<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গোষ্ঠী সংঘাতে উত্তপ্ত মণিপুর। এর মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাড়ির কাছেই মিলল বোমা। এই ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী বীরেনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কিভাবে ওই বোমা সেখানে এলো, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইম্ফল পূর্ব জেলার লুয়াংশাংবামে বীরেন সিংয়ের বাড়ির অদূরে মর্টার বোমা উদ্ধার হয়। তবে এটি মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন নয়। তার ব্যক্তিগত এই বাড়িতে মাঝেমধ্যেই এসে থাকেন বীরেন। বোমা উদ্ধারের সময় বীরেন সেই বাড়িতে ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ সূত্রে আরো জানা গেছে, ৫১ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের বোমাটি স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার সকালে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয়দের একাংশের অনুমান, গত সোমবার রাতে বোমাটি কেউ নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে ছুড়েছিল। কোনো কারণে সেটি ফাটেনি। তবে বোমাটি ফাটলে বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রসঙ্গত, মাঝে কিছু দিনের বিরতির পর গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে মণিপুরে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে প্রচুর গোলাবারুদ ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ এবং আধাসেনার যৌথ বাহিনী।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে মণিপুরে জাতিগত দাঙ্গা নিয়ে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোপন প্রতিবেদন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> চেয়েছেন ভারতের শীর্ষ আদালত। গত সোমবার মণিপুর সরকারের কাছে এই রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। মুখবন্ধ খামে আদালতে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের কড়া নির্দেশ, মণিপুরে যে জাতিগত দাঙ্গা চলছে, তার ফলে কত সম্পত্তিহানির ঘটনা ঘটেছে, তা বিস্তারিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শীর্ষ আদালত নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, জাতিগত দাঙ্গা চলাকালীন মণিপুরে কতগুলো বাড়ি বা বহুতল ভবন আগুনে পুড়ে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে, কতগুলো বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কতগুলো বাড়িতে এবং কোথায় কোথায় লুটপাট চালানো হয়েছে, সেই লুট হওয়া সম্পদের পরিমাণ কত, এই সময়ের মধ্যে কতগুলো অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে এবং কত সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয়েছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সব কিছুর বিস্তারিত তথ্য আদালতে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোপন তথ্য</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে জমা করতে হবে রাজ্য সরকারকে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখানেই শেষ নয়। মণিপুর দাঙ্গায় কত নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং আক্রান্ত হয়েছেন, তারও একটা হিসাব তলব করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেকটি ঘটনার ক্ষেত্রে সেই সম্পত্তির প্রকৃত মালিকদের নাম ও তাদের ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা, হিন্দুস্তান টাইমস</span></span></span></span></p>