<p>এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১০৮ দেশের মধ্যে ৬০টি দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা সব মানুষের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে যেকোনো বন্দর দিয়ে প্রবেশকারী কোনো ব্যক্তির শরীরে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো কোনো উপসর্গ থাকলে তাকে বন্দর থেকেই সরকারি ব্যবস্থায় হাসপাতালের আইসোলেশনে বা সরকারি কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হবে। আর ৬০ দেশের যেকোনো দেশ থেকে আসা সুস্থ (ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আসার সময় কোনো উপসর্গ না থাকলেও) ব্যক্তির সবাইকে ১৪ দিন নিজ বাসাবাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।</p> <p>গত ২১ জানুয়ারি থেকে প্রথমে চীন, পরে ছয়টি দেশ এবং সব শেষে ৬০ দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য এ নির্দেশনা দেয় সরকার। এমনকি বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দর দিয়ে প্রবেশের সময় তাদের প্রত্যেকের ঠিকানা-পরিচয়, ফোন নম্বর রেখে একটি হেলথ কার্ড দিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিদিন এ যাত্রীর সংখ্যা তিন হাজারের কাছাকাছি বলে জানা যায়। এ হিসাবে গত এক সপ্তাহে এই প্রক্রিয়ায় বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা আনুমানিক ২০-২১ হাজার মানুষের। তবে বাস্তবে এ মানুষগুলো যথাযথভাবে নিজেদের কোয়ারেন্টাইন করছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ২১ জানুয়ারি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে এসেছেন মোট পাঁচ লাখ ৫২ হাজার ৭৪৬ জন। </p> <p>সরকারের দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ তাদের কতজনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বা ওই যাত্রীরাও কতজন যোগাযোগ করছে কিংবা কার্যকর পর্যবেক্ষণ হচ্ছে কি না, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কালের কণ্ঠ’র মাঠপর্যায়ের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে বেশির ভাগ যাত্রীই বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশিকা পালন করছে না। এমনকি কাউকে কাউকে পরিচিতজনরা পথেঘাটে দেখছেন বলেও জানিয়েছেন কালের কণ্ঠকে।</p> <p>প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সবাই কোয়ারেন্টাইন পালন করছে কি না, সেটা নিয়মিত মনিটর করা খুবই জরুরি। যদি কোয়ারেন্টাইনের বাস্তবায়ন সঠিকভাবে কার্যকর করা না হয় তবে তো এ ভাইরাস আরো ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবেই। এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরো কঠোর কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে। মাঠ পর্যায়ে কমিটির মাধ্যমে নজরদারি বাড়াতে হবে। শুধু প্রেস বিজ্ঞপ্তি বা ব্রিফিংয়ে নির্দেশনা না দিয়ে উপযুক্ত প্রজ্ঞাপন বা সরকারি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেও হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থাটি যে জনস্বার্থে বাধ্যতামূলক, তা সবাইকে জানানো উচিত।</p> <p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা ও আইইডিসিআরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, পুরো বিষয়টিই অনেকটা ঢিলেঢালা বলে মনে হয়। বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই নিজের এবং অন্যদের সুরক্ষায় নির্দেশনা মানতে হবে। আবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও এসব ব্যক্তিকে সব কিছু উপযুক্ত মাত্রায় বুঝিয়ে দিতে হবে। এর পরও যদি এই বিদেশফেরত ব্যক্তিরা তা না মানে সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কঠোর হওয়া যায়। অনেকে দেশেই বাড়িতে থাকা কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশনা ভঙ্গ করলে জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তিও প্রচলন করেছে।</p> <p>তিনি বলেন, কিন্তু এসব বিষয়ে আগে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ভালো করে পরিকল্পনামাফিক সিদ্ধান্ত দরকার। এ ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল কমিটি বা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়াও জরুরি।</p> <p>এদিকে গতকাল আইইডিসিআরের ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বিভিন্ন দপ্তরের প্রতি এ আহ্বান জানান যে যাঁরা করোনাভাইরাসজনিত কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন, তাঁদের ছুটিতে না রেখে বরং নিজ বাসাবাড়িতে বসে অফিসের কাজ করার সুযোগ দেওয়া হোক। এতে সবারই উপকার হবে।</p> <p>এদিকে হোম কোয়ারেন্টাইনের ঢিলেঢালা অবস্থা কাটাতে গতকাল বুধবারই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আমরা মেয়র, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদে চিঠি দিয়েছি, যাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বিষয়টির প্রতি নজর রাখতে পারেন।</p> <p>মহাপরিচালক বলেন, আমরা মানুষকে সাবলীলভাবেই বুঝিয়ে, নির্দেশনা দিয়ে তাদের নিজের স্বার্থে এবং অন্যদের স্বার্থে স্বেচ্ছা বা গৃহ কোয়ারেন্টাইন পালনের জন্য বলেছি। মানুষকে সচেতন ও সর্তক করে যাচ্ছি। কঠোর কোনো আইনি পদক্ষেপে যেতে চাইনি। কিন্তু চাইলে আমাদের সেই সুযোগ আছে। জনস্বার্থে সেটা আমরা করতে পারি। কিন্তু আমরা মানুষকে ভয় দেখিয়ে তেমন কিছু করতে চাইছিলাম না। তবু বেশির ভাগ মানুষের স্বার্থে যদি আমাদের কিছুটা কঠোর হতে হয় সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে পারি।</p> <p>আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা বিষয়টি শক্তভাবে পালন করাতে পারছি না। সারা দেশে ঠিক কত সংখ্যক বিদেশফেরত ‘হোম বা সেলফ কোয়ারেন্টাইনে’ আছেন তার সঠিক হিসাব আমাদের কাছে নেই।</p> <p>যাদের জন্য কোয়ারেন্টাইন : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসারে বাসাবাড়িতে কোয়ারেন্টাইনের জন্য বাংলায় একটি নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের  (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির যদি জ্বর (১০০ ফারেনহাইট/৩৮০ সেলসিয়াসের বেশি), কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি থাকে এবং তিনি বিগত ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্ত কোনো দেশ ভ্রমণ করে থাকেন অথবা ওই সময়সীমার মধ্যে নিশ্চিত, সম্ভাব্য কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসে থাকেন, তবে ওই ব্যক্তিও কভিড-১৯ আক্রান্ত ‘সন্দেহজনক রোগী’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।</p> <p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কভিড-১৯ আক্রান্ত সন্দেহ করা রোগীদের পৃথককরণ, চিকিৎসা ও মনিটরিং হাসপাতালে নিতে হবে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ চিকিৎসাসেবা ব্যবস্থা যদি অপ্রতুল হয় অথবা রোগী যদি হাসপাতালে থাকতে রাজি না হয় সে ক্ষেত্রে রোগীকে বাড়িতে স্বাস্থ্যসেবা পরিচর্যার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।</p> <p>সে ক্ষেত্রে রোগীর যদি মৃদু সংক্রমণ যেমন শুধু অল্প জ্বর, কাশি, গায়ে ব্যথা, সর্দি, গলা ব্যথা থাকে (কোনো বিপদ চিহ্ন, শ্বাসকষ্ট, অতিরিক্ত কফ, কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, ডায়ারিয়া অথবা বমি বা তার ভাব, মানসিক অবস্থার পরিবর্তন—নিস্তেজভাব, ঘোরের ভেতর থাকা ইত্যাদি না থাকে) এবং অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, যেমন—শ্বাসতন্ত্র বা হৃদেরাগের সমস্যা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে এমন অসুস্থতা না থাকে, তবে তাঁরা বাড়িতে স্বাস্থ্যসেবা-পরিচর্যা পেতে পারেন।</p> <p>কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে যাদের আর হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই, তাদের জন্যও একই নীতি প্রযোজ্য। স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রতিদিন ফোনে অথবা সম্ভব হলে বাড়িতে গিয়ে তাদের বর্তমান শারীরিক অবস্থা ও উপসর্গের অবনতি হচ্ছে কি না খোঁজখবর নেবেন।</p> <p>বাড়ির কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় পালনীয় : বাইরের কোনো অতিথির সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করা যাবে না। ব্যক্তিগত ব্যবহার্য সামগ্রী, খাওয়ার থালা, গ্লাস, কাপ, তোয়ালে, বিছানার চাদর অন্য কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে না। এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের পর সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেওয়া ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না; গণপরিবহন ব্যবহার, অন্যদের সঙ্গে একই যানবাহন অথবা ট্যাক্সি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে, বাড়ির অন্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে, আলো বাতাসের সুব্যবস্থা সম্পন্ন আলাদা ঘরে থাকতে হবে; তা সম্ভব না হলে অন্যদের থেকে অন্তত এক মিটার (তিন ফুট) দূরে থাকতে হবে (ঘুমানোর জন্য পৃথক বিছানা ব্যবহার করতে হবে)। যদি সম্ভব হয় আলাদা গোসলখানা ও টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব না হলে অধিকতর সতর্কতা ও জানালা খুলে রাখা যেতে পারে। বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন এমন মায়েরা বুকের দুধ খাওয়াবেন। তবে শিশুর কাছে যাওয়ার সময় মাস্ক ব্যবহার এবং ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।</p> <p>অন্যদিকে নিজের উপসর্গগুলো সতর্কতার সঙ্গে খেয়াল করা, জ্বর থাকলে নিয়মিত তাপমাত্রা পরিমাপ করা, যদি নতুন উপসর্গ দেখা দেয় বা আগের উপসর্গের অবনতি হয় (যেমন শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়), তবে অতি দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর কাছে যাওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে জানাতে হবে যে তিনি কভিড-১৯-এর সন্দেহভাজন রোগী। এতে অন্য সুস্থ ব্যক্তিরা যেন আক্রান্ত না হয়, সংস্পর্শে না আসে এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর পক্ষে সাবধানতা অবলম্বন করা সম্ভব হবে। এ ছাড়া যাতায়াত ও  স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।</p> <p>গণপরিবহন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সম্ভব হলে অ্যাম্বুল্যান্স, নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে এবং যাওয়া-আসার সময় পরিবহনের জানালা খোলা রাখতে হবে। সর্বদা শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্যবিধি (বিশেষ করে কাশি শিষ্টাচার) মেনে চলতে হবে, চলাচলের সময় ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অবস্থানকালে অন্যদের থেকে এক মিটার (তিন ফিট) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। শ্বাসতন্ত্র—অন্য কোনো প্রদাহের (সর্দি, থুতু, কাশি, বমি ইত্যাদি) কারণে যদি যানবাহনের কোনো অংশ নোংরা হয় তবে তা জীবাণুমুক্ত করতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মুখে মাস্ক পরা সম্ভব না হলে (যদি মাস্কের কারণে শ্বাসকষ্ট হয়) বাড়ির অন্য সদস্যরা ঘরে প্রবেশের আগে মুখে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক পরে থাকার সময় সেটি হাত দিয়ে ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের সময় প্রদাহের (সর্দি, থুতু, কাশি, বমি ইত্যাদি) সংস্পর্শে এলে সঙ্গে সঙ্গে মাস্ক খুলে ফেলতে হবে এবং নতুন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। মাস্ক ব্যবহারের পর ঢাকনাযুক্ত ময়লার পাত্রে ফেলতে হবে এবং সাবান-পানি দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।</p> <p>কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় প্রয়োজনে পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ফোন-মোবাইল-ইন্টারনেটের সাহায্যে যোগাযোগ রক্ষা করা যাবে। শিশুদের পর্যাপ্ত খেলার সামগ্রী দিতে হবে এবং খেলনাগুলো পরে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। দৈনন্দিন রুটিন অনুসারে খাওয়া, হালকা ব্যায়াম করতে অসুবিধা নেই। মনকে প্রশান্ত রাখতে হবে। সময় কাটানোর জন্য বইপড়া, গান শোনা, সিনেমা দেখা যেতে পারে। পরিচর্যাকারীদের জন্য নির্দেশাবলি : সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিবারে যারা সুস্থ আছে এমন কাউকে পরিচর্যাকারী হিসেবে নিয়োজিত করা ভালো। পরিচর্যাকারী রোগীর সংস্পর্শে গেলে বা তার ঘরে ঢুকলে; খাবার তৈরির আগে ও পরে, খাবার আগে, টয়লেট ব্যবহারের পরে, গ্লাভস পরার আগে ও খোলার পরে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। রোগীর পরিচর্যার সময় এবং রোগীর মল-মূত্র বা অন্য আবর্জনা পরিষ্কারের সময় একবার ব্যবহারযোগ্য (ডিসপোজেবল) মেডিক্যাল মাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। খালি হাতে ওই ঘরের কোনো কিছু স্পর্শ করা যাবে না।</p> <p>ঘরের মেঝে, আসবাবপত্রের সব পৃষ্ঠতল, টয়লেট ও বাথরুম প্রতিদিন অন্তত একবার পরিষ্কার করতে হবে। পরিষ্কারের জন্য এক লিটার পানির মধ্যে ২০ গ্রাম (দুই টেবিল চামচ পরিমাণ) ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে ওই দ্রবণ দিয়ে সব স্থান ভালোভাবে মুছে ফেলতে হবে। তৈরিকৃত দ্রবণ সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। কাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি গুঁড়ো সাবান, কাপড় কাচা সাবান ও পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে এবং ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।</p> <p> </p>