<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লোহিত গ্রহ মঙ্গলের বুকে একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল, এমন একটি জায়গা খুঁজে পেয়েছে নাসা প্রেরিত রোবট যান পারসিভিয়ারেন্স (ডাকনাম পার্সি)। এটি মোটরগাড়ি আকারের মঙ্গল গ্রহ পরিভ্রামক যান, যা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার মার্স ২০২০ অভিযানের অংশ হিসেবে মঙ্গল গ্রহের ইয়েজেরো নামক খাদে অনুসন্ধান পরিচালনা করতে নকশা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি নির্মিত এই যানটিকে ২০২০ সালের ৩০ জুলাই উৎক্ষপণ করা হয়। ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে পরিভ্রামক যানটির সফল অবতরণ নিশ্চিতকারী তথ্য পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর এর হিসাবে পারসিভিয়ারেন্স মঙ্গল গ্রহে এক হাজার ৩৫৭ মঙ্গলদিবস (এক হাজার ৩৯৫ দিন) ধরে অবস্থান করছে। পারসিভিয়ারেন্সে রয়েছে সাতটি বৈজ্ঞানিক উপকরণ। এটিতে ১৯টি ক্যামেরা ও দুটি মাইক্রোফোন আছে। এ ছাড়া রয়েছে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইনজেনুইটি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের একটি ক্ষুদ্র হেলিকপ্টার। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞানীরা এই রোবট যান প্রেরিত ডেটা বিশ্লেষণ করে ধারণা পেয়েছেন, মঙ্গলীয় প্রাণের চিহ্ন ঠিক এই জায়গাটিতে পাওয়ার সম্ভাবনা অতি প্রবল। সম্প্রতি আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের সভায় ভূ-রসায়নবিদ কেনেথ ফারলি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পারসিভিয়ারেন্স এমন কতগুলো পাথরের গঠন প্রক্রিয়া জানার চেষ্টা করছে, যার মাধ্যমে জানা সম্ভব হবে এই সৌরজগতের ইতিহাস, বিশেষত সৃাষ্টির সূচনালগ্নে এই সৌরজগত্টা কেমন ছিল।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মঙ্গলের পাথরগুলোর বয়স ৩৭০ কোটি বছরের কাছাকাছি। কিন্তু পারসিভিয়ারেন্স ওখানকার একটি জ্বালামুখের উপরিভাগে এমন কতগুলো পাথরের সন্ধান পেয়েছে, যেগুলোর বয়স ৪০০ বছরের বেশি। এগুলো পৃথিবীর যেকোনো পাথরের চেয়ে পুরনো। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেনেথ ফারলি বলেন, মঙ্গলের বুকে এর আগে এ ধরনের পুরনো পাথর শনাক্ত করা যায়নি। কিছু পাথর সম্ভবত পানির তীব্র প্রবাহের কারণে ক্ষয়ে গেছে। এ কারণে ধারণা করা হচ্ছে, লোহিত এই গ্রহটির এই জায়গায় একসময় প্রাণের অস্তিত্ব ছিল। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পারসিভিয়ারেন্স এখন যেখানে পাথর সংগ্রহের মাধ্যমে গবেষণা চালাচ্ছে, বিজ্ঞানীরা সেই জায়গাটির নাম রেখেছেন পিকো টারকিউনো হিল। এরপর এটি পরবর্তী ছয় মাস অনুসন্ধান চালাবে উয়িচ হ্যাজেল হিল এলাকায়। সূত্র : সায়েন্স ডেইলি.কম</span></span></span></span></span></p> <p> </p>