<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এয়ারপডই হোক আর কনসার্ট হলই হোক, ওখান থেকে যন্ত্রসংগীতের সুর ভেসে আসা বিচিত্র কিছু নয়। কিন্তু সুরটা যদি মহাকাশে অনুরণিত হয়, সেটার গর্ব ও উচ্চতা ভিন্ন মাপের হতে বাধ্য। আবুধাবিভিত্তিক সংগীতশিল্পী নাদিন কাব্বানির লাইভ রেকর্ডিং পিয়ানো বাদন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নো গ্রাভিটি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) নভোচারীরা সরাসরি উপভোগ করেন। কাব্বানির বিশ্বাস, তার পিয়ানো কম্পোজিশন নভোচারীদের ভালো লেগেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, আইএসএসে গবেষণারত নভোচারীরা মাঝে মাঝে গান অথবা যন্ত্রসংগীত শোনেন। এ জন্য রয়েছে এস্টোবিট নামের একটি প্রতিযোগিতা। ওখানে টিকলে পৃথিবী থেকে নির্ধারিত পন্থায় তা শোনানো হয় নভোচারীদের। এই আমিরাতি কন্যা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি ডক্টর লিওনার্দো ব্যারিলাদোর শিল্পকর্ম নিয়ে গবেষণা করেছি। তার সংগীত আমার মনে ভীষণ রেখাপাত করে। তার সৃষ্টি আমাকে আবেগে ভাসায়। মনে মনে তার মতো একটা কিছু করে দেখানোর প্রত্যয় নিয়ে আমি এগিয়ে চলেছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংগীতের প্রতি উপমাবিহীন আকর্ষণের ফলই হচ্ছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নো গ্রাভিটি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। বলা হচ্ছে, পিয়ানো নিষ্প্রাণ তার যখন কাব্বানির আঙলের আলতো ছোঁয়ায় জীবন্ত হয়ে ওঠে, মনে তখন মহাকাশীয় ওজনহীনতা চেতনা জেগে ওঠে। কাব্বানির ভাষায়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটাও এক ধরনের মহাকাশ ভ্রমণ, মননে, অনুভূতিতে আর চেতনায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আর একটু এগিয়ে বেশ খানিকটা আবেগ ঢেলে এই আমিরাতি নন্দিনী বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি চেয়েছি, নভোচারীরা হৃদয়ের সবটুকু আবেগ উজাড় করে দিয়ে মহাশূন্যের থিম উপলব্ধি করার লক্ষ্যে আমার পিয়ানো বাদন মন দিয়ে শুনুক। মহাকাশে একাকিত্ব অনুভূত হবেই। তার পরও মহাকাশ সুন্দর ও অসীম। এবং আমি আমার পিয়ানো বাদনে সেটাই জীবন্ত করতে চেয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির আগে যন্ত্রসংগীতে কাব্বানি ছিলেন নিজেই নিজের গুরু। তাকে শেখানোর কেউ ছিল না। বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভার্সিটিতে যেদিন থেকে হাতে-কলমে পাঠ নিলাম, সেদিন থেকে আমি মন দিয়ে যন্ত্রের আওয়াজ শুনি। কান দিয়ে শুনলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু যে সুর মন দিয়ে ঢোকে, সেটা ভিন্ন মাত্রার অনুভূতি জাগাতে পারে মনের সব অচেনা বন্দরে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কাব্বানি বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুর রচনা আর লাইভ রেকর্ডিং এক জিনিস নয়। লাইভ রেকর্ডিংয়ে অখণ্ড মনোযোগ নিশ্চিত করতে না পারলে অনুভূতির সংক্রমণশীলতা তৈরি করা সম্ভব নয়। আঙলের প্রতিটি আঁচড় এখানে গুরুত্বপূর্ণ। বারবার মনে হচ্ছিল, হয়তো লাইভ রেকর্ডিংটা মাটি করে দেব। কিন্তু ওস্তাদ আর সহকর্মীদের অফুরান উৎসাহ আমাকে সাহস জুগিয়েছে।          সূত্র : খালিজ টাইমস</span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>