সংকটের সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের একটি বিশেষ দায়িত্ব পালনের রীতি আছে, যাকে বলা হয় কনসোলার-ইন-চিফ। গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের প্রেস রুমের ক্যামেরার সামনে সেই দায়িত্ব পালন করতেই দাঁড়িয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
কনসোলার-ইন-চিফের প্রচলিত বাংলা না থাকলেও প্রধান সান্ত্বনাদানকারী ব্যক্তি হিসেবে একে বর্ণনা করা যেতে পারে। সংকটের মুহূর্তে জনগণকে সান্ত্বনা ও আশ্বাসের বাণী শোনানো তাঁর কাজ।
ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি যাত্রীবাহী জেট বিমানের সঙ্গে সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, পুরো যুক্তরাষ্ট্র শোকাহত। দুর্ঘটনার পর প্রাথমিকভাবে উদ্ধার তৎপরতায় সাড়া দেওয়া ব্যক্তি ও ভুক্তভোগীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ট্রাম্প।
তিনি বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার কারণ জানি না আমরা।
তবে বেশ কিছু দৃঢ় ধারণা ও মতামত পাওয়া যাচ্ছে। তাঁর অনুমান, বারাক ওবামা এবং জো বাইডেনের আমলে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে নিম্নমানের এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলার নিয়োগই এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।’
এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই এর কারণ হিসেবে তাঁদের সেই বক্তব্যকেই সামনে নিয়ে এলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট, পরিবহন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
একজন সাংবাদিক জানতে চান, তদন্ত মাত্র শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই কিভাবে ডাইভারসিটি প্রগ্রামকে দোষ দিচ্ছেন? জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার সাধারণ জ্ঞান আছে।’ পরে অবশ্য তিনি জানান, দুর্ঘটনার কোনো নিশ্চিত কারণ জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি যাত্রীবাহী জেট বিমানের সঙ্গে একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই বিমানের কোনো আরোহীই বেঁচে নেই বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে তিনজন মার্কিন সেনা ছিলেন।
গতকাল পর্যন্ত ২৮ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা। এর মধ্যে ২৭ জন বিমানের, একজন হেলিকপ্টারের আরোহী ছিলেন। সূত্র : বিবিসি