ধ করতে নতুন সিদ্ধান্ত ও মস্কোর ওপর নতুন চাপ প্রয়োজন।

আমাদের ইউক্রেন ও সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করতে হবে—বেশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বাস্তব সহায়তার মাধ্যমে। আমি সেসব অংশীদারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এটি বোঝেন এবং ইউক্রেনকে সমর্থন চালিয়ে যাচ্ছেন।’

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী গত রাতে ৫৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ‘ধ্বংস ও আটক’ করেছে, যা মূলত রোস্তভ ও আস্ট্রাখান অঞ্চলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।

আরো পড়ুন
সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা নিয়ে অগ্রগতির আশা মস্কোর

সৌদি আরবে শান্তি আলোচনা নিয়ে অগ্রগতির আশা মস্কোর

 

যুদ্ধবিরতির আলোচনা  
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার রাতে বলেছেন, যুদ্ধের আরো বিস্তার ঠেকানোর প্রচেষ্টা ‘কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে’।

এয়ার ফোর্স ওয়ানে এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরো বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তিসংগত আলোচনা এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখাই মূল চাবিকাঠি।’

গত সপ্তাহে ট্রাম্প পৃথকভাবে পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেন, যা ২০২২ সালে শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের লক্ষ্যে নেওয়া পদক্ষেপ। তবে ৩০ দিনের সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলেও পুতিন রাশিয়ার জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা না চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যা জেলেনস্কিও মেনে নিয়েছেন। তবে এই সমঝোতা হওয়ার পর থেকেই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে জ্বালানি স্থাপনায় হামলার অভিযোগ তুলেছে।

এদিকে সোমবার সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথকভাবে রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল শান্তি আলোচনার জন্য বৈঠক করবে।

রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতা সেনেটর গ্রিগরি কারাসিন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন জভেজদা টিভিকে বলেছেন, ‘আমরা অন্তত কিছু অগ্রগতি অর্জনের প্রত্যাশা করছি।’

এ ছাড়া রুশ প্রতিনিধিদলে থাকা এফএসবি গোয়েন্দা সংস্থার আলোচক সের্গেই বেসেদা জানান, তারা ‘লড়াইপূর্ণ ও গঠনমূলক’ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন।

কারাসিন বলেন, ‘আমরা অন্তত একটি বিষয় সমাধানের লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে যাচ্ছি।’

অন্যদিকে এক শীর্ষ ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা এএফপিকে শনিবার জানিয়েছেন, কিয়েভ অন্তত আংশিক যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হতে চায়, যা জ্বালানি, অবকাঠামো ও সামুদ্রিক হামলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর
ছবি : এএফপি

ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে একমত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে, সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। তার আগে ইউক্রেনের সঙ্গেও আলোচনা হয় মার্কিনিদের।

সেখান থেকেই কৃষ্ণ সাগর গিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না করার বিষয়ে পৃথকভাবে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

যদিও বৈঠক চলাকালেও একে-অপরের ওপর ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছিল মস্কো ও কিয়েভ।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার রোধ করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষই।’

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন।

এসব হামলার কারণে এক পর্যায়ে ক্রিমিয়ার নৌঘাঁটি থেকে বেশ কিছু জাহাজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় মস্কো।

ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রাশিয়া আক্রমণ চালালেও এখনো ওডেসা অঞ্চলের প্রধান তিনটি সমুদ্রবন্দর থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে শস্য, লোহা ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে যাচ্ছে কিয়েভ।

তবে যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান রপ্তানি কেন্দ্র মাইকোলাইভ বন্দর এখনো বন্ধ আছে।

এ কারণেই চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে নৌ ও আকাশপথে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মন্তব্য

৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা
সংগৃহীত ছবি

প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অবশেষে তাঁকে ক্ষতিপূরণসহ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি।

হাকামাতার আইনজীবীদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।

১৯৬৮ সালে হাকামাতা তাঁর বস, বসের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর নতুন করে মামলাটি পর্যালোচনা করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।

হাকামাতার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ৪৭ বছর কারাগারে থাকার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

বিচারক কুনি কোশি সোমবার ওই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন এবং স্বীকার করেন যে, হাকামাতা অত্যন্ত গুরুতর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করেছেন।

হাকামাতাকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ প্রদান করবে জাপান সরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

হাকামাতার মামলা জাপানের দীর্ঘতম ও অন্যতম আলোচিত বিচারিক ঘটনা। ২০১৪ সালে তাঁর মামলাটি পুনরায় বিচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তখনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই মামলাটি যারা তদন্ত করেছিলেন, তাঁরাই হাকামাতাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।

এ অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর শিজুওকার একটি আদালতে বিচারক হাকামাতাকে খালাস দিলে, সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ ‘বানজাই’ (হুররে) বলে উল্লাস প্রকাশ করেন।

তবে মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনের সেই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি হাকামাতা।

এই মামলা জাপানের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুনঃবিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগের বিষয়ে।

মন্তব্য

সপ্তাহ না যেতেই গাজায় ৮০০ মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সপ্তাহ না যেতেই গাজায় ৮০০ মৃত্যু
ছবি : এএফপি

যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলা শুরুর পর থেকে গত এক সপ্তাহে ৭৯২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৬২ জন।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে ৭৯২ জন নিহত এবং ১,৬৬৩ জন আহত হয়েছেন।

যার ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫০,১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন
সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন

সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন

 

প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতি চলার পর গত মঙ্গলবার থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ইসরায়েলের আক্রমণ আরো বিস্তৃত হয়েছে বলে গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার খান ইউনিস ও রাফায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য

দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে দক্ষিণ কোরিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে দক্ষিণ কোরিয়া
সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষায় বুদ্ধ মূর্তিগুলোকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং পাশের ছবিতে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। ছবি : এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলের আবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। শুষ্ক আবহাওয়া ও বাতাস সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলোর মধ্যে একটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই তথ্য। চলতি সপ্তাহে এক ডজনেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নিরাপত্তামন্ত্রী জানিয়েছেন, হাজার হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে, হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং চারজন নিহত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তামন্ত্রী কো কি-ডং বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত দাবানলে প্রায় ১৪ হাজার ৬৯৪ হেক্টর (৩৬ হাজার ৩১০ একর) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ক্রমে বাড়ছে।’ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল হবে এটি। এর আগে সবচেয়ে বড় দাবানল ছিল ২০০০ সালের এপ্রিলে, যা পূর্ব উপকূলজুড়ে ২৩ হাজার ৯১৩ হেক্টর (৫৯ হাজার ০৯০ একর) পুড়ে গিয়েছিল।

ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রী কো কি-ডং একটি দুর্যোগ ও নিরাপত্তা সভায় বলেন, ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১১ জন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। তীব্র বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং কুয়াশা অগ্নিনির্বাপণ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে বলে তিনি জানান। 

আরো পড়ুন
মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

 

তিনি বলেন, আজ ১১০টি হেলিকপ্টার এবং ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি কর্মী মোতায়েন করা হবে।

 এএফপির সাংবাদিকরা উইসংয়ের আকাশ ধোঁয়া এবং কুয়াশায় ভরে গেছে বলে জানান। স্থানীয় একটি মন্দিরের কর্মীরা সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষায় ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সরানোর এবং বুদ্ধ মূর্তিগুলোকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

কোরিয়া বন পরিষেবা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ উইসংয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের হার ৬০ থেকে ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মতে, দাবানল মোকাবেলায় ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যার প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ কর্মী উইসংয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকার ‘সারা দেশে একযোগে দাবানলের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির’ কথা উল্লেখ করে চারটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ