দলছুট : শুরুতেই কঠিন প্রশ্ন। অভিনয় কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?
দিব্য—এখনো শিখছি। কঠিন প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে পাইনি। নতুন নতুন কাজ করার ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখে চলেছি।
দলছুট : শুরুতেই কঠিন প্রশ্ন। অভিনয় কাকে বলে? কত প্রকার ও কী কী?
দিব্য—এখনো শিখছি। কঠিন প্রশ্নটার উত্তর খুঁজে পাইনি। নতুন নতুন কাজ করার ফলে প্রতিদিন নতুন নতুন জিনিস শিখে চলেছি।
সৌম্য—অভিনয় কত প্রকার—এটা তো বই-পুস্তকের প্রশ্ন। ডিগ্রিপ্রাপ্ত অভিজ্ঞরা বলতে পারবেন। আমরা তো নতুন। তবে এটা জানি, অভিনয়ে শেখার শেষ নেই।
দলছুট : টিভি নাটকে অভিনয় করতে গিয়ে ডায়ালগ মুখস্থ হচ্ছে না কিছুতেই। কী করবে?
দিব্য—প্রথমে ডায়ালগের মিনিংটা পরিচালক বা সহশিল্পীদের থেকে ভালো করে বুঝে নেব। মিনিং না বুঝলে মুখস্থ হবে কী করে! আর একেবারেই যদি না হয়, তাহলে পরিচালক বুঝবেন সেটি। আমার কিছু করার নেই।
সৌম্য—মুখস্থ বিদ্যা ভালো নয়। আমি যে তিনটা নাটক করেছি, তাতে ডায়ালগ মুখস্থ করার চেষ্টাই করিনি। আর যদি একান্তই করতে হয়, তবে ছোট ছোট চিরকুটে সংলাপ লিখে নেব।
দলছুট : একটা ভিলেন টাইপ ডায়ালগ শুনতে চাই।
দিব্য—আরে... তুই কত বড় মাস্তান হয়েছিস দেখে নেব!
সৌম্য : আমি ভালো হয়ে কী করব, পুরো দুনিয়াটাই খারাপ হয়ে গেছে!
দলছুট : যমজ চরিত্রে ডাক পড়ে?
দিব্য ও সৌম্য—ইদানীং দুটি নাটক প্রচারের পর মা-বাবার সঙ্গে অনেকে ডেকেছে যমজ চরিত্রে কাজ করতে।
দলছুট : শুটিংয়ের মাঝপথে ধরো একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে। ওই চরিত্রে অন্যজনকে দিয়ে কাজ চালানো যাবে? এমন কোনো অভিজ্ঞতা আছে?
দিব্য—আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। ওর ইমপালস আমি বুঝি। হয়তো বা করতে পারব। কাজ চলে যাবে আশা করি।
সৌম্য—মনে হয় না সমস্যা হবে। আমার কাউকে জিজ্ঞেস করতে হয় না, আমাকে দেখতে কেমন লাগছে। আমি ওকে দেখলেই বুঝতে পারি আমাকে কেমন লাগছে।
দলছুট : মঞ্চে উঠে হঠাৎ হেঁচকি শুরু হলো। কী করবে?
দিব্য—সঙ্গে যে অভিনয় করবে, তার দিকে তাকিয়ে ইমপ্রোভাইজ করে একটা ডায়ালগ দেব, তোর জন্যই আজ আমার হেঁচকি শুরু হলো!
সৌম্য—হেঁচকিকেই ক্যারেক্টারাইজেশন করে নেব।
দলছুট : জীবনটা যদি টেলিফিল্ম হয়ে যায়, কোন চরিত্র বেছে নেবে?
দিব্য—টেলিফিল্ম হোক, রিয়েল লাইফ হোক, সচ্চরিত্র চাই।
সৌম্য—যে চরিত্র খুব বেশি লাইমলাইটে আসে না, ওটাই। যে সব সময় হিরোর নিচে থাকে, কিন্তু তার নিজের একটা ক্যালিবার থাকে, তাকে বেছে নেব।