<p>লেবাননে একযোগে কয়েক হাজার পেজার বা যোগাযোগের যন্ত্র বিস্ফোরণে গত মঙ্গলবার দুটি শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। আহত দুই হাজার ৭৫০ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। মূলত নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য এসব পেজার ব্যবহার করে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। আর ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ এসব পেজারে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দিয়েছিল। মঙ্গলবার মোসাদ এগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায় বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম দাবি করছে।</p> <p>লেবানের একটি ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, মাসখানেক আগে পেজারগুলো লেবাননে আনা হয়।</p> <p>ইসরায়েল ও মার্কিন সূত্র বলছে, হিজবুল্লাহ পরিকল্পনা জেনে গেছে, এমন আশঙ্কার কারণে পরিকল্পিত সময়ের আগেই পেজারগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায় ইসরায়েল।</p> <p>চলতি বছরের শুরুতে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করার পর পেজার ব্যবহার শুরু করে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটির ভাষ্য, পেজার ব্যবহার করলে সহজে অবস্থান শনাক্ত করা যায় না। বিস্ফোরিত পেজারগুলো তাইওয়ানের একটি প্রতিষ্ঠানের বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাইওয়ানভিত্তিক গোল্ড অ্যাপোলো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, পেজারগুলো একটি হাঙ্গেরীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি।</p> <p>লেবাননে এই প্রাণঘাতী হামলার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। রাশিয়া, তুরস্ক, মিসরসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।</p> <p>যদিও বিস্ফোরণের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সূত্র : বিবিসি</p> <p> </p> <p> </p>