ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করলেই ভালো হবে : ট্রাম্প

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করলেই ভালো হবে : ট্রাম্প

ইরানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ কূটনৈতিক আলোচনার সম্ভাবনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সরাসরি আলোচনা করলেই ভালো হবে। তাহলে বিষয়টি দ্রুত হয় বলেই আমি মনে করি। মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনার চেয়ে এভাবে অন্য পক্ষকে ভালোভাবে বোঝা সহজ হয়।

তারা (ইরান) মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চেয়েছিল। আমি মনে করি, সেটার আর প্রয়োজন নেই। 

দুই দেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ও পাল্টাপাল্টি হুমকি সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান সরাসরি আলোচনায় রাজি হতে পারে। 

স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

খবর আলজাজিরার।

গত মাসে ট্রাম্প ইরানের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিয়মিতভাবে ইরানকে সামরিক হামলার হুমকিও দিয়ে আসছেন। ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করলেও পরোক্ষ আলোচনার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে তেহরান।

অবশ্য ইরান আসলেই অবস্থান পরিবর্তন করেছে কি না, নাকি ট্রাম্প তেহরানের অবস্থান নিয়ে জল্পনাকল্পনা করছেন তা স্পষ্ট নয়।

মার্কিন প্রশাসন ইরানের তেল রপ্তানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার লক্ষ্যে ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আসছে। ২০১৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প একটি বহুপক্ষীয় চুক্তি বাতিল করেন, যার ফলে ইরান নিজেদের অর্থনীতির ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিনিময়ে পারমাণবিক কর্মসূচি কমিয়ে আনে। অবশ্য তেহরান দাবি করে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না; যদিও ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মিত্র ইসরায়েলের কাছে অঘোষিত পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে বলে মনে করা হয়।

আরো পড়ুন
নির্বাচনে অনিশ্চয়তা বাড়াবে জটিলতা

নির্বাচনে অনিশ্চয়তা বাড়াবে জটিলতা

 

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী চলমান সংঘাতে ‘শান্তি’ বয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন; যদিও তিনি ইরানকে প্রকাশ্য কূটনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়ে আসছেন।

’ 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

চীনে নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২০

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চীনে নার্সিংহোমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ২০
ছবিসূত্র : এএফপি

উত্তর চীনের হেবেই প্রদেশের একটি নার্সিংহোমে আগুন লেগে ২০ জন নিহত হয়েছেন। বেইজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া বুধবার জানিয়েছে এ খবর জানিয়েছে।  

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী বেইজিং থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার (১১২ মাইল) উত্তর-পূর্বে লংহুয়া কাউন্টির একটি নার্সিংহোমে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। সিনহুয়া জানিয়েছে, বুধবার ভোর ৩ টা নাগাদ বিশ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘নার্সিংহোমে থাকা অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের আরো পর্যবেক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’ আগুন লাগার কারণ তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।

কাউন্টি সরকার জানিয়েছে, নার্সিংহোমে আগুন লাগার জন্য দায়ি একজন ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে। ভবন নির্মাণের নিয়মে শিথিলতা এবং কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রায়ই আবহেলার কারণে চীনে মারাত্মক অগ্নিকাণ্ড তুলনামূলকভাবে সাধারণ।

গত জানুয়ারিতে বেইজিংয়ের উত্তর-পশ্চিমে ঝাংজিয়াকো শহরের একটি সবজির বাজারে আগুন লেগে আটজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হন। এর এক মাস আগে গত বছর পূর্ব চীনের রংচেং শহরে একটি নির্মাণস্থলে আগুন লেগে নয়জন মারা যান।

সূত্র : এএফপি
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে পাকিস্তান

ডয়চে ভেলে
ডয়চে ভেলে
শেয়ার
আফগান শরণার্থীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে পাকিস্তান
ছবিসূত্র : এএফপি

৩১ মার্চের মধ্যে অবৈধ আফগান নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তান। বলপ্রোয়গ করে তাদের সীমান্ত পার করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের বক্তব্য, আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ২০২৩ সাল থেকে ওই শরণার্থীদের আফগানিস্তানে পাঠানোর অভিযান শুরু করেছে পাকিস্তান।

এর আগেও রীতিমতো বলপ্রয়োগ করে বহু আফগানকে দেশে পাঠানো হয়েছিল। অনিচ্ছুকদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

সম্প্রতি ইসলামাবাদ জানিয়েছিল, ৩১ মার্চের মধ্যে সকল অবৈধ শরণার্থীকে দেশ ছাড়তে হবে। ওই তারিখ পেরিয়ে যাওয়ায় প্রশাসন নতুন করে অভিযান শুরু করেছে।

আফগান সিটিজেন কার্ড

পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় আট লাখ আফগান নাগরিককে একটি কার্ড দিয়েছিল দেশের প্রশাসন। এই কার্ডটিকে বলা হয় আফগান সিটিজেন কার্ড বা এসিসি। এই আট লাখ মানুষকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান। তারা স্বেচ্ছায় না গেলে আফগানিস্তানে তাদের জোর করে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, গত নয় দিনে অন্তত আট হাজার ৯০৬ জনকে  করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রশাসন জানিয়েছে, নতুন করে অভিযান শুরু হয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের দেশ থেকে তাড়ানোই হলো এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।

মানবাধিকার লঙ্ঘন

গত ১৮ মাসে পাকিস্তান ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন অন্তত আট লাখ ৪৫ হাজার আফগান। গোটা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।

পাকিস্তান যেভাবে আফগানদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে, তার নিন্দা করেছে তালেবান। বলা হয়েছে, শরণার্থীদের সম্পত্তি, অর্থ নিয়ে আসার সুযোগটুকুও দেওয়া হচ্ছে না।

সংবাদসংস্থার কাছে বহু আফগান অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানের প্রশাসন তাদের বাড়ি ঘিরে ফেলছে। বাড়ি ছাড়ার সময় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পর্যন্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কার্যত এক কাপড়ে তাদের ঘর ছাড়তে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েকবছরে কাবুলের সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান তৈরির পিছনে আফগানিস্তানের তালেবানদের মদত আছে। এই দলটি পাকিস্তানে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। আফগানিস্তানের তালেবানদের এই দলটির ওপর আর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বলে অভিযোগ করেছে পাকিস্তান। অন্যদিকে, আফগান নাগরিকদের সঙ্গে পাকিস্তানের ব্যবহার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিরক্ত কাবুল। গত কয়েকদিনে দুই দেশের সম্পর্ক আরো খারাপ হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।

মন্তব্য

সুদানে মার্কিন সহায়তা বন্ধে কমলো স্বাস্থ্যসেবা, শিশুসহ প্রাণ গেল ৮ রোগীর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানে মার্কিন সহায়তা বন্ধে কমলো স্বাস্থ্যসেবা, শিশুসহ প্রাণ গেল ৮ রোগীর
ছবিসূত্র : এএফপি

কলেরার চিকিৎসার জন্য তিন ঘন্টা হেঁটেও চিকিৎসা না পেয়ে দক্ষিণ সুদানে আটজন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচ শিশুও রয়েছে। আজ বুধবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন এই খবর জানিয়েছে। মার্কিন সাহায্য কর্তনের ফলে স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ হয়ে গেছে। কলেরা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় চিকিৎসা নিতে তিন ঘন্টা হেঁটে যাওয়ার সময় তাদের মৃত্যু হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় নেওয়ার পর খরচ কমানোর জন্য নানা ধরনের সহায়তা বন্ধ করতে শুরু করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ পর মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম। সেভ দ্য চিলড্রেন এই বছরের শুরু পর্যন্ত পূর্ব দক্ষিণ সুদানের জংলেই রাজ্যে ২৭টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করেছিল। কিন্তু মার্কিন সহায়তা কর্তনের ফলে সাতটি সম্পূর্ণভাবে এবং ২০টি আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বলে সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানে মার্কিন অর্থায়নে পরিচালিত পরিবহন পরিষেবাও তহবিলের অভাবে বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে আটজন কলেরা রোগীকে নিকটতম স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৪০° সেলসিয়াস (১০৪° ফারেনহাইট) তাপে হেঁটে যেতে হয়েছিল।

মৃত তিন শিশুর বয়স ৫ বছরের কম। 

দক্ষিণ সুদানে সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার নিয়ামান্ডি বলেছেন, ‘অন্যান্য দেশের ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নেওয়া সিদ্ধান্তের ফলে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল, বিশ্বব্যাপী এ নিয়ে নৈতিক ক্ষোভ থাকা উচিত।’ 

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ইউএসএআইডির ৯০ শতাংশেরও বেশি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে আগামী বছরগুলোতে অপুষ্টি, এইডস, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া এবং অন্যান্য রোগের কারণে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর মুখে পড়তে পারে।

 

দক্ষিণ সুদানের প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষের এক তৃতীয়াংশেরও বেশি লোক সংঘাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে উত্তর-পূর্বে লড়াই শুরু হওয়ার পর দেশটি একটি নতুন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। গত অক্টোবরে কলেরা প্রাদুর্ভাব ঘোষণা করা হয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত মাসে ২২ হাজারের বেশি রোগীর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে শত শত মানুষ মারা গেছে।

আরো পড়ুন
থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্র অবমাননার জন্য মার্কিন শিক্ষক গ্রেপ্তার

 

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, সেভ দ্য চিলড্রেনের এই প্রতিবেদন করা মৃত্যুর তথ্য তাদের কাছে নেই।

একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘দক্ষিণ সুদানে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদানকারী অনেক মার্কিন সরকারের কর্মসূচি সক্রিয় রয়েছে, তবে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য দেওয়া সহায়তা দেশটির নেতারা ব্যবহার করছে।’

ওই মুখপাত্র আরো বলেছেন, আমরা আমেরিকান করদাতাদের এমন সহায়তা প্রদানের জন্য বলব না, যা দক্ষিণ সুদানের রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং দুর্নীতিগ্রস্ত আচরণকে সমর্থন দেন, যদিও জরুরি জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। দক্ষিণ সুদানের সরকারের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে কিন্তু রাষ্ট্রপতি সালভা দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটিতে মানবিক সহায়তা প্রায়ই বেসরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়, মূলত দুর্নীতির উদ্বেগের কারণে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ত্রাণ হ্রাস ছাড়াও, অন্যান্য দাতারা ধীরে ধীরে অনুদান কমিয়ে দেওয়ার ফলে দক্ষিণ সুদানে মানবিক সহায়তার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার নিয়ামান্ডি বলেছেন, সেভ দ্য চিলড্রেন ২০২৫ সালে দেশে ৩০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করার প্রত্যাশা করছে, যা গত বছর ৫০ মিলিয়ন ডলার ছিল।

সূত্র : রয়টার্স

 

মন্তব্য

বিস্ময়করভাবে ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক (ভিডিও সহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিস্ময়করভাবে ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্ক  (ভিডিও সহ)
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি : এএফপি

চীনের পাল্টা শুল্কের জবাবে ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের ঘোষণা অনুযায়ী চীনা বেশকিছু পণ্যের ওপর ১০৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে। এ ঘটনা নাটকীয়ভাবে বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধকে আরো তীব্র করে তুলেছে।

এর আগে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বুধবার থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা জাপানের মতো রপ্তানিকারক দেশ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির হার আরো বেড়েছে।

শুল্ক আরোপের ফলে ওয়াশিংটনের শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কিন্তু একটি প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে চীনের পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক এখন বিস্ময়করভাবে ১০৪ শতাংশে পৌঁছেছে।

গত বুধবার (২ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে আমদানি করা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ ন্যূনতম শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।

সেদিন চীনের ওপর নতুন করে ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তিনি যা পূর্বে আরোপিত শুল্কসহ ৫৪ শতাংশে দাঁড়ায়।
 ট্রাম্পের ঘোষণার পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) চীন এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ বাতিল করার আহ্বান জানায় এবং পরদিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা সব পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। জবাবে চীনের ওপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন ট্রাম্প। যা দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে।
 

সোমবার (৭ এপ্রিল) ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লেখেন, ‘চীন যদি মঙ্গলবারের (৮ এপ্রিল) মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র বুধবার (৯ এপ্রিল) থেকে কার্যকরভাবে চীনের ওপর অতিরিক্ত আরো ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবে। এ ছাড়া চীনের অনুরোধকৃত সব আলোচনা বাতিল করা হবে।’

ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছেন, তার সরকার বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা শুল্কর ক্ষেত্রে জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্রদের অগ্রাধিকার দেবে। মার্কিন শীর্ষ বাণিজ্য কর্মকর্তা জেমিসন গ্রিয়ার সিনেটকে বলেন, আর্জেন্টিনা, ভিয়েতনাম এবং ইসরায়েল তাদের মধ্যে অন্যতম যারা তাদের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্প তার সহকর্মী রিপাবলিকানদের সঙ্গে এক নৈশভোজে বলেছিলেন, ‘দেশগুলো চুক্তিতে আসতে মরে যাচ্ছে। এই দেশগুলো আমাদের গালে চুমু খাচ্ছে।’ কিন্তু বেইজিং পিছু হটার কোনো লক্ষণ দেখায়নি। শেষ পর্যন্ত দেশটি বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে যাচ্ছে এবং দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

মার্কিন পণ্যের ওপর চীনের ৩৪ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিশ্বাস করেন, তার নীতি কম্পানিগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তরিত করতে বাধ্য করে আমেরিকার হারানো উৎপাদন ভিত্তিকে পুনরুজ্জীবিত করবে। কিন্তু অনেক ব্যবসায়িক বিশেষজ্ঞ এবং অর্থনীতিবিদ শুল্কের ফলে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন। ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক থেকে ‘প্রতিদিন প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার আয়’ করছে।

এর আগে এক্স, ট্রুথ সোশ্যালসহ একাধিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, 'তেলের দাম কমেছে, সুদের হার কমেছে, খাদ্যের দাম কমেছে, কোনো মূল্যস্ফীতি নেই। যেসব দেশ আমাদের শোষণ করত, শুল্কের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত যুক্তরাষ্ট্র এখন সপ্তাহে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আদায় করছে।’ পোস্টে চীনকে ‘সবচেয়ে বড় শোষক’ বলে আখ্যা দেন ট্রাম্প।

সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ