গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়াল
২৩ মার্চ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি হামলায় নিহত স্বজনদের জানাজায় ফিলিস্তিনিদের শোক। ছবি : এএফপি

হামাসশাসিত গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অন্তত ৫০ হাজার ২১ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ২৭৪ জন।

মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানায়। পাশাপাশি গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থাও তাদের নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।

স্বাধীনভাবে এই সংখ্যা যাচাই করা যায়নি, তবে যুদ্ধের পুরো সময়জুড়ে জাতিসংঘ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানকে নির্ভরযোগ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত জানুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর ইসরায়েল গাজার ওপর ব্যাপক বিমান হামলা ও স্থল অভিযান শুরু করে, ফলে এই সপ্তাহে নিহতের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছে। এতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭৩-এ পৌঁছেছে।

 

ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেটে জানুয়ারির শুরুতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাবের চেয়ে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি হতে পারে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে ২৩৩ জন নিখোঁজ ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যাদের মৃত্যু ইতিমধ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ইসরায়েলি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে এক হাজার ২১৮ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধমুক্ত হচ্ছে কৃষ্ণ সাগর
ছবি : এএফপি

ইউক্রেনে সার্বিক যুদ্ধবিরতির চুক্তির আগে কৃষ্ণ সাগরে একটি সামুদ্রিক অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে একমত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে, সৌদি আরবের রিয়াদে যুক্তরাষ্ট্র ও রুশ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। তার আগে ইউক্রেনের সঙ্গেও আলোচনা হয় মার্কিনিদের।

সেখান থেকেই কৃষ্ণ সাগর গিয়ে যাওয়া জাহাজগুলোর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ না করার বিষয়ে পৃথকভাবে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

যদিও বৈঠক চলাকালেও একে-অপরের ওপর ড্রোন হামলা অব্যাহত রেখেছিল মস্কো ও কিয়েভ।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস বলেছে, ‘কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদ নৌ চলাচল নিশ্চিত করতে, বলপ্রয়োগ বন্ধ করতে এবং সামরিক উদ্দেশ্যে বাণিজ্যিক জাহাজের ব্যবহার রোধ করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষই।’

২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন।

এসব হামলার কারণে এক পর্যায়ে ক্রিমিয়ার নৌঘাঁটি থেকে বেশ কিছু জাহাজ সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় মস্কো।

ইউক্রেনীয় বন্দরগুলোতে রাশিয়া আক্রমণ চালালেও এখনো ওডেসা অঞ্চলের প্রধান তিনটি সমুদ্রবন্দর থেকে কৃষ্ণ সাগর হয়ে শস্য, লোহা ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানি করে যাচ্ছে কিয়েভ।

তবে যুদ্ধের আগে ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান রপ্তানি কেন্দ্র মাইকোলাইভ বন্দর এখনো বন্ধ আছে।

এ কারণেই চলতি মাসের শুরুতে ইউরোপীয় নেতাদের কাছে নৌ ও আকাশপথে অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

মন্তব্য

৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৫০ বছর মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষার পর অবশেষে মুক্তির পালা
সংগৃহীত ছবি

প্রায় ৫০ বছর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন জাপানি এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অবশেষে তাঁকে ক্ষতিপূরণসহ মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি।

হাকামাতার আইনজীবীদের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।

১৯৬৮ সালে হাকামাতা তাঁর বস, বসের স্ত্রী ও তাঁদের দুই সন্তানের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে গত বছর নতুন করে মামলাটি পর্যালোচনা করা হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন।

হাকামাতার আইনজীবীরা সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের দাবি করেছিলেন। তাঁরা যুক্তি দিয়েছিলেন, ৪৭ বছর কারাগারে থাকার ফলে তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছে।

বিচারক কুনি কোশি সোমবার ওই ক্ষতিপূরণের আদেশ দেন এবং স্বীকার করেন যে, হাকামাতা অত্যন্ত গুরুতর মানসিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করেছেন।

হাকামাতাকে ক্ষতিপূরণের এই অর্থ প্রদান করবে জাপান সরকার।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এটিকে দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

হাকামাতার মামলা জাপানের দীর্ঘতম ও অন্যতম আলোচিত বিচারিক ঘটনা। ২০১৪ সালে তাঁর মামলাটি পুনরায় বিচারের অনুমতি দেওয়া হয় এবং তখনই তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। প্রায় অর্ধশত বছর আগে এই মামলাটি যারা তদন্ত করেছিলেন, তাঁরাই হাকামাতাকে মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে ফাঁসিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়।

এ অবস্থায় গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর শিজুওকার একটি আদালতে বিচারক হাকামাতাকে খালাস দিলে, সেখানে উপস্থিত শত শত মানুষ ‘বানজাই’ (হুররে) বলে উল্লাস প্রকাশ করেন।

তবে মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনের সেই শুনানিতে উপস্থিত থাকতে পারেননি হাকামাতা।

এই মামলা জাপানের বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে পুনঃবিচারের দীর্ঘসূত্রতা এবং জোরপূর্বক স্বীকারোক্তির অভিযোগের বিষয়ে।

মন্তব্য

সপ্তাহ না যেতেই গাজায় ৮০০ মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সপ্তাহ না যেতেই গাজায় ৮০০ মৃত্যু
ছবি : এএফপি

যুদ্ধবিরতির পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমা হামলায় প্রায় ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বোমা হামলা শুরুর পর থেকে গত এক সপ্তাহে ৭৯২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ৬২ জন।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামলা পুনরায় শুরু হওয়ার পর থেকে ৭৯২ জন নিহত এবং ১,৬৬৩ জন আহত হয়েছেন।

যার ফলে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫০,১৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

আরো পড়ুন
সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন

সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে জ্বলছে আগুন

 

প্রায় দুই মাস যুদ্ধবিরতি চলার পর গত মঙ্গলবার থেকে গাজায় আবার হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে ইসরায়েলের আক্রমণ আরো বিস্তৃত হয়েছে বলে গাজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রবিবার খান ইউনিস ও রাফায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।

মন্তব্য

দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে দক্ষিণ কোরিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে দক্ষিণ কোরিয়া
সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষায় বুদ্ধ মূর্তিগুলোকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং পাশের ছবিতে হেলিকপ্টার থেকে পানি ছিটানো হচ্ছে। ছবি : এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলের আবস্থা আরো খারাপ হয়েছে। শুষ্ক আবহাওয়া ও বাতাস সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানলগুলোর মধ্যে একটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে। মঙ্গলবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এই তথ্য। চলতি সপ্তাহে এক ডজনেরও বেশি বিভিন্ন ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

নিরাপত্তামন্ত্রী জানিয়েছেন, হাজার হাজার হেক্টর জমি পুড়ে গেছে, হাজার হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং চারজন নিহত হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তামন্ত্রী কো কি-ডং বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত দাবানলে প্রায় ১৪ হাজার ৬৯৪ হেক্টর (৩৬ হাজার ৩১০ একর) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি ক্রমে বাড়ছে।’ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে তৃতীয় বৃহত্তম দাবানল হবে এটি। এর আগে সবচেয়ে বড় দাবানল ছিল ২০০০ সালের এপ্রিলে, যা পূর্ব উপকূলজুড়ে ২৩ হাজার ৯১৩ হেক্টর (৫৯ হাজার ০৯০ একর) পুড়ে গিয়েছিল।

ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রী কো কি-ডং একটি দুর্যোগ ও নিরাপত্তা সভায় বলেন, ৩ হাজারেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ১১ জন মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে। তীব্র বাতাস, শুষ্ক আবহাওয়া এবং কুয়াশা অগ্নিনির্বাপণ প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করছে বলে তিনি জানান। 

আরো পড়ুন
মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

মোটরসাইকেলসহ গিয়ে পড়লেন সিংকহোলে, অতঃপর...

 

তিনি বলেন, আজ ১১০টি হেলিকপ্টার এবং ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি কর্মী মোতায়েন করা হবে।

 এএফপির সাংবাদিকরা উইসংয়ের আকাশ ধোঁয়া এবং কুয়াশায় ভরে গেছে বলে জানান। স্থানীয় একটি মন্দিরের কর্মীরা সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে রক্ষায় ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সরানোর এবং বুদ্ধ মূর্তিগুলোকে ঢেকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

কোরিয়া বন পরিষেবা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল নাগাদ উইসংয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের হার ৬০ থেকে ৫৫ শতাংশে নেমে এসেছে। স্বরাষ্ট্র ও নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের মতে, দাবানল মোকাবেলায় ৬ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, যার প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ কর্মী উইসংয়ে পাঠানো হয়েছে। সরকার ‘সারা দেশে একযোগে দাবানলের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির’ কথা উল্লেখ করে চারটি অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ