<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    ভাবসম্প্রসারণ : বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্র সম্মানিত। কিন্তু দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির লোক বিদ্বান </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    হলেও সে সমাজের দুশমন। সবাই তাকে ঘৃণা করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    বিদ্যার মতো মূল্যবান সম্পদ আর নেই। বিদ্বান </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    ব্যক্তিকে সবাই সম্মান করে। বিদ্বানের সংস্পর্শে এলে জ্ঞানের আলোয় মন আলোকিত হয়। এতে চরিত্র গঠনের সুযোগ ঘটে। বিদ্যার আলোয় মানুষের জীবনের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়। বিদ্যা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। বিদ্বানের ভূমিকায় সমাজ ও দেশ সমৃদ্ধির আলোয় আলোকিত হয়। বিদ্যার সম্মোহনী শক্তি যেমন ব্যক্তিজীবন থেকে দূর করে সংকীর্ণতা ও কলুষতার অন্ধকার, তেমনি তা সমাজকেও করে প্রগতির আলোয় আলোকিত। কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির হয়, তবে তার অর্জিত বিদ্যার কোনো মূল্য থাকে না। সমাজ, দেশ বা জাতি কেউ এদের দ্বারা উপকৃত হয় না। সবাই তাকে ঘৃণা করে। এ প্রসঙ্গে জনৈক দার্শনিকের মন্তব্য এখানে প্রণিধানযোগ্য : </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘Every man has five sense. Commomsense is none of them. But without it a man turns into a nonsense.’ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় (নাক, কান চোখ, জিহ্বা ও ত্বক) আছে। বিবেক এই ইন্দ্রিয়গুলো থেকে আলাদা। কিন্তু এটা ছাড়া একজন মানুষ পশুতে পরিণত হয়ে যায়। অর্থাৎ দুর্জন বিদ্বান হলেও সে বিবেকহীন পশুর মতো হয়ে যায়। দুর্জন ব্যক্তি সাপের সঙ্গে তুলনীয়। তার অর্জিত বিদ্যার তুলনা করা চলে সাপের মাথার মণির সঙ্গে। মানুষ সাপকে ভয় করে। কাছে গেলেই জীবননাশ সুনিশ্চিত। প্রাণনাশের ভয়ে কেউ সাপের মাথার মূল্যবান মণি আনতে সাহস পায় না। বিদ্বান ব্যক্তি যদি খারাপ প্রকৃতির হয়, তবে সে-ও সাপের মতো ভয়াবহ। তার কাছ থেকে বিদ্যা লাভের প্রত্যাশা জীবননাশ তথা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    সমাজে দুর্জনের স্থান নেই। সে বিদ্বান হলেও সর্বত্র ঘৃণিত ও পরিত্যাজ্য।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">    আড়ালে তার সূর্য হাসে।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাবসম্প্রসারণ : অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নানা বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করে মানুষকে অগ্রসর হতে হয়। মেঘাছন্ন আকাশে মেঘের অন্তরালে সূর্য ঢাকা পড়লে তাতে বিব্রত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এটা ক্ষণিক বাধা ছাড়া আর কিছুই নয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষের জীবন হলো সুখ ও দুঃখ দিয়ে গাঁথা এক বিচিত্র মালার মতো। নিরবছিন্ন সুখ কিংবা দুঃখ কোনো মানুষের জীবনে স্থায়ী হয় না। তার জীবনে যখন আসে দুঃখের অমারাত্রি, দুঃখ-বেদনা তখন অসহ্য বোধ হয়। মনে হয় সে দুঃখ-রজনীর বুঝি শেষ নেই। কিন্তু অবশেষে তার দুঃখ-বেদনার সেই অমারাত্রির অবসান হয়। পূর্ব দিগন্তে উদিত হয় সুখের সূর্য। কিন্তু সে সুখও তার ভাগ্যে চিরস্থায়ী হতে পারে না। নদীর জোয়ার-ভাটার মতো তার জীবনে আবার আসবে দুঃখ, দুঃখের পর সুখ। কখনো কখনো আবার মানুষের জীবনের আকাশে জমাট বাঁধে দুঃখ এবং আপদ-বিপদের ঘন কালো মেঘ। মাথার ওপর ভেঙে পড়ে ঝড়ঝঞ্ঝা, বজ্রপাত। অসহায় মানুষ সে ঘোর বিপদের কালো মেঘ দেখে ভয়ে বিহ্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু সেই ঝটিকাসংকুল ভয়াল অন্ধকারের আড়ালে লুকিয়ে থাকে তার সুখের সূর্য। অচিরে সেই কালো মেঘ কেটে গিয়ে দেখা যাবে সূর্যের মুখ। বিপদ-বাধা কেটে গিয়ে দেখা দেবে নতুন সূর্যোদয়। কাজেই দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-বাধা সাময়িক। তা দেখে মানুষের ভয় পাওয়া বা বেদনায় ভেঙে পড়া উচিত নয়। ইতিহাস সাক্ষী, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালিরা পাকিস্তানিদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে অনেক কষ্ট করলেও পরে স্বাধীনতা অর্জন করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষের পার্থিব জীবন সংঘাতপূর্ণ, তথাপিও এখানে হতাশ হওয়ার কিছু নেই; বরং ধৈর্য না হারিয়ে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যেতে পারলেই জীবন হয়ে উঠবে সার্থক ও সাফল্যমণ্ডিত।</span></span></span></span></p>