<h3><strong>সপ্তম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের পঞ্চম অধ্যায়ে ‘লোহিত রক্তকণিকা’র কথা উল্লেখ আছে]</strong></h3> <p>রক্তের সর্বপ্রধান কোষ বা কণিকা লোহিত রক্তকণিকা। এর জন্যই রক্তের রং লাল দেখায়। এর মূল কাজ হচ্ছে অক্সিজেন পরিবহন করা। পরিণত লোহিত রক্তকণিকাগুলো নিউক্লিয়াস-বিহীন। নিউক্লিয়াস না থাকায় লোহিত কণিকা বেশি বেশি হিমোগ্লোবিন ধারণ করতে পারে আর আকৃতিও দ্বি-অবতল হয়।</p> <p>প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকায় প্রায় ২৭০ মিলিয়ন হিমোগ্লোবিন অণু থাকে। এই হিমোগ্লোবিনের মাধ্যমেই দেহের ৯৮ শতাংশ অক্সিজেন পরিবাহিত হয়। বাকি ২ শতাংশ বহন করে রক্তরস। অক্সিজেন হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সি-হিমোগ্লোবিন গঠন করে।</p> <p>মানবদেহে প্রতি সেকেন্ডে ২.৪ মিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা উৎপন্ন হয়। কণিকাগুলো অস্থিমজ্জায় উৎপত্তি লাভ করে এবং সমগ্র দেহে ১০০ থেকে ১২০ দিন সংবহনের পর এগুলো পরিত্যক্ত হয়ে যায়। একটি লোহিত কণিকার সমস্ত দেহ ঘুরে আসতে প্রায় ২০ সেকেন্ড লাগে। মানবদেহের কোষগুলোর প্রায় এক-চতুর্থাংশই হলো লোহিত রক্তকণিকা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের দেহে ২০ থেকে ৩০ ট্রিলিয়ন লোহিত রক্তকণিকা থাকে।</p> <p>শরীরে লোহিত কণিকাসংক্রান্ত বিভিন্ন রোগের মধ্যে আছে অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা, হিমোলাইসিস বা লোহিত কণিকাগুলোর অতিরিক্ত ভাঙন, ইত্যাদি।</p>