<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইউপি সদস্য ও তাঁর ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুক্রবার ভোরে উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিহতরা হলেন ইউপি সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদার (৪৮) ও তাঁর ছেলে মারুফ শিকদার (২০)। গুরুতর আহতদের ঢাকা পাঠানোর পর সিরাজুল মৃধা (৪৫) নামের একজন মারা যান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ইউপি সদস্য আক্তার শিকদারের নামে হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আতাউর রহমান আক্তার শিকদারের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‌</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">য়ে এলাকায় বেশ ক</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‌</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">য়েক</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‌</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টি হত</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‌</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">্যাকাণ্ড ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এসব মামলায় দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া ছিল আক্তার শিকদার ও তাঁর প</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‌</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রিবার।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৃহস্পতিবার ভোরে আক্তার শিকদারের বসতঘরে আগুন লাগে। খবর শুনে ইউপি সদস্য আক্তার ও তাঁর ছেলে মারুফ লোকজন নিয়ে শুক্রবার ভোরে এলাকায় আসেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে চেয়ারম্যান সুমনের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্তারের ওপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আক্তার শিকদারের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ওই এলাকায় কিছু অসহায় পরিবারের ওপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। সরকার পতনের পর হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলার আসামি আক্তার শিকদার ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তোলে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">স্থানীয়রা জানান, আক্তার শিকদার কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। হঠাৎ করে এলাকায় এসে শুক্রবার ভোর রাতে হামলা চালায় এলাকার অসহায় পরিবারের লোকজনের ওপর। এতে বাধা দেয় ইউপি চেয়ারম্যান সুমনের সমর্থকরা। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিহত আক্তার শিকদারের বাবা মতি শিকদার বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সুমন ও তাঁর লোকজনের কঠিন বিচার চাই। আমার ছেলে ও নাতিকে এভাবে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার চাই।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমি ঢাকায় আছি। শুনেছি এলাকার অন্য দুটি পক্ষ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুশীল বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইউপি সদস্য আক্তার শিকদার ও তাঁর ছেলে মারুফ নিহত হয়েছেন। কালকিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, বাঁশগাড়ী এলাকায় পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে বেশ কিছু আলামত পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, নাম সংগ্রহ করছে একাধিক টিম। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>