মার্চে ঢাকায় মশার উপদ্রব চরমে পৌঁছার শঙ্কা

শিমুল মাহমুদ
শিমুল মাহমুদ
শেয়ার
মার্চে ঢাকায় মশার উপদ্রব চরমে পৌঁছার শঙ্কা

রাজধানীতে গত চার মাসে কিউলেক্স মশার ঘনত্ব বেড়েছে। জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে তিন শর বেশি পূর্ণবয়স্ক মশা ফাঁদে ধরা পড়েছে। এর আগে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে এ সংখ্যা ছিল দুই শর কম। এ ধারা চলতে থাকলে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত তা  বেড়ে চরমে পৌঁছতে পারে।

মার্চে ঢাকায় মশার উপদ্রব চরমে পৌঁছার শঙ্কাজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক ড. কবিরুল বাশার।

ফাঁদে যত মশা ধরা পড়ে তার সংখ্যা দিয়ে মশার ঘনত্ব নির্ণয় এবং তুলনামূলক চিত্র জানতে এই গবেষণা পরিচালনা করেন বলেও জানান ড. কবিরুল বাশার। তিনি বলেন, ৯৯ শতাংশ কিউলেক্স মশা ধরা পড়ছে।

বাকি ১ শতাংশ এডিস, অ্যানোফিলিস, আর্মিজেরিস ও ম্যানসোনিয়া।  

কবিরুল বাশার বলেন, জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মশা ফাঁদে পড়েছে। রাজধানীর চার এলাকার পাঁচ স্থানের মধ্যে উত্তরায় মশা সবচেয়ে বেশি। জানুয়ারিতে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ মশা ফাঁদে ধরা পড়েছে।

এর আগের মাস গত ডিসেম্বরে একই ফাঁদে মশার সংখ্যা ছিল ৩০০। এতসংখ্যক মশা নগরের কোথাও দেখা যায়নি। উত্তরার পর সবচেয়ে বেশি দক্ষিণখানে ৪১০ ও মিরপুরে সাড়ে তিন শর মতো পূর্ণবয়স্ক মশা ধরা পড়েছে।

ড. কবিরুল বাশার বলেন, ঢাকা দক্ষিণে উত্তরের তুলনায় জলাশয় কম থাকায় কিউলেক্স মশা কিছুটা কম। গবেষণায় দেখা গেছে, রায়েরবাগ এলাকায় দিনে সর্বোচ্চ সাড়ে তিন শর মতো, এরপর যাত্রাবাড়ীর দনিয়া এলাকায় দুই শর মতো মশা ধরা পড়ে।

বাংলাদেশের কিছু জায়গায় কিউলেক্স মশা ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ ছড়ানোর প্রমাণ থাকলেও ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় এই রোগের সংক্রমণের তথ্য নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবছর এ সময় অনেক দিন বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে ডোবা, নালা-নর্দমার পানির ঘনত্ব বাড়ে। এতে পানিতে জৈব উপাদানের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কিউলেক্স মশা প্রচুর খাদ্য পায়। এতে বংশ বিস্তার বেড়ে যায়।

 

কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের সঙ্গে অভিযান

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, আমাদের হিসাব মতে, কিউলেক্স মশা ফেব্রুয়ারি-মার্চে বেড়ে যাবে। মশার এই উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে এর মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশন তার কর্মপরিকল্পনা-২০২৪ প্রণয়ন করেছে এবং বিশেষ কিছু কাজ শুরু হয়েছে।

ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, ডিএনসিসিতে পাঁচজন কীটতত্ত্ববিদকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হয়েছে। খাল উদ্ধার করার পাশাপাশি আবর্জনাভরা শত শত বিঘা জলাশয়ের কচুরিপানা গত জানুয়ারিতে পরিষ্কার করা হয়েছে। মশা নিধনে যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর কার্যকারিতা নতুন করে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মশা নিধনকর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং তাঁদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হাজিরা অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। ড্রোন ব্যবহার করে মশার হটস্পট নির্ধারণ ও অ্যাপসভিত্তিক হটস্পট রিপোর্টিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, এ ছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে নগরবাসী, জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের রেখে কমিটি গঠনের মাধ্যমে গণসচেতনা সৃষ্টি ও সম্পৃক্ত করা, বিনা মূল্যে ডেঙ্গু রোগী শনাক্তকরণ, মনিটরিং, নিজস্ব ব্যবস্থায় নিয়মিত জরিপ পরিচালনা ইত্যাদি কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে মশা শনাক্তকরণে একটি ল্যাব ও মশক নিধনে আরো আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রাদি সংযোজন করা।

 

দক্ষিণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার মশার উপদ্রব কম। অন্যান্য বছর এই সময়ে মানুষ মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে যেত। এবার এখনো কোনো এলাকা থেকে একটি অভিযোগও আসেনি। অর্থাৎ পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।

ডা. ফজলে শামসুল কবির বলেন, যে চার এলাকায় কিউলেক্স মশার উপদ্রব বেশি বলা হচ্ছে, এর মধ্যে একটি ঢাকা দক্ষিণের।  সেখানে মশার ঘনত্ব খুব বেশি নয়। কীটতত্ত্ববিদের রিপোর্ট প্রমাণ করে দক্ষিণে পরিস্থিতি কতটা নিয়ন্ত্রণে।

তিনি বলেন, কিউলেক্স মশা বিস্তারের প্রধান আশ্রয় রাজধানীর খালগুলো। আদি বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত পরিষ্কার হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে খাল ও জলাশয় পরিষ্কার খুব ভালো হয়েছে। শুরু থেকে মশা নিধন কার্যক্রম থাকায় কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে। যদিও আমরা কিউলেক্স মশার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে

শেয়ার
বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে
বগুড়ার দইয়ের সুনাম দেশজুড়ে। সেই দই রাখার মৃৎপাত্র তৈরি করে রোদে শুকানো হচ্ছে। জেলার শাজাহানপুর উপজেলার করতোয়া নদীর তীরঘেঁষা আড়িয়া গ্রাম থেকে তোলা। ছবি : ঠাণ্ডা আজাদ
মন্তব্য
ডিএমপি

শাহবাগ, সচিবালয় ও যমুনার সামনে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শাহবাগ, সচিবালয় ও যমুনার সামনে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ

রাজধানীর শাহবাগসহ বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ও এর আশপাশে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৩ মার্চ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, শোভাযাত্রা করা যাবে না।

বিজ্ঞপ্তিতে যমুনার পার্শ্ববর্তী এলাকা হিসেবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়, শাহবাগ মোড়, কাকরাইল মোড়, মিন্টো রোডের কথা উল্লেখ রয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৫ আগস্ট এই দুটি জায়গায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিল ডিএমপি।

গত মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় নারী-পুরুষের একটি বিক্ষোভকারী দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল মোড়ে বাধা প্রদান করে। এ সময় পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নারীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করে। নিকটবর্তী স্থানে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরে যেতে অনুরোধ করলে তারাও ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্যে অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী এবং রমনা জোনের এসিসহ পাঁচজন পুলিশ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী নারীদের নখের আঁচড়ে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয় এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ওপর অতর্কিত ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়।

হামলায় রমনা জোনের সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া হামলাকারীদের আঘাতে রমনা ডিভিশনের উপপুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম, দুই নারী পুলিশ সদস্য এবং তিনজন পুরুষ কনস্টেবল আহত হন। পরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের মাধ্যমে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

মন্তব্য

জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত্ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি. খোজিন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং রাশিয়া দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর অ্যানটন চেরনোভ।

বৈঠক শেষে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, এটাই প্রথমবার যেকোনো রুশ রাষ্ট্রদূত আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন।

আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ ছিল ও আছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি প্রথমবার।

তিনি আরো বলেন, বৈঠকে রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক, অর্থায়ন এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামী কেমন বাংলাদেশ চায় এবং আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

দুটি বিষয়ে আমরা একমত হয়েছিপ্রথমত, বাংলাদেশে রাশিয়ার আর্থিক সহযোগিতা ও বিনিয়োগ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে তাদের নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।

এ সময় একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

 

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের বক্তব্যের নিন্দা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সমপ্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল এমন মন্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, মাহফুজ আলম অসত্য ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি প্রতিবেশী দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।

তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে গঠিত তদন্ত কমিশন জামায়াতের যুদ্ধাপরাধে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পায়নি এবং শেখ মুজিব সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি দাবি করেন, জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতের রায়গুলো রাজনৈতিক প্রভাবিত এবং আন্তর্জাতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ছিল।

তিনি মাহফুজ আলমের উদ্দেশে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা হিসেবে রাজনৈতিক দল নিয়ে মন্তব্য করা তাঁর উচিত নয়। জামায়াত আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং দীর্ঘদিন ধরে ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে।

মাহফুজ আলমকে তাঁর মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশের আহ্বান এবং ভবিষ্যতে জামায়াত সম্পর্কে ভত্তিহীন বক্তব্য না দেওয়ার অনুরোধ করা হয় বিবৃতিতে।

 

 

মন্তব্য
মির্জা ফখরুল

ধর্ষণের প্রকাশ্য শাস্তির আইন করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্ষণের প্রকাশ্য শাস্তির আইন করতে হবে
মির্জা ফখরুল

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ এবং গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই এখন এই প্রথা ভেঙে রাষ্ট্রকে একটি নৈতিক জায়গায় আনতে হবে। একটি বৈধ সংসদে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য শাস্তির আইন পাস করতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সম্প্রতি মাগুরায় একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে আট বছরের একটি শিশু, আছিয়াকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক নির্যাতিতা আছিয়ার শারীরিক ও চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়েছেন।

আইনি সহায়তার জন্য আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আওয়ামী সরকারের একতরফা নির্বাচনের সময় নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার কারণে বিএনপির সমর্থক এক গৃহবধূকে তাঁর বাড়িতে ঢুকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সন্তানদের সামনে ধর্ষণ করে। নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা বিগত সরকারের অনৈতিক শাসনেরই ধারাবাহিকতা।

তিনি বলেন, দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে ধর্ষণ বেড়েছে।

তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিতভাবে এমন ঘটনা ঘটছে, যা অনেকেই ভয়ে কিংবা মান-সম্মানের কারণে প্রকাশ করেন না। বিভিন্ন বয়সী নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে, বাদ পড়ছে না শিশুও। প্রশাসনের কর্তৃত্ব না থাকায় ধর্ষণের ঘটনা ক্রমে বেড়েই চলেছে। এতে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান, এসব অপরাধের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। দেশে এখন যা চলছে তা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।

বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে আছিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে শোকবিহ্বল পরিবার, নিকটজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ