ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত রানাকে নেওয়া হচ্ছে ভারতে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলায় অভিযুক্ত রানাকে নেওয়া হচ্ছে ভারতে
ফাইল ছবি

মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার মূল অভিযুক্ত তাহাউর রানাকে ভারতে আনা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রানাকে বহনকারী বিমান দিল্লিতে নামতে পারে। পরে তাকে হাই সিকিউরিটি তিহার জেলে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রানাকে বহনকারী বিমান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয় সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১০টায় রওনা দেয়।

ফ্লাইটে গোয়েন্দা ও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের একটি বিশেষ দল রয়েছে। রানা দিল্লিতে পৌঁছানোর পর, তাকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করবে এবং তিহার জেলে রাখা হবে। যেখানে তার থাকার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
 

পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত তাহাউর রানা কানাডার নাগরিক। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের মেট্রোপলিটন ডিটেনশন সেন্টারে আটক ছিলেন। ভারতে প্রত্যর্পণ ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পর তাকে ভারতে নেওয়া হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ২৬ নভেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ে হামলা চালায় ১০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। তারা মুম্বাইয়ের একটি রেলস্টেশন, বিলাসবহুল হোটেলসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এতে ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। হামলাকারীদের মধ্যে একমাত্র জীবিত অবস্থায় গ্রেপ্তার আজমাল আমির কাসাবকে ২০১২ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।  

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিলুপ্তির পথে হংকংয়ের সর্ববৃহৎ দল ‘ডেমোক্রেটিক পার্টি’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিলুপ্তির পথে হংকংয়ের সর্ববৃহৎ দল ‘ডেমোক্রেটিক পার্টি’

৩০ বছরেরও বেশি সময় আগে হংকংয়ের সবচেয়ে বড় দল ‘দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ইয়িয়াং সাম। তবে তখনই তিনি জানতেন যে হংকংয়ে গণতন্ত্র গড়ে তোলা একটি ‘কঠিন স্বপ্ন’ হবে। 

আশাহি শিম্বুনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে ইয়িয়াং সামের দলটি বিলুপ্তির দিকে এগোচ্ছে। এটি হংকংয়ের জন্য প্রতিশ্রুত পশ্চিমা ধাঁচের নাগরিক স্বাধীনতা ও উচ্চমাত্রার স্বায়ত্তশাসনের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার প্রতীকী চিহ্ন হয়ে উঠেছে।

তবে ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে হংকংয়ের চীনে প্রত্যাবর্তনের সময় চীনের কমিউনিস্ট পার্টি এটি অন্তত ৫০ বছর ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভ হংকংকে প্রায় অচল করে দিয়েছিল। এর পরিণতিতে এমন এক দমন-পীড়ন শুরু হয়, যাতে নির্বাচন সীমিত করা হয়, গণমাধ্যম সেন্সর করা হয় এবং চীনের চাপিয়ে দেওয়া জাতীয় নিরাপত্তা আইনে ইয়িয়াংয়ের দলের কয়েকজন সদস্যকে কারাবরণ করতে হয়। সে সময় অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দলটির সাবেক চেয়ারপারসন ইয়িয়াং জানান, চীনা কর্মকর্তারা তাকে বলেছিলেন দলটি বিলুপ্ত করতে হবে। তিনি সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন এই প্রস্তাব সমর্থন করতে, যাতে নেতৃত্বকে বিলুপ্তির প্রক্রিয়া পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া যায়।

তিনি বলেন, আমি এতে খুব একটা খুশি নই। তবে আমি বুঝি, আমরা যদি বিলুপ্তির আহ্বানে সাড়া না দিই, তাহলে হয়তো আমাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হতে পারে।

তার মতো বার্তা অন্যরাও পেয়েছেন। দলের অভিজ্ঞ নেতা ফ্রেড লি বলেন, তিনি যখন জানতে চেয়েছিলেন দলের সদস্যরা আসন্ন আইন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তখন চীনা কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দেন যে দলটি এই বছর পর্যন্ত টিকবে না। 

অপর এক প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সিন চুং-কাই বলেন, ফেব্রুয়ারির শুরুতে হংকংয়ের কিছু সদস্যকে দলটি চালিয়ে গেলে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

গণতান্ত্রিক দলটি ১৯৯৪ সালে দুইটি গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠীর একীভবনের মাধ্যমে গঠিত হয়। তাদের ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, দলটি হংকংয়ের চীনে প্রত্যাবর্তনকে সমর্থন করে।

প্রথমদিকে, এই দলটি আইন পরিষদে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। ২০২১ সালে বেইজিং নির্বাচনী নিয়ম পরিবর্তন করে শুধু ‘দেশপ্রেমিকদের’ প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেওয়ার আগেও দলটি আইন পরিষদে একটি বড় গণতন্ত্রপন্থী কণ্ঠস্বর ছিল। ইয়িয়াং জানান, সে সময় গণতন্ত্রপন্থী শিবির সাধারণত প্রায় ৬০% জনসমর্থন পেত।

ইয়িয়াং তখন আশাবাদী ছিলেন যে হংকংয়ে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, স্বাধীন বিচারব্যবস্থা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত প্রশাসন সফলভাবে কাজ করছে।

তবে ২০১০ সালে দলটি চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক সংস্কার প্যাকেজকে সমর্থন করায় সমালোচনার মুখে পড়ে। এতে সাধারণ ভোটাররা তাদের জেলা পরিষদ থেকে পাঁচজন আইনপ্রণেতাকে সরাসরি নির্বাচনের সুযোগ পায়। কিন্তু এই পদক্ষেপে গণতন্ত্রপন্থী শিবিরের অনেকে ক্ষুব্ধ হন এবং দুইটি আসন হারায় দলটি। এ নিয়েও দলটি অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে পড়ে।

এরপর ২০১৪ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পর তরুণ প্রজন্মের রাজনীতিকদের উত্থানে দলের প্রভাব হ্রাস পায়। তবে ২০১৯ সালের গণবিক্ষোভে দলটির সক্রিয়তা আবারও জনপ্রিয়তা পায়।

চীনের দমন-পীড়ন এবং ২০২০ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইন হংকংয়ের রাজনীতির চেহারা বদলে দেয়। দলটির সাবেক চেয়ারপারসন অ্যালবার্ট হো এবং উ চি-ওয়াইসহ কয়েকজন সাবেক আইনপ্রণেতা এখন কারাবন্দি।

নতুন নির্বাচনী কাঠামোর কারণে গণতান্ত্রিক দলটি আর নির্বাচনে অংশ নেয় না। ২০২১ সালের আইন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পর অনেকে মনে করেন বেইজিং আর দলটিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।

অন্যান্য গণতন্ত্রপন্থী দলও বিলুপ্ত হয়েছে—যেমন সিভিক পার্টি এবং ১৯৮৯ সালের তিয়েনআনমেন হত্যাকাণ্ড স্মরণে বার্ষিক আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি আয়োজনকারী দল। কেউ কেউ নির্বাসনে গেছেন, কেউ বা কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে দলের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তির প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। বর্তমান চেয়ারপারসন লো কিন-হেই বলেন, এটি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সামাজিক পরিবেশের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত। 

২০০৯ সালে দলে যোগ দেওয়া ইউয়েন বলেন, দলটি বন্ধ হয়ে গেলে হংকং একটি কণ্ঠ হারাবে, যা জীবিকা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের পক্ষে কথা বলত।

দলের অভিজ্ঞ নেতা ইয়িয়াং বলেন, দলটির বিলুপ্তি শহরের জন্য একটি ‘বড় ধাক্কা’ হবে এবং দলটির অন্তর্ধান ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতিতে বিশ্বব্যাপী বিশ্বাস কমিয়ে দেবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জম্মু ও কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় সেনা নিহত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জম্মু ও কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় সেনা নিহত
ছবিসূত্র : এক্স থেকে নেওয়া

বৃহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় নিরাপত্তা বাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের সময় দুদু-বাসন্তগড় এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

সেনাবাহিনীর জম্মু-ভিত্তিক হোয়াইট নাইট কর্পস এক্স-এ পোস্ট করে জানিয়েছে, ‘জিওসি (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং), হোয়াইট নাইট কর্পস এবং সকল পদমর্যাদার সদস্য ৬ প্যারা এসএফ-এর সাহসী হাবিলদার ঝন্টু আলী শেখকে স্যালুট জানাচ্ছে। তিনি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

তার অদম্য সাহস এবং তার দলের বীরত্ব কখনও ভোলা যাবে না। শোকের এই মুহূর্তে আমরা শোকাহত পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি।’

এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন মাত্র একদিন আগে কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পেহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। নিহতদের বেশিরভাগই ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আসা পর্যটক ছিলেন।

এই হামলায় নিহতদের মধ্যে একজন নৌবাহিনীর অফিসার, একজন বিমান বাহিনীর কর্মী এবং একজন গোয়েন্দা ব্যুরোর কর্মকর্তা ছিলেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে পাকিস্তান থেকে অনুপ্রবেশকারীরা মঙ্গলবারের হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল।

সূত্র : এনডিটিভি
 

মন্তব্য

কাশ্মীর হামলার জেরে ভারতে বন্ধ হলো পাকিস্তান সরকারের এক্স অ্যাকাউন্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কাশ্মীর হামলার জেরে ভারতে বন্ধ হলো পাকিস্তান সরকারের এক্স অ্যাকাউন্ট
ছবিসূত্র : আনন্দবাজার

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপর ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর, ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটি ছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের ষষ্ঠ পদক্ষেপ।

ভারতের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সকে এই পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয় বলে এই সময়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই পাকিস্তান সরকারের এক্স অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

সাধারণত এক্স হ্যান্ডেলে কোনো দেশের সরকার বিভিন্ন সরকারি বিবৃতি, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে অবস্থান ঘোষণা করে। পাকিস্তানের সরকারি এক্স হ্যান্ডেল এতদিন ভারতে দেখা যেত। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সেটা আর দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কমিটির (সিসিএস) জরুরি বৈঠক। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিক্রম মিশ্রি সাংবাদিকদের সামনে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন।

ঘোষিত পাঁচটি প্রধান পদক্ষেপ:

১. পাকিস্তান আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসে তার সমর্থন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জলবণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখা হবে। এটি দুই দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘদিনের চুক্তি ছিল।

২. ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ট্রানজিট পয়েন্ট আটারি চেকপোস্ট তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

৩. যারা বৈধ নথিপত্র নিয়ে ইতোমধ্যে ভারতে এসেছেন, তাদের ১ মের মধ্যে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।

৪. সার্ক ভিসার আওতায় পাকিস্তানি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগে যেসব অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হয়েছে। যারা এই ভিসায় বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।

৫.  ভারতের মিশ্রী জানান, পাকিস্তানি দূতাবাসের সামরিক উপদেষ্টাদের ‘অবাঞ্ছিত ব্যক্তি’ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে দুই দেশের দূতাবাসে কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০ জনে আনা হবে।

এরপর আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের সরকার পাকিস্তানের সরকারি এক্স অ্যাকাউন্টটি ভারতে বন্ধ করে দিয়েছে, যা এই ঘটনার পর ষষ্ঠ ও উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এই পদক্ষেপগুলো ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের প্রতি মারাত্মক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, অঞ্চলজুড়ে কূটনৈতিক ও নিরাপত্তাজনিত উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র : আনন্দবাজার, এই সময়

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ভারত নিজেরাই হামলা করে নাটক সাজিয়েছে : সাইফুল্লাহ খালিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারত নিজেরাই হামলা করে নাটক সাজিয়েছে : সাইফুল্লাহ খালিদ
সংগৃহীত ছবি

ভারতশাসিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনাকে নিজেদের সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন লস্কর-ই-তৈয়বার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ খালিদ ওরফে সাইফুল্লাহ কাসুরি। খবর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফিন্যানশিয়াল এক্সপ্রেস ও আনন্দবাজারের। 

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা যায়নি) সাইফুল্লাকে বলতে শোনা যায়, ‘ভারত নাটক করছে। ওরা নিজেরাই এই হামলা করিয়েছে।

পেহেলগামে হামলার সঙ্গে পাকিস্তান বা তার কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্র নেই।’ 

ভিডিওতে তিনি আরো বলেন,  ‘জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানাই আমরা। এই হামলার অজুহাতে ভারতীয় মিডিয়া আমাকে দায়ী করেছে। পাকিস্তানকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এটি একটি দুঃখজনক বিষয়। ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে চায়। সে একজন ভয়ংকর শত্রু। ভারতই কাশ্মীরে ১০ লাখ সেনা পাঠিয়ে যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করেছে।
ভারত নিজেই পেহেলগামে আক্রমণ চালিয়েছে এবং এর জন্য তারা দায়ী। এটা তার ষড়যন্ত্র। এর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পর্ক নেই।’ 

তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের ধারণা, মঙ্গলবার পেহেলগামের জঙ্গি হামলার মূল হোতা ছিলেন সাইফুল্লাহ খালিদ। তার নির্দেশেই পাঁচ-ছয়জন জঙ্গি মঙ্গলবার দুপুরে বৈসরন উপত্যকায় নির্বিচারে গুলি চালায়।

তবে এসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে হামলার দায় এড়িয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। 

মঙ্গলবার দুপুরের ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনার দায় নিয়েছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতির আবহে জন্ম হয়েছিল এই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর। 

আরো পড়ুন
বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

 

সে সময় লস্কর-ই-তৈয়বার ‘ছায়া সংগঠন’ হিসেবে উঠে আসে টিআরএফ। আর সাইফুল্লাহ ছিলেন এই সংগঠনের অন্যতম প্রধান। তাই টিআরএফ হামলা চালালেও পুরো পরিকল্পনাই করেছিলেন সাইফুল্লাহ, এমনই মনে করছিল ভারতের গোয়েন্দা সূত্র। 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ